Ameen Qudir
Published:2017-03-02 18:31:19 BdST
১৭ মরনাপন্নকে যেভাবে জীবনে ফিরিয়ে আনলেন বাংলাদেশী চিকিৎসক
বিনা চিকিৎসায় অনাহারে মারাই পড়ছিল এই ১৭ অাদমসন্তান। কিন্তু বাংলাদেশের মানবসেবী চিকিৎসক ও শান্তিদূত তাদের ঠিকই ফিরিয়ে আনলেন জীবনের আলোয়। সে কথাই বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন
মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
___________________________
এই ১৭ জন হতভাগ্য মাছ শিকারি মরোক্কো আর
মৌরিতানিয়ার মাঝে 'বাফার স্ট্রিপ' -এ ঢুকে পড়ে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় সেনেগালের এই হতদরিদ্র নাগরিকরা সীমান্ত পেরিয়ে নিজদেশে ফিরে যেতে পারছিল না। খোলা মরুভূমিতে দিনের পর দিন প্রায় অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় এই আদম সন্তানেরা মানবেতর জীবন যাপন করছিল।
২।
বিষয়টি জাতিসংঘের নজরে আসা মাত্র বিদ্যুৎগতিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়। রোগশোকে কাতর মানুষগুলির চিকিৎসার জন্য এম আই ৮ নামক রাশান হেলিকপ্টারের বিশেষ ফ্লাইটে চিকিৎসক হিসেবে আমাকে পাঠানো হয়। উন্মুক্ত স্থানে এদের চিকিৎসা সেবা প্রদান ছিল জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া যুক্ত ছিলো ভাষাগত সমস্যা ।তারপরেও আমার যতটুকু সাধ্য তা করবার চেষ্টা করি।সাথে সাথে কত্রিপক্ষকে পরবর্তী করণীয় সন্মন্ধে অবহিত করি।
৩।শেষতক এই মানুষগুলির তীব্র ইচ্ছাশক্তি আর জাতিসংঘের সহযোগিতায় তারা নিজদেশে যেতে সক্ষম হয়।
৪।রোগশোকে ভোগা এই মানুষগুলির বেদনা আমাকে আচ্ছন্ন করেছিল। আবার বিশেষ বিমানে যে চিকিৎসককে জাতিসংঘ পাঠিয়েছিল সে "বাংলাদেশ" নামের এক জনপদের সেটি ভাবতেই গৌরব আর আনন্দের এক অমর কাব্য আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
৫।প্রিয় ধরিত্রীমাতা, আমি নতশিরে তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তুমি আমাকে 'বাংলাদেশের' চিকিৎসক হিসেবে আন্তজাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করবার সুযোগ দিয়েছো।
_____________________________
মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ । সুলেখক।
ওয়েস্টার্ন সাহারায় কর্মরত।
আপনার মতামত দিন: