SAHA ANTAR

Published:
2021-05-17 06:04:38 BdST

অতিমারীকালে জনপ্রিয় ‘মগ্ন হয়ে দৌড়’, শরীর-মন সুস্থ থাকতে পারে এই অভ্যাসে


সংবাদ সংস্থা
__________________

লকডাউনের কারণে হাঁটাচলা কমে যাচ্ছে। ফলে কমছে শরীরের সতেজ ভাব। আবার বাড়িতে আটকে থেকে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। এই দুই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে ‘মগ্ন হয়ে দৌড়’ বা ইংরেজিতে যাকে বলে ‘মাইন্ডফুল রানিং’।

প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক, এই ‘মগ্নতা’ বা ‘মাইন্ডফুলনেস’ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে? নির্মোহ ভাবে কোনও কিছুকে পর্যবেক্ষণ করা, সে সম্পর্কে ভালমন্দ বিচার না করাকেই বলা হয়, ‘মাইন্ডফুলনেস’ বা ‘মগ্নতা’। চারপাশের সব কিছু দেখা, কিন্তু নিজের অন্তরকে অনুভব করা। হালে এই ‘মগ্নতা’ জনপ্রিয় হয়েছে পশ্চিমের মহাদেশগুলিতেও। একে অনেকটা চোখ খুলে ধ্যানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় দৌড়লে, একই সঙ্গে দুটো লাভ হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, শরীরচর্চাও হয়। তাই বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ‘মগ্ন হয়ে দৌড়’ বা ‘মাইন্ডফুল রানিং’।

কী ভাবে এই কাজটি করা যায়? দেখে নেওয়া যাক।

শ্বাসপ্রশ্বাসে মন: মাঠে দৌড়নোর সময় নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রতি মনোযোগ দিন। প্রতি বার বাতাস টানা বা বাতাস ছাড়ার প্রক্রিয়াটির দিকে মন থাকুক।

ফোন থেকে দূরে: গান শুনতে শুনতে দৌড়তে ভাল লাগে। এটা বাদ দিয়েই দেখুন না কী হয়! যে কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র থেকেই দূরে থাকুন দৌড়নোর সময়। বাড়িতেই রেখে যান যন্ত্রটি। তাতে মন বসবে নিজের অন্তরে।

অন্যদের কথা ভাবুন: আজ যাঁরা আপনার সঙ্গে দৌড়তে পারতেন, কিন্তু কোনও কারণে যাঁরা আর আপনার জীবনে নেই, হয়তো অসুস্থ হয়ে দৌড়নোর ক্ষমতাও হারিয়েছেন কেউ কেউ— ভাবুন তাঁরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছেন, আপনাকে দেখে উজ্জীবিত হতে চাইছেন। আপনার পিছন পিছন তাঁরাও দৌড়চ্ছেন। এ রকম ভাবনা মনকে সদর্থক শক্তিতে ভরিয়ে দেবে।

একটু দাঁড়ান: অনেক ক্ষণ দৌড়েছেন? একটু দাঁড়ান। প্রতিটা পেশির ক্লান্তি, হৃদস্পন্দন, ফুসফুসের ওঠানামা অনুভব করুন। আবার দৌড় শুরু করুন। এতেও মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বাড়ে। নিজের অন্তরের সঙ্গে সংযোগ বাড়ে।

আপনার মতামত দিন:


প্রেসক্রিপশন এর জনপ্রিয়