Ameen Qudir

Published:
2017-03-13 02:53:39 BdST

বিদায়ের বিষন্ন দিনে সবাইকে আনন্দে ভরিয়ে দিলেন শেবাচিম শিক্ষক ডা. দিদার


 


তাওহীদ হাসান _________________

 

বিদায়ের বিষন্ন দিনে সবাইকে আনন্দে ভরিয়ে দিলেন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মুজাহিদ উদ্দিন আহমদ (দিদার) ।
সবার প্রিয় ডাক্তার । প্রিয় মানুষ। লোকসেবী। সহকর্মী দের কাছে প্রিয় । মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরম শ্রদ্ধেয় স্যার।

বিদায়ের বিষন্ন দিনকে তিনি বেদনা ভারাক্রান্ত রাখতে চান নি। বরং সহকর্মী , স্বজনদের হাসিমুখ দেখেই তিনি চাকুরি থেকে বিদায়ের আকাঙ্খা ব্যাক্ত করেন।

তাই আয়োজন হয় ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠানের।

বিদায় সংবর্ধনা ও এনাটমি বিভাগের পিকনিক অনুষ্ঠিত হয় সম্প্রতি ।

সকাল থেকে শুরু করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারাদিন ভর চলে এই অনুষ্ঠান।

 

দীর্ঘ তিরিশ বছর ধরে শিক্ষকতা করা ডা. দিদারের অনেক ছাত্র ই বর্তমানে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাই শিক্ষকের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দৈনন্দিন কাজের একঘেয়েমি কাটাতে কুয়াকাটাতে এ আয়োজন করা হয়।


তাছাড়া নৈসর্গিক কুয়াকাটা বৃহত্তর বরিশালবাসীর জন্য বিশেষ একটি আকর্ষণ। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সপরিবারে এতে অংশ নেন। তবে, বরাবর পিকনিক গুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এবার করা হয়নি।


স্মৃতিচারণে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন কথা বিশেষ করে ডা. দিদারের শিক্ষকতা জীবন, আদর্শ, জনপ্রিয়তা, ন্যায় পরায়নতা সহ বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে।


শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে কর্মরত একজন শিক্ষক বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েই শিক্ষার্থীরা ডা. দিদার স্যারের আদর্শের সংস্পর্শে আসে। লেখা পড়ার পাপাশাপাশি অনেক কিছু শেখার আছে তার কাছ থেকে।

 

উল্লেখ্য বরিশাল জেলা স্কুলের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও কলকাতার বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত মেমরিয়ালের সাবেক শিক্ষার্থী সুফিয়া বেগমের কনিষ্ঠ সন্তান ডা. দিদার। তিনি ১৯৭২ সালে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৭৪ সালে বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৮২ সালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন।


তিনি কর্মজীবন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে সহকারী সার্জন হিসেবে শুরু করেন। পরে কিছু দিন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন।


এরপর পুনরায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন এবং এখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি এনাটমি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে প্রথিত যশা।


তিনি গিয়াস উদ্দিন আহমদ কল্যাণ ট্রাস্টের সাথে জড়িত এবং গরিব দূ:খী শিক্ষার্থীদের এই ট্রাস্টের মাধ্যম সহায়তা করা হয়। তিনি একটি স্বনামধন্য বিদ্যা পিঠের বিদ্যা উৎসাহী ব্যক্তি ছিলেন। গত তিরিশ বছর ধরে একটানা বরিশালের মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। অবসর জীবনে লেখালেখি ও গরিব অসহায় মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়