DESK

Published:
2024-08-21 10:07:20 BdST

ইন্টার্ন ৫০ হাজার,প্রফেসর ,সহকারী, সহযোগী প্রফেসর ৩-৫ লাখ বেতন দাবি


 

ডেস্ক
________________

"বিএমডিসির বিরূপ সিদ্ধান্তে"র প্রতিবাদে ঢাকায় ডাক্তারদের আজকের কর্মসূচিকালে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ডাক্তার ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানাচ্ছেন , তার বিবরণ বিভিন্ন মেডিকেল প্লাটফর্ম থেকে সংগ্রহ করে নিচে তুলে ধরা হল।

ডা মো: ওমর ফারুক দাবি জানান,
"আমাদের দাবি হোক:
১. ইন্টারনি ডাক্তার অনারিয়াম ৫০ হাজার টাকা মাএ।
২. ইন্টারনি শেষে অনারিয়াম ১ লাখ মাএ।
৩. প্রফেসর ,সহকারী প্রফেসর, সহযোগী প্রফেসর অনারিয়াম ৩-৫ লাখ মাএ।
৪.সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা ডিউটি।
৫.একজন প্রফেসর এর চাকরির মেয়াদ শেষ হলে,স্বাস্থ গবেষণার বাইরে কোন চেম্বার প্রাক্টিস করতে পারবে না।
৬.ডাক্তার দের কোন রাজনীতি থাকবে না,এমনকি বিসিএস,সরকারি বেসরকারি বলে কিছু থাকবে না।
এ সকল কিছু সরকার দারা নিয়ন্ত্রিত হবে,এমনকি কে কোন রুগী কোথায় দেখবেন সেটাও।সরকার যে পরিমান ডাক্তার বের হলে ঊপরে সকল কিছু মেইনটেইন করতে পারবে ঠিক সেই পরিমান মেডিকেল স্টুডেন্ট ভর্তি হবে।
ভুল আছে ,থাকবে। যদি স্বাস্থ ব্যবস্থার পরিবর্তন চান,ব্যাপক গবেষণা ও আলোচনার দরকার আছে ,অল্প লিখায় শেষ হবার নয়।
ডা মো: ওমর ফারুক
সেশন-২০০৮-২০০৯"

 


প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার জানান,"
দেশের সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে আমাদের আজকের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত স্থানের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ১০টায় হবে।
আমাদের একটা টিম সেখান থেকে বিএমডিসিতে গিয়ে রেজিস্ট্রারের সাথে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে কথা বলবেন।
২.'যৌক্তিক আওয়াজ ও
ক্ষুরধার দাবী - দুই-ই চলুক সমানতালে'
প্রিয় চিকিৎসক ও চিকিৎসাশিক্ষার্থীবৃন্দ,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ (ক), ১৫ (ঘ) ও ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্র কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য জনগণের নিকট দায়বদ্ধ। আর এ দায়কে পরম দায়িত্ব হিসেবে বুকে লালন করে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা দেশের স্বাস্থ্যখাতকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে। কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতা, নিম্ন বেতন, অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, রোগীর তুলনায় অপ্রতুল চিকিৎসকসহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রজনন হার হ্রাস, মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার রোধ, নিম্নমুখী মৃত্যু প্রবণতা, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যখাতের নানামুখী অর্জন এদেশের চিকিৎসকদের কর্মনিষ্ঠার অন্যতম নিদর্শন। এতদসত্ত্বেও, দুঃখের বিষয় এটাই যে যেকেউ চাইলেই তার নামের সামনে ডাক্তার শব্দটি জুড়ে দিতে পারে, পড়তে পারে চিকিৎসকদের সাদা এপ্রোন, নূন্যতম এনাটমির জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও হরহামেশা যেকেউ করতে পারে আলট্রাসনোগ্রাম। যত্রতত্র ঔষধের ব্যবহার আজ এতো নস্যি যে, সাধারণ রোগ জীবাণুও আজ সবচেয়ে শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। মেডিকেলের অসম্ভব পড়াশোনার চাপ আর পেশাগত সীমাহীন ব্যস্ততা আমাদের সকল সময় কেড়ে নিলেও আজ আমাদের সময় এসেছে আমাদের যৌক্তিক দাবী তুলে ধরার, আমাদের নৈতিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার হবার।
বিএমডিসি আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান, আমাদের আবেগের উৎস। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত বিএমডিসি আইনের আজ অবধি কোনো বাস্তব প্রয়োগ আমরা পাই নাই। আইন প্রণীত হবার ১৪ বছর পর তাই এই আইনের যথাযথ ও বাস্তবভিত্তিক প্রয়োগ চাওয়া আজ তাই দাবী নয় বরং ন্যায্য অধিকার। এই ন্যায্য অধিকারে হিস্যা নিতে তাই আমরা যাচ্ছি আমাদের প্রাণের বিএমডিসিতে।
আমাদের দাবী একটাই -
২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত আইনের সুষ্ঠু ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগের মাধ্যমে -
- নূন্যতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্তগণ ব্যাতিত অন্যকেউ যেন ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করা।
- মেডিকেল চিকিৎসা ডিপ্লোমাধারীদের পরিচিতি বিএমডিসি আইন মোতাবেক মেডিকেল সহকারী হিসেবে নিশ্চিত করা।
- সহকারীদের জন্য নির্ধারিত ৭৩টি ঔষধের বাহিরে প্রেসক্রিপশনকারীদের বিরুদ্ধে বিএমডিসি আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
আমাদের এই ন্যায্য দাবী আদায়ে শামিল হবার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। দেখা হচ্ছে আগামী ২১ আগস্ট ২০২৪, বুধবার, সকাল ১০টায়। বাংলাদেশের সকল চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের এপ্রোন পরে ও মেডিকেলের আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে এই ন্যায্য দাবী আদায়ে শামিল হবার পুনঃআহবান জানাচ্ছি। দেখা হবে, কথা হবে।

 

প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার (অব.)
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
শেবাচিম একাদশ।"
ডা. মো. আল শাহরিয়ার আকিব লিখিতভাবে জানান,

"হোক প্রতিবাদ।
বিএমডিসির বিরূপ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শের - ই - বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সকলের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল।
এরই সাথে বুধবার ২১ আগস্ট ২৪ "লং মার্চ টু বিএমডিসি" কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা একাত্মতার সহিত কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি যতদিন ‌না দাবি আদায় হয়....
আমরা আছি সবসময়,
প্রস্তুত হয়ে যান আপনারাও।

ডা. মো. আল শাহরিয়ার আকিব,
ইন্টার্ন চিকিৎসক,
শের - ই - বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল,
বরিশাল।"

আরও যে সব দাবি ডাক্তারদের __________

মেডিকেল শিক্ষার্থী মির্জা ফারিহা ফেরদৌস সৃষ্টি দাবি জানান নিম্নরুপ:
"
প্রত্যেক বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে।
এবং সকল মেডিকেল কলেজ ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যাবে। মেডিকেল কলেজ কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কেন মেডিকেল কলেজকে সার্টিফিকেট প্রদান করবে?
বর্তমানে বাংলাদেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মোট ছয়টিও বেশি। কিন্তু তাদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা নেই।
এই বিষয়টি অতি দ্রুত নিশ্চিত করা প্রয়োজন যেন সার্টিফিকেট শুধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রদান করা হয়।
মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য হল মেডিকেল কলেজে আন্ডারগ্রাজুয়েট (এমবিবিএস)পড়ানো হয়। এদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা নেই।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কাজ হচ্ছে গ্রাজুয়েট স্টোরের পড়াশোনা (MD,Phd,etc)করানো এবং মেডিকেল কলেজের তদারকি বা নজরদারি করা এবং তাদের সার্টিফিকেট ইস্যু করা।
প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। কারণ আমাদের ডাক্তার, নার্স ও দক্ষ জনশক্তির পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার ও প্রয়োজন।
Mirza Fariha Ferdous Sristy
MBBS (4th year) student of
East West Medical College and Hospital"


ডা. সাইদ হোসেন ইমন দাবি জানান,

"DMF ও কোয়াকরা স্বাস্থ্য খাতে অরাজকতা তৈরি করে ফেলেছে...আজকে তারা জিপি প্র্যা্কটিশনার/নামের পূর্বে জোর করে ডাক্তার লিখে...ঢাকাসহ সকল
বিভাগীয় ও জেলা শহরে/বিভিন্ন জেলায় অবৈধভাবে প্র্যাক্টিস করছে!!!
আজকে জিপি....কালকে মেডিকেল অফিসার এর পদ গুলো নিবে!!!
তারপর ডিপ্লোমা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে লিখবে!!!
সবচেয়ে বড় ৬টি দাবি(BMDC আইন ২০১০এর বাস্তবায়ন করতে হবে)
১)BMDC তে শুধু MBBS ও BDS কে রেজিস্ট্রেশন দিবে। DMF দের রেজিষ্ট্রেশন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে!!
২) MATS/DMF/LMF কোয়াক প্র্যাক্টিস বন্ধ করতে হবে!
৩) MBBS ও BDS ব্যাতিত কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না এবং চেম্বার প্র্যাক্টিস করতে পারবে না!!
৪)MBBS ডাক্তার ছাড়া কেউ Ultra করতে পারবে না!
৫) MBBS ডাক্তার না রেখে, DMF ও নার্স দিয়ে ক্লিনিক/হাসপাতাল চালানো বন্ধ করতে হবে!!!
৬) সকল ফার্মেসিতে MBBS ও BDS ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ঔষধ বিক্রয় নয়!!!
স্টুডেন্ট,ইন্টার্ন,MBBS,BDS ও সকল ডাক্তারদের আহ্বান জানাচ্ছি...
###Update_স্থান_পরিবর্তন###
২১ আগস্ট সকাল ৯:৩০মিনিটে লং মার্চ
লং মার্চ টু #কেন্দ্রীয়_শহীদ_মিনার
"দেশের সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে আমাদের আজকের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত স্থানের পরিবর্তে #কেন্দ্রীয়_শহীদ_মিনারে সকাল ১০টায় হবে।আমাদের একটা টিম সেখান থেকে বিএমডিসিতে গিয়ে রেজিস্ট্রারের সাথে আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলবেন"
-Doctor's movement for justice
এই লড়াই... আমাদের অস্তিত্বের লড়াই!!!
.... It's Now or Never!!!
-Dr.Sayeed Hossain Emon
#Long_march_to_BMDC"


ডা. ফাহিম দাবি জানান,"নন-এমবিবিএসদের থেকে ডাক্তারদের বাঁচানোর একটাই উপায়। ফার্মেসিগুলাকে ডাক্তার এবং ফার্মাসিস্টদের অধীনে নিয়ে আসা। অর্থাৎ ওভার দা কাউন্টারের বাইরে অন্য কোন ওষুধ দোকানে রাখতে হলে সেই ফার্মেসিকে অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্ট রাখতে হবে। প্রতিটি নন ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ বিক্রির জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলাকে তার এগেইন্সটে একজন এমবিবিএস ডাক্তার এবং একজন ফার্মাসিস্টের সাইন করা প্রেস্ক্রিপ্সশন ড্রাগ মনিটরিং অথোরিটির কাছে জমা দিতে হবে। অন্যান্য দোকানে যদি কোন ওষুধ কোম্পানি নন ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ সাপ্লাই করে, তাহলে সেই কোম্পানিকে ব্যান করতে হব।
আরেকটা বেটার, ক্লেভার ওয়ে হতে পারে যে সরকার এই নির্দিষ্ট ফার্মেসিগুলার নন অভার দা কাউন্টার ড্রাগসে ভর্তুকি দেবে, উপজেলার পিসি বিসিতে টাকা নষ্ট করার চেয়ে। তাহলে এই ফার্মেসিগুলায় ওষুধের দাম অনেক কম হয়ায় মানুষ এগুলাতেই যাবে, যেমন সরকারি হাসপাতালগুলায় আসে।
ঢাকা মেডিকেল
০৯-১০ সেশন"

এমডি দেলোয়ার হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে জানান,"প্রেস রিলিজ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ অনুযায়ী এমবিবিএস এবং বিডিএস পাসকৃত চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কেহ ডাঃ পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। বিএমএন্ডডিসির কোনো কর্মকর্তা এই আইনের পরিবর্তন বা পরিমার্জন করার ক্ষমতা রাখে না। শুধুমাত্র মহান জাতীয় সংসদ এই আইন পরিবর্তন বা পরিমার্জন করার ক্ষমতা রাখে। এমতাবস্থায় ডাঃ পদবী ব্যবহার সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন
সিনিয়র তথ্য অফিসার
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
Note: নানারকম গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে। এসকল ফাঁদে পা না দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তিকে সহযোগিতা না করার আহ্বান থাকলো।
@asifmahmud উপদেষ্টা
সেশন ২০১২-১৩
এসএসএমসি"

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়