Dr. Aminul Islam

Published:
2021-04-16 19:42:49 BdST

ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন : নেপথ্যে অবহেলিত এক নারী


 

 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
------------------------------------
৬৬ বছর বয়সি এক গবেষকের কথা বলি।
সেই অভিবাসী নারী পান নি কোনও অর্থ মঞ্জুরি , নিজের ল্যাব ও পেলেন না। ৬০ হাজার ডলারের বেশি আয় হয়নি কোন দিন। চার দশক ধরে কাজ করছিলেন এম আর এন এ নিয়ে , অনেকে একে নেহাত বোকামি মনে করেছেন অথচ এই গবেষণা হল ফাইজার আর মডার্না ভেকসিন উৎপাদনের ভিত্তি ।
নাম কাটা লিন কারিকো। হাঙ্গেরির মানব সেবী মহান নারী বিজ্ঞানী।
বিস্তারিত তথ্য।


ফাইজার ও মডার্নার বানানো ভ্যাকসিন বিশেষত দুটি মৌলিক আবিষ্কারের ওপর নির্ভর করে, যা উদ্ভূত হয়েছিল ফেডারেল তহবিলের গবেষণায়। একটি হচ্ছে ভাইরাল প্রোটিন যা ডিজাইন করেছিলেন গ্রাহাম ও তার সহকর্মীরা এবং আরেকটি হচ্ছে আরএনএ মডিফিকেশনের ধারণা, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় প্রথম বিকশিত হয়েছিল ড্রিও ওয়েইম্যান এবং কাটালিন কারিকো দ্বারা। এমনকি ২০১০ সালে মডার্না নামটি এসেছে ‘মডিফিকেশন + আরএনএ = মডার্না’ থেকে।

করপোরেট ক্রিটিক পিটার মায়বারডুক বলেন, এটা মানুষের ভ্যাকসিন। ফেডারেল বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবনে সহায়তা করেছেন এবং করদাতারা এর বিকাশে অর্থায়ন করেছেন। এটাকে তাই মানবিকভাবে দেখা উচিত।


মুখপাত্র রায় জর্দানের মাধ্যমে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও দ্রুততার জন্য এনআইএইচের সংযুক্তির কথা স্বীকার করেছে মডার্না। তবে ফাইজারের মুখপাত্র জেরিকা পিটস বলেছেন, মডার্না ও অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় তাদের কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা লাভ করেনি।

এমআরএনএ কিংবা ম্যাসেঞ্জার আরএনএ দ্বারা ভ্যাকসিন তৈরির ধারণা কয়েক দশক আগের। এমআরএন ভ্যাকসিন তৈরির প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল, কারণ প্রাথমিক আরএনএ প্রতিক্রিয়া তৈরির আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সহজাত ইমিউন সিস্টেম বিবর্তিত হয় আরএনএ স্ট্র্যান্ডসকে হত্যা করার জন্য।

কারিকো ধারণাটি নিয়ে সামনে আসেন। যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন ওয়েইম্যান। নিশ্চিতভাবে তাদের কাজ বিগত দশকগুলোতে ব্যবহার করেছে মডার্না, বায়োএনটেক এবং অন্য ল্যাবরেটরিগুলো।

কারিকো হাঙ্গেরিতে আরএনএ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন ১৯৭৮ সালে। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ২০০৪ সালে সফলতা পেয়েছিলেন তিনি এবং ওয়েইজম্যান। কারিকো এক সাক্ষাত্কারে বলেন, আমি লিখেই যাচ্ছিলাম এবং নিরীক্ষা করে আরো ভালো ফল পাচ্ছিলাম। কিন্তু কাজের জন্য আমি কখনো কোনো টাকা পাইনি। সমালোচকরা বলল, এটা কখনো ওষুধ হতে পারবে না। আমি যখন এটা আবিষ্কার করি, আমার বেতন যেসব টেকনিশিয়ান আমার অধীনে কাজ করছির তাদের চেয়েও কম ছিল। নানা পথ পেরিয়ে বর্তমানে কারিকো বায়োএনটেকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

সায়েন্টিফিক আমেরিকান অবলম্বনে

আপনার মতামত দিন:


ফার্মাসিউটিক্যালস এর জনপ্রিয়