Ameen Qudir

Published:
2020-02-14 00:49:08 BdST

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রক্তে ভেসে গেছে ইন্টার্ন ডা. রবি মারজুকের শরীর : লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে


ডেস্ক
________________________

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রক্তে ভেসে গেছে ইন্টার্ন ডা. রবি মারজুকের শরীর : লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। এ এক বিষাদময় কাহিনি। কুমিল্লার ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক রবি মারজুককে কুমিল্লার মুন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মুন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে ডা. রবি মারজুকের ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন তার ফুসফুসে ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন না তিনি। আঘাতের ধরন দেখে চিকিৎসকদের ধারণা, মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই ডা. রবি মারজুকের ওপর আঘাত করা হয়েছে।

গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা। রয়েল পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে কুমিল্লার টমসমব্রিজ এলাকায় নামেন ডা. রবি মারজুক। সেখান থেকে কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পরই মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তাঁকে অস্ত্রের আঘাতের ভয় দেখিয়ে সেখানে অপেক্ষমান অটোবাইকে উঠতে বাধ্য করে। অটোবাইকে তুলেই সন্ত্রাসীরা তাঁকে নির্দয়ভাবে বুকে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এরপর অটো-বাইক থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। পালিয়ে যাবার সময় রাস্তায় পড়ে থাকা মারাত্মক আহত ডা. মারজুকের পায়ের ওপর অটো-বাইক উঠিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।
কোতোয়ালি এবং সদর দক্ষিন দুই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার আশপাশের লোকদের জবানবন্দি নিয়েছেন ডিবি পুলিশের একটি টিম। দ্রুতই আসামী গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

ডা. তোফায়েল আহমেদ তানিম প্লাটফর্মে তার লেখায় জানান,

নাম ডা: রবি মারজুক (রবি মারজুক), ময়নামতি মেডিকেল কলেজের একজন ইন্টার্ন ডক্টর, সবার ভরসার জায়গা,
কাজই হচ্ছে সবার বিপদে এগিয়ে আসা,
এই ছেলেটা নিজের বেলায় বেখেয়ালি হলেও আশেপাশের সবার খেয়ালটা ঠিকই রাখতে পারে,
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আনন্দে কষ্টের মুহুর্তে যে একটা ছেলেকে সবসময় পাওয়া যায় সে হল আমাদের রবি।

আর সেই কিনা অগ্যাত সন্ত্রাসীদের নির্মম ছুরিকাঘাতে আজ মৃত্যুসয্যায়, তারা চেয়েছিল ছেলেটিকে খুন করে ফেলতে, তাই হয়তো বুক বরাবর এতগুলো ছুরির আঘাতের চিহ্ন। কোথায় ছুরি চালায়নি তা হয়তো খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হবে; মুখে, হাতে, কাধে, পিঠে, পায়ে কোনো জায়গা বাদ রাখেনাই,
এই সদা হাস্যোজ্জল ছেলেটির সাথে এমন পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। এমনকি এতগুলো ছুরিকাঘাতের পরেও তারা শান্ত হয়নি, এই রক্তাক্ত দেহটাকে চলন্ত গাড়ী থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
কতটা নির্মম ভাবতে পারছেন? সবশেষে এই ছেলেটার পায়ের উপর দিয়ে অটোবাইক দিয়ে পিষে চলে যায়।
এই ছেলেটা এখনও বেঁচে আছে! হয়ত সবার দোয়া সবার ভালোবাসা তাকে এই পৃথিবী ছাড়তে দেয়নি। নয়ত আজকে কালো রং এ ঢেকে থাকার কথা ছিল সমস্ত ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস।

আমি বিচার চাই। আমরা বিচার চাই। বিচার চাই একটি নিষ্পাপ প্রানের উপর এমন বিনা কারনে এই বর্বর অত্যাচারের। বিচার চাই এ ঘটনার সাথে জড়িত মানুষরূপী প্রতিটা পশুর।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়