Ameen Qudir
Published:2016-12-01 05:30:03 BdST
জীবনসঙ্গী ডাক্তার না ইঞ্জিনিয়ার : সুবিধা অসুবিধা জেনে নিন
সুচিত্রা সাহা
___________________________
১. ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে ঝগড়া করে আপনি অপার শান্তি লাভ করবেন। এরা প্রতি উত্তর দিবে না। কারণ এক কান দিয়ে লেকচার ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করতে এরা বিশেষভাবে পারদর্শী।
২. ইঞ্জিনিয়াররা কমপ্রোমাইজে অভ্যস্ত।
কাল ক্লাস টেস্ট?
-ওকে!
কুইজ আছে? বিশাল ল্যাব রিপোর্ট?
- নো প্রবলেম!
তাই বিয়ের পর আপনি যদি বলেন, আজকে আমার মামাতো বোনের শ্বশুরের ভাগনের বড় ভাইয়ের প্রতিবেশির ছেলের সুন্নতে খৎনার দাওয়াত; এরা সানন্দে মেনে নিবে এবং শত ক্লান্ত হলেও আপনার সাথে বের হবে।
৩. ইঞ্জিনিয়াররা কখনোই আপনার রান্নার খুঁত ধরবে না। বেচারাগুলো হল এবং ক্যাফেটেরিয়ার সুস্বাদু (!) খাবার খেয়ে অভ্যস্ত। আপনার হাতের রান্না যে খেতে পাচ্ছে এই-ই ঢের!
৪. স্বভাবতই এরা কঠিন হিসাবের মানুষ। কয়টা ক্লাস মিস দিলে অ্যাটেন্ডেন্স 60% এর উপরে থাকবে থেকে শুরু করে ফেইল ঠেকাতে আর কত মার্কসের প্রয়োজন, এমন জটিল জটিল হিসাব কষে তারা দিন পার করে।
তাই মাসিক ইনকাম যাই হোক না কেন, সংসার চালাতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না! হিসাবটা যে ঠিকই থাকছে!
৫. এরা কিঞ্চিৎ স্নেহের কাঙাল। সারাজীবন স্যারদের কাছ থেকে ‘অপদার্থ, গাধা -গরু -ছাগল, কিচ্ছু পারো না, সব থেকে বেয়াদব ব্যাচ….’ শুনে অভ্যস্ত। তাই দুয়েকটি ভালোবাসার কথা শুনলেই এদের অবস্থা প্রভুভক্তের মতো হয়ে যায়!
৬. সর্বোপরি, ইঞ্জিনিয়াররা সর্বংসহা। যতোই প্যারা দেন, এরা নিতে পারে। ১৬০-৭০ ক্রেডিটের নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বলে এরা সবই হাসিমুখে সহ্য করতে পারবে।
_এমনকি আপনাকেও!
______________________
লেখক সুচিত্রা সাহা মেডিকেল শিক্ষার্থী ।
আপনার মতামত দিন: