Ameen Qudir
Published:2019-07-02 07:11:55 BdST
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ৭ লক্ষণ: প্রতিকারে ১১ পরামর্শ
ডা. নাহিদ ফারজানা ______________________________
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ:
১. সবচেয়ে বড় সমস্যা এই যে, সবাই ব্যথাকে গুরুত্ব দেন, ব্যথা হলে ছুটে আসেন। ব্যথা ছাড়া কোন চাকা থাকলে তা নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা হয়না।অথচ ৯৫% মানুষের কাছে এই ক্যান্সার আসে ব্যথা বিহীন অবস্হায়।
২. ব্রেস্টে চাকা অনুভূত হলে, তাতে ব্যথা থাকুক আর না থাকুক
৩. বগলে কোন চাকা অনুভূত হলে, ব্যথা থাক আর না থাক
৪. নিপল (বোঁটা) থেকে আপনা আপনি কিছু বের হলে
৫. নিপল ভিতরে ঢুকতে শুরু করলে
৬. নিপল ও তার চারিপাশের কালো স্হানে ঘা দেখা দিলে।
৭. আরো অনেক সিম্পটম আছে, কিন্তু প্রাথমিক এইগুলোই। এগুলোর ১ টি লক্ষণ ও যদি দেখেন, সাথে সাথে ভাল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করবেন। তবে এই লক্ষণগুলো আরও অনেক কারণে হতে পারে। চিকিৎসক মূল কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসা দিবেন। প্রাথমিক অবস্হায় চিকিৎসা করলে রুগী সম্পূর্ণ সুস্হ হয়ে যান।
প্রতিকারে ১১ পরামর্শ
_________________
১. সপ্তাহে ১ দিন নিজের ব্রেস্ট ও বগল পরীক্ষা করুন,
২. পিরিওড শুরু হওয়ার ৭ দিন পরে একবার ব্রেষ্ট ও বগল চেক করুন
৩. ৬ মাসে ১ বার বিশেষজ্ঞকে দিয়ে চেক আপ করুন
৪. ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা বছরে ১ বার ম্যামোগ্রাম, ৪০ এর নিচে বয়স হলে বছরে ১ বার আলট্রাসনোগ্রাম করুন।
৫. ক্ষতিকর খাবার বাদ দিয়ে ভাত, রুটি, শাকসব্জি, ফল, দুধ, ডিম, অন্যান্য স্বাস্হ্যসম্মত খাবার পরিমাণ মতো খান। লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, দানাদার শস্য ও ফল যেমন ভুট্টা, ওটস্, আপেল, পেয়ারা, ডালিম, পেঁপে, ঢ্যাঁড়স, বিভিন্ন মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ যেমন আইড়, শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, দুধ পরিমাণ মতো খান।
৬. ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড, কোল্ড ড্রিংক (কোক, পেপসি জাতীয় পানীয়), অার্টিফিসিয়াল জ্যুস (প্রাণ, সেজান, ফ্রুটিকা, ড্যানিশ ইত্যাদি), বাইরের তেলেভাজা, চিপস, চানাচুর, বেশি গরুর মাংস (তেল-চর্বি ছাড়া, মাসে খুব বেশি হলে ৩/৪ বার খাবেন), খাসীর মাংস, শূকরের মাংস, তেলাপিয়া, পাঙাস, বড় চিংড়ি, ময়লা পানিতে চাষ করা মাছ, সাদা চিনি পারতপক্ষে খাবেন না। লবণ ও তেল পরিমিত খাবেন। একদিনের ব্যবহার করা তেল পরের দিন খাবেন না।
৭. জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য স্বামী পদ্ধতি গ্রহণ করলে ভাল হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল, বড়ি, চামড়ার সুঁই, চামড়ার পিল, কপার টি ব্যবহার না করাটাই উচিৎ। স্বামী কনডোম ব্যবহার করবেন এবং পরিবার কমপ্লিট হয়ে গেলে স্বামী বা স্ত্রী স্হায়ী বন্ধ্যাত্বকরণ করতে পারেন। নতুবা স্বামী কনডোম ব্যবহার করতে পারেন।
৮. মেদমুক্ত থাকুন। নিয়মিত হাঁটাচলা করুন, যে যত শুয়ে বসে সময় পার করে, হাঁটাচলা কম করে, তার ক্যান্সারের চান্স বেড়ে যায়।
৯. মেয়ে শিশুকে আড়াই বছর, ছেলে শিশুকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ান।
১০. ধূমপান করবেন না।
১১. মদ্যপান করবেন না।
______________________________
ডাঃ নাহিদ ফারজানা। ২৫ তম ব্যাচ, বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ।
আপনার মতামত দিন: