Ameen Qudir
Published:2019-04-12 21:36:59 BdST
নুসরাত ও কৃষ্ণ গহ্বর
অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম
__________________________
১।কৃষ্ণ গহ্বর (ব্ল্যাক হোল) মহা বিশ্বের এক মহা বিস্ময়।
এই প্রথম বিজ্ঞানীরা ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (ইএইচটি) দিয়ে
মেসিয়ার ৮৭(এম৮৭) নামক সাড়ে ৫ কোটি আলোক বর্ষ দূরের ছায়া পথের।
এই বিরল কৃষ্ণ গহ্বরের ছবিটি উঠিয়েছেন।
এটি ইতিমধ্যেই ৬ শত কোটি সূর্য গিলে খেয়ে ফেলেছে।
উজ্জ্বল দীপ্তির পর কেন্দ্রে যে কালো ছায়া দেখা যাচ্ছে ঐ ছায়া ও দীপ্তির মাঝখানের বিভেদ রেখাটিই হচ্ছে "ঘটনা দিগন্ত " বা ইভেন্ট হরাইজন।
এই সীমানা পেরিয়ে গেলে কোন কিছুই আর ফিরে আসতে পারে না,এমনকি আলো ও না।
(২-৩ দিন আগেই আমি এই বিষ্ময়কর ছবির পোস্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু কম মানুষই এতো আশ্চর্যজনক, বিরল ছবির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে)।
কিন্তু বিজ্ঞানকে অবহেলার খেসারত দিতে হয় বড় মাপের ক্ষতির মাধ্যমে।
২। আমরা, আমাদের দেশ,সমাজ ও ঐ রকম এক কৃষ্ণ গহ্বরের ঢুকে যাচ্ছে।
নুসরাতকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারা তারই আরেকটি উদাহরণ।
এই কৃষ্ণ গহ্বরে ঢুকার আগেই থামাতে না পারলে, এই সমাজ অন্ধকার কৃষ্ণ গহ্বরে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
আমরা কি এরই প্রতীক্ষায়?
_____________________________
অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম। সুলেখক।
Professor of Psychiatry , National Institute of Mental Health,Dhaka at National Institute of Mental Health, Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka
আপনার মতামত দিন: