SAHA ANTAR

Published:
2022-07-17 22:16:09 BdST

হেঁটেই ঘায়েল করুন ঘাতক কোলেস্টেরলকে



শায়ন নস্কর
______________

 

 অধিক মাত্রার  কোলেস্টেরল

একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যায়  আক্রান্ত মানুষের শরীরে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা যায়। হতে পারে স্ট্রোক (Stroke), হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack)। এবার কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই হাঁটতে হবে। কতক্ষণ হাঁটবেন, কী ভাবে হাঁটবেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানালেন চিকিৎসক।

 প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এটি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এবার শরীরে এই সমস্যা  দেখা দিতে শুরু করলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) থেকে স্ট্রোক (Stroke) সহ অনেক সমস্যাই হয়। তাই সতর্ক হয়ে যান।

মুশকিল হল কোলেস্টেরল (Cholesterol) থাকার পরও বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু এটি নিয়ে সচেতন নন। তাঁরা বুঝতেই পারেন না কি কি  রোগ তাঁদের শরীরে রয়েছে। আর  অসুখের বেশিরভাগ সময়ই কোনও লক্ষণ থাকে না।

 

 সব কোলস্টেরল কিন্তু খারাপ খারাপ নয়। LDL হল খারাপ। আর HDL হল ভালো কোলেস্টেরল। এলডিএল কম এবং এইচডিএল বেশি থাকলেই শরীর ভালো থাকতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই নিয়ে তৈরি হয়ে থাকতে হবে।

এই প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আশিস মিত্র বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভব। এই  ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই শরীরে কোনও লক্ষণ থাকে না। তবে রোগ ধরে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমস্যা নিশ্চিত। তাই সতর্ক হয়ে যান।
​কতটা থাকা উচিত?


এই প্রসঙ্গে ডা: মিত্র জানান, কারও যদি শরীরে অন্য কোনও গুরুতর রোগ না থাকে তবে এলডিএল রাখতে হবে ১০০-এর নীচে। আর হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়ে থাকলে তা ৭০-এর নীচে থাকা দরকার। অপরদিকে এইচডিএল থাকতে হবে ৪৫-এর বেশি। তাহলেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে।

​কী টেস্টে?


ডা: মিত্র জানালেন, এই রোগ সাধারণত লক্ষণ দেখে ধরা পড়ে না। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই টেস্ট করতে হবে। বয়স ৩০-এর গোড়ায় থাকতে থাকতেই এই টেস্ট করুন। এক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টা না খেয়ে করতে হয় Lipid Profile Test. এই টেস্টের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কতক্ষণ হাঁটা?


ডা: মিত্র বলেন, অবশ্যই কমে। এক্ষেত্রে হাঁটা (Walking) একটা সুঅভ্যাস। এমনকী দেখা গিয়েছে যে ভালো কোলেস্টেরল শরীরে বাড়িয়ে দিতে পারে হাঁটা। এক্ষেত্রে প্রতিদিন হাঁটতে হবে। আর হাঁটুন প্রায় ৪৫ মিনিট। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

​কী ভাবে হাঁটবেন?


এক্ষেত্রে করতে হবে ব্রিকস ওয়াক। অর্থাৎ একটু জোরে হাঁটতে হবে। ঘাম ঝরাতে হবে। পাশাপাশি যাতে হাঁফ ধরে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করে ফেলা সম্ভব হবে। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়ে যেতে হবে।

​ওষুধ


হাঁটার মাধ্যমেই অনেকে ভালো থাকেন। তবে অনেকের রিস্ক থাকে। যেমন ডায়াবিটিস, প্রেশারের মতো রোগ রয়েছে, বাড়িতে ৫০ বছর বয়সের নীচে মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে এই মানুষগুলিকে ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী। এমনকী সাইডএফেক্ট কম বলেই জানালেন চিকিৎসক।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সৌজন্যে এই সময় কলকাতা

আপনার মতামত দিন:


প্রেসক্রিপশন এর জনপ্রিয়