Ameen Qudir
Published:2016-11-13 01:59:21 BdST
প্রতিদিন লাখ লাখ শিশু পয়দা হয়, সেসব কি ভুতে জন্ম দেওয়ায়কমিশন খায় কোন ডাক্তার
কমিশন খায় কোন ডাক্তার
ডা. সাব্রিনা হায়দার
কমিশন খায় কোন ডাক্তার ? পরিস্কার তাদের নাম জানতে চাই।
আর সহ্য হয় না। মিথ্যের পিঠে মিথ্যে সাজালেই তা সত্য হয়ে যায় না।
আমি ঢাকায় চেম্বার প্রাকটিস করি। প্রতি শুক্রবার ঢাকার বাইরে যাই। কোথায় কবে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে থেকে কমিশন নিয়েছি, আমাকে হিসেব দিন।
ফাজলামির একটা সীমা আছে। আমি তো ঢাকা বা ঢাকার বাইরের কোন চেম্বার থেকেই কোন কমিশন পাই না। রোগী তো কম দেখি না। আমার কমিশনের টাকা কোথায় গেল।
- সারা দিন হাসপাতালে হাড় ভাঙা ডিউটির পর বাসায় ফিরে নাকে মুখে ডাল ভাত গুজে আবার ছুটি চেম্বারে। সেখানে রাত একটা পর্যন্তও যদি চেম্বার করি, শ্রমিকের মত গায়ে গতরে খেটেই রোজগার করি। ঘুষ খাই না। চুরি করি না। ডাক্তারের মত সাধারণ মজুরের পরিশ্রমের রোজগারে আপনাদের বদ নজর কেন।
আসলে চিলে কান নিয়েছে বললেই কি আপনি , আপনারা চিলের পেছনে ছুটবেন। কান ঠিক ঠাক আছে কিনা, সেটা দেখবেন না ?
ঢাকায় ও ঢাকার বাইরের একজন খাটুরে প্র্যাকটিশনার হিসেবে বলছি, এখন ওই সব পুরানা সিস্টেম নাই। পুরানা গান আর গাইবেন না। নতুন গান করেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এখন আর কমিশন দেয় না।
এটা সত্য, একসময় অসাধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ডাক্তার আর মেডিকেল টেস্ট ধরার জন্য ডাক্তারদের অবৈধভাবে কমিশন দেয়া শুরু করেছিল। ল্যাব এইড, পপুলার, মডার্ন সবাই তা করত। অনেক সেন্টার এসব করে বড় হয়েছে, এটাও সত্য। এখন এসব আর ব্যাবসা সিস্টেম হিসেবে জনপ্রিয় নয়।
_____________________________________________________
দিন বদলেছে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
আমাদের যেসব বিশাল ডাক্তার স্যারেরা স্বাস্থ্য মন্ত্রী হওয়ার লাইনে আছেন, তাদের কাছে হাত জোড় করে বলি, পারলে চিকিৎসক সমাজের ভালোর জন্য কিছু করুন।
_____________________________________________________________________
দিন বদলেছে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
আমাদের যেসব বিশাল ডাক্তার স্যারেরা স্বাস্থ্য মন্ত্রী হওয়ার লাইনে আছেন, তাদের কাছে হাত জোড় করে বলি, পারলে চিকিৎসক সমাজের ভালোর জন্য কিছু করুন। থানা ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নেবার কথা বলেন। ডাক্তাররা যাতে সেখানে গিয়ে ভদ্রভাবে থাকতে পারে, তার ব্যাবস্থা করুন।
মান্ধাতার আমলের কমিশন বানিজ্যের ধুয়া তুলে নিজেরা দেবতা সাজবেন না। ডাক্তারদের ধুয়ে নিজেদের পলিটিক্যাল আখের গোছাবেন না।
সকাল থেকে হাসপাতালে ডিউটি করি। কোন ফাকি দেই না। দেব কেমনে। হাসপাতালে যে হাজার হাজার রোগী আসে, দেশে যে প্রতিদিন লাখ লাখ শিশু পয়দা হয়, সেসব কি ভুতে জন্ম দেওয়ায়। আমরাই দেওয়াই। আমরাই টিকিয়ে রেখেছি সাধারন মানুষের সেবা। কোথ্থেকে জন্ম নেয় লাখ লাখ শিশু।
সারা দিন হাসপাতালে হাড় ভাঙা ডিউটির পর বাসায় ফিরে নাকে মুখে ডাল ভাত গুজে আবার ছুটি চেম্বারে। সেখানে রাত একটা পর্যন্তও যদি চেম্বার করি, শ্রমিকের মত গায়ে গতরে খেটেই রোজগার করি। ঘুষ খাই না। চুরি করি না। ডাক্তারের মত সাধারণ মজুরের পরিশ্রমের রোজগারে আপনাদের বদ নজর কেন।
লেখক : চিকিৎসক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
আপনার মতামত দিন: