নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অশালীন আচরণের দায়ে ৫ দুস্কৃতীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড

দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ দুস্কৃতী: মোহাম্মদ তরিকুল (২০), মোহাম্মদ ইমন (১৮), মোহাম্মদ রাতুল মিয়া (১৯), মোহাম্মদ নয়ন (১৯) ও মোহাম্মদ উৎসব (১৯)

ডেস্ক
___________________________

একজন নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অশালীন আচরণের দায়ে ৫ দুস্কৃতীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মিঠামইনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১১ জুন ২০২২ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এই কারাদণ্ড দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মিডিয়াকে জানান, পুলিশের সহায়তায় দণ্ডপ্রাপ্তদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুস্কৃতীরা সবাই স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুস্কৃতীরা হলো- মিঠামইন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মোহাম্মদ রতন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ তরিকুল (২০), মোহাম্মদ বিল্লাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইমন (১৮),মোহাম্মদ দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাতুল মিয়া (১৯), মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ নয়ন (১৯) ও মোহাম্মদ শামীম মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ উৎসব (১৯)।
গত শুক্রবার (১০ জুন) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসক ডিউটি শেষে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের ওই পাঁচ দুস্কৃতী সদস্য রাস্তা আটকে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।

এ ঘটনার পর বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল সাফীকে অবগত করলে তিনি মিঠামইন থানায় অভিযোগ দেন। এতে ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার তাৎক্ষণিক দুস্কৃতীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ফোর্সকে নির্দেশ দেন।

পুলিশ শনিবার বিভিন্ন জায়গা থেকে দুস্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।

মিঠামইন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কলিন্দ্র নাথ গোলদার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল সাফী এ বিষয়ে মিঠামইন থানায় অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত দুস্কৃতীদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।