নিখোঁজ ভাইয়ের জন্য চিকিৎসক বোনের মর্মস্পর্শী আর্তি ও আবেদন

ডেস্ক
____________

হঠাৎ নিখোঁজ সরল সহজ ভাইটির সন্ধানে আর্তি জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক বোন।

বিশিষ্ট গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাকসুদা খানম
এক মর্মস্পর্শী লেখায় জানান,
মুকুট আমাদের তিন বোনের খুব প্রিয় ভাই |মুকুটের পরিচয়ে আমরা পটুয়াখালিতে পরিচিত হই এখনো |মুকুটের বোন হিসেবে পরিচয় দিতেই আমাদের ভালো লাগে |আজ 22 দিন যাবত মুকুট নিখোঁজ, কোনো খবর নেই |আমরা এখন কার বোন পরিচয় দেবো?
মুকুট যখন ক্লাস টেনে পড়ে তখন কোনো এক ঘটনায় ভয় পেয়ে কথা বন্ধ হয়ে যায় |একবছর প্রফেসর হেদায়েত উল্লাহ স্যারকে দিয়ে চিকিৎসা করায় আমার আব্বা |6 মাস পরে মুকুট কথা বলে, ভালো ও হয় কিন্তু পড়াশোনার চাপ টা দিতে ডক্টর নিষেধ করেন |প্রথমে মন খারাপ হলেও পরে সবাই ভেবেছে মুকুট সুস্থভাবে বেঁচে আছে এটাই বড় কথা |মুকুট খুব ভদ্র, বিনয়ী ছেলে ছিলো, শহরে সবাই বলবে | পান খেতে খুব পছন্দ করতো |চা এর নেশা ও ছিলো না |পেপার পড়ার খুব নেশা ছিলো |শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা -পেপার মুকুটের পড়তেই হবে |পেপার কিনতে রিডার্স কর্নারে যেতেই হবে |সোনালী মেডিক্যালে আমার বন্ধু মলয়দার কাছে একটু বসতো, হাঁটতে হাঁটতে ঘামিয়ে যেত |মলয় বলতো মুকুট একটু জিরিয়ে যা ফ্যানের নিচে |
আমার আম্মা মুকুটে র বিয়ে দিয়েছিলেন একদম গ্রামের একটা মেয়ের সাথে |মেয়েটি ভালো ই ছিলো, মুকুট সুখেই ছিলো |বাড়িতে জমিজমা আছে আর বাকি টুকু দুবোন মিলে মুকুটের বৌ, কন্যা সংসার সব আমরা দেখতাম শুধু ভাইটার জন্য |
সব পারিবারিক কথা বলা যায় না |মুকুটের বোনেরা টাকা দিতো মুকুটকে কিন্তু মুকুটের কপালে 10 টা টাকা রিকশা ভাড়া জুটতো না |পটুয়াখালি ওর চার মামার শহর, বাবার বাড়ি, বোনদের বন্ধুরা |সবাই ওকে আদর করতো |20 টাকা পান খেতে সবার কাছে চাইতো |
 
আমার এক  অাত্মীয়ের নজর পড়েছিল মুকুটের দামি জমির দিকে |
সব মিলিয়ে আজ 22 দিন যাবত আমার ভাইটার কোনো খোঁজ নেই |প্রশাসন যথেষ্ট সহায়তা করছে |কিন্তু আমরাতো মুকুটের একটা খবরের জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছি|একজন মানুষ যে দুরাতএর বেশি কোথাও থাকতো না, অজানা, অচেনা জায়গা য় যেত না সে কি এভাবে হাওয়া হয়ে যেতে পারে?
আমরা শুধু আমাদের ভাইয়ের খোঁজ চাই |পটুয়াখালীবাসী রা আপনাদের সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন ||আপনারা আমাদের কে আমাদের আদরের ভাই টাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন দয়া করে ||