DR. SULTANA ALGIN

Published:
2020-11-29 17:22:08 BdST

জীনে ধরা শান্তা হত্যা করলো নিজের সন্তানকে : মানসিক চিকিৎসা পেলে মা-শিশু দুজনেই বাঁচত



ডা. সুলতানা আলগিন
সহযোগী অধ্যাপক মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
কনসালটেন্ট ওসিডি ক্লিনিক ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা।
________________________

 

কথিত জীন ভর করেছিল এই তরুণীর ওপর।  তাই নিজের  ১৭ দিনের সন্তানকে হত্যা করেছে এই মানসিক রোগী  মা-ই।

জীনে ধরা হল একটি বহুল আলোচিত ও  সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় চটুল বিষয়। 

বাস্তবে এটা মানসিক রোগ হলেও বাংলাদেশে লাখো জীনে ধরা রোগীকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা র জন্য অানা হয় না। 

কথিত ওঝা, কবিরাজ, তান্ত্রিক, পীর ফকির হুজুরদের কাছে নেয়া হয়। নানা অখাদ্য কুখাদ্য, পানি পড়া, দোয়া পড়া র চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

বাস্তবে নিরাময় যোগ্য এই রোগীদের ভায়োলেন্ট,  অাতঙ্কজনক মানুষে পরিনত করা হয়। 

সঠিক সময়ে এদের চিকিৎসা দিলে এরা সম্পূর্ণ সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন যাপন করত। কিন্তু এদের অস্বাভাবিক প্রাণীতে পরিণত করা হয়।

যার ফলে হয় ভয়াবহ। 

অনেকে ভায়োলেন্ট হয়। অনাত্মীয় অনাত্মীয়কে মানসিক রোগের বশে অাক্রমণ করে। কখন কথিত জীনের অলৌকিক নির্দেশ পেয়ে কতল করে বসে। 

 

এই নারীর নাম শান্তা। সে মানসিক রোগী ছিল। সঠিকভাবে চিকিৎসা পায় নি। তাই নিজেই কতল করে নিজের গর্ভজাত সন্তানকে। 

তাই বলব, সাবধান হন। মানসিক রোগীর চিকিৎসা করান। তাকে কুসংস্কার,  জীন, ভুতে ধরা হিসেবে অাখ্যায়িত করে কতল কারী হতে দেবেন না।  

এবার কাহিনি পড়ুন। সাবধান হন। 

বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে  ১৭ দিন বয়সী শিশুকে কতল করেছে শিশুর মা শান্তা নিজে। পুকুরে মরদেহ পাওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন শিশুটির মা শান্তা আক্তার (২২)। মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পরে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।


থানা পুলিশ ২৭ নভেম্বর তাকে বাগেরহাট কোর্টে পাঠান। কোর্টেও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শান্তা। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে জানান থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  জানান, শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শান্তা আক্তার তার মেয়েকে নিজেই বিছানা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন বলে স্বীকার করেন। 'জিনের আছড়' ভর করার কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশকে জানান শান্তা।

সে জীনে ধরা হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। হুজুরদের পানি পড়া ও দোয়া পড়া ছাড়া তার কোন সঠিক  চিকিৎসা হয় নি।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়