Ameen Qudir

Published:
2019-08-20 06:11:27 BdST

কৃমিকে আমরা যতই ছোট খাটো সমস্যা ভাবি না কেন, এটা অনেক ভয়ংকর


 

 

ডাঃ নাহিদ ফারজানা


_________________________

কৃমিকে আমরা যতই ছোট-খাটো সমস্যা ভাবি না কেন, এটা কিন্তু অনেক ভয়ংকর একটা জিনিস।আমরা প্রতিদিন যে পুষ্টি পাচ্ছি, তার ৩ ভাগের ১ ভাগ নিয়ে নিচ্ছে কৃমি। কৃমি রক্তশূন্যতা করে।অনেক সময় অনেকের অন্ত্র ব্লক হয়ে যায়, তখন পেট কেটে কৃমি বের করতে হয়।কৃমি হতে জন্ডিস হতে পারে।প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা এই মেসেজ ছড়িয়ে দিন এবং নিজ নিজ এলাকা সহ অন্যান্য স্হান কৃমিমুক্ত করুন ও সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।
১. পেশাব-পায়খানার পরে বাম হাত লিকুইড সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।তারপর ডান হাতও ভাল করে ধুয়ে নিন।
২. ভাত, রুটি, মুড়ি এমনকি একটা বিস্কিট খেতে হলেও ডান হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।এটা খুব জরুরী।
৩. নখ কেটে ছোট রাখবেন।
৪. সব্জি, ফল খুব ভাল করে ধুয়ে খাবেন।
৫. কাঁচা মাটিতে খালি পায়ে হাঁটবেননা।এতে এক ধরনের কৃমি পায়ের চামড়া ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। বাথরুমেও পরিস্কার স্যান্ডেল পরে যাবেন।
৬. কৃমির ওষুধ ৩ মাস পরপর খাবেন, কৃমি থাক আর না থাক। ভাল কোম্পানির ওষুধ ১ টা চুষে খাবেন(রাতে খাওয়ার পরপর, সুস্হির অবস্থায়)।
৭. এই ৩ মাসের মাঝে কৃমি হলে সাথে সাথে আরেকটা ওষুধ চুষে খেয়ে ফেলবেন।

৮. বিশুদ্ধ পানি খাবেন।

৯.ল্যাট্রিন খুব পরিস্কার রাখবেন।

N. B:গর্ভবতী মহিলা কৃমির ওষুধ খেতে পারবেন না।একান্ত দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।কেনার আগে ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা দেখে নিন।ওষুধ রোদ-তাপ হতে দূরে রাখুন।নিজেরাও সুস্হির অবস্হায় একটু ঠান্ডা হয়ে বসে কৃমির ওষুধ খাবেন। ৩ বছরের নিচ বয়সি শিশুদের কৃমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ওষুধ খাওয়ান। গৃহকর্মির পরিচ্ছন্নতার দিকে খুব লক্ষ্য রাখুন এবং তাকেও কৃমি প্রতিরোধের উপায়গুলি সম্পর্কে জানান। যারা এই মুহূর্তে পোষ্টটি পড়ছেন, তাঁদের মাঝে শিক্ষক থাকলে ,তাঁদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ পুরো একটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,কর্মচারীদের কৃমি মুক্ত রাখা.....কৃমি প্রতিরোধের উপায়গুলি , কৃমির ক্ষতিকর দিকগুলি সবাইকে জানিয়ে দিয়ে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অামার বেশির ভাগ রুগিকে অযাচিত ভাবে কৃমি বিষয়ক টিপ্স দিই। আমাদের দেশে অনেক হীরের টুকরো ছেলে-মেয়ে অাছেন, যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান, বস্তিবাসি বা ফুটপাতে থাকা শিশু-কিশোরদের নিজ উদ্যোগে খাওয়ান,লেখাপড়া শেখান। তাঁরা যদি কৃমি কেন হয়, কি ক্ষতি করে, কিভাবে কৃমি হতে দূরে থাকা যায়, কৃমি যদি হয়েই যায়,তাহলে কি চিকিৎসা করতে হবে, কারা কৃমির ওষুধ খেতে পারবেন না-এগুলো বস্তিতে বস্তিতে প্রচার করতে পারেন, এই বিষয়গুলি তাঁদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পারেন, খুব ভাল হয়।
আমাদের জনগণের অপুষ্টির মূল কারণ এই কৃমি।
তাই বিনিত নিবেদন, যে যার অবস্থান থেকে কৃমির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি, কৃমিমুক্ত সুস্থ জাতি গঠনে ভূমিকা নিই।

ডাঃ নাহিদ ফারজানা।
২৫ তম ব্যাচ
বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়