Ameen Qudir

Published:
2017-06-12 20:12:59 BdST

বিএমএর হুঁশিয়ারী : দাবি না মানলে ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি


 

 

 

অবিলম্বে দাবি না মানা হলে ঈদের পর দেশের প্রতিটি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

 

বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী পত্রিকায় প্রকাশের জন্য নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রদান করেনঃ

“সারাদেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে ও চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থলের দাবীতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১১ই জুন রবিবার দেশের প্রতিটি জেলায় বিএমএ এর আহবানে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশের মতো ঢাকার সকল চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সামনে উক্ত কর্মসূচি পালিত হয়। ঢাকার শাহাবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন বিএমএ’র মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএ সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. সফিকুর রহমান, বিপিএমপিএ মহাসচিব ও বিএমএ’র কার্যকারী পরিষদ সদস্য ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ, সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ডা. পূরবী রাণী দেবনাথ, ডা. জহুরুল হক সাচ্চু, ডা. পবিত্র কুমার দেবনদাথ, সেন্ট্রাল কাউন্সিলর ডা. তানভীর আহমেদ, ডা. শারমিন অমি প্রমুখ।

উক্ত পথসভায় বক্তারা বলেন চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় এখন সময়ের দাবি। ইত্যবসরে আমাদের জানামতে প্রায় ৭৩ জন চিকিৎসক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন এবং শতাধিক হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ভাংচুর হয়েছে। বিএমএ প্রতিটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে নিরাপত্তাপ্রদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের সাথে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজ পর্যন্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রদান করে নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা দানে তেমন কোন ভূমিকা রাখেন নি। বক্তারা আরও বলেন এদেশের ৭০,০০০ চিকিৎসক ও ১৬ কোটি মানুষকে হাসিমুখে চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধপরিকর কিন্তু চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির অভাবে চিকিৎসকবৃন্দ ইচ্ছা থাকলেও সেবা প্রদান বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

বক্তারা দেশের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন এদেশের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আমাদের প্রতিপক্ষ নয় বরং প্রতিটি বিষয়ে জেনে শুনে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানান। আদমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে আজ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি আমাদের দাবি মানতে হবে। অবিলম্বে আমাদের দাবি না মানা হলে ঈদের পর দেশের প্রতিটি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। নের্তৃবৃন্দ পূর্বঘোষিত আগামী ১৮ই জুন সারাদেশে দিনব্যাপী প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখারঅাহবানে জানান। আগামী ৩ রা জুলাই বিএমএ সকল জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সাথে বর্ধিত সভায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

____________________________

বার্তা প্রেরক

ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান (বাবু)
প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়