DR. AMINUL ISLAM
Published:2024-09-03 11:06:50 BdST
সরকারি গাড়ি ব্যবহারে যথেচ্ছাচার বন্ধ হচ্ছে
ডেস্ক
___________________
সরকারি কর্মচারীদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে । প্রকল্প ও সরকারি দপ্তর-বিভাগগুলোর গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার বন্ধে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দেওয়া গাড়ির বিষয়ে চিঠি ইতিমধ্যে আইএমইডিতে পৌঁছেছে।
শিক্ষাবিদ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস এক মন্তব্য সংবেদনে
লিখেছেন,"
সরকারী গাড়ীর অবৈধ ব্যবহার
লাল নীল রেজিষ্ট্রেশন প্লেট
অবৈধ ব্যবহার রোধে এরশাদ সরকারী গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন প্লেটের রঙ পাল্টেছিল। পুরো সরকারীর লাল আর স্বায়ত্বশাসিতদের নীল। এতে করে অবৈধ ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছিল। এক এক জন উর্ধতন কর্মকর্তা তিনটা পর্যন্ত গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। বিশেষ করে অধিদপ্তরের প্রকল্পের গাড়ী গুলো। বিভিন্ন মানের সচিবগন এতে অগ্রণ্য। আমলাদের চাপে এটা বিলোপ হয়ে যায়। আবার চালু করা উচিত। জনগন তখন অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধ করবে।"
ওদিকে
গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় পাঠানো হয়েছে। সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো জরুরি সভা করে এ ধরনের গাড়ির ব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ গাড়িগুলো সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, ব্যাংক-বিমা, কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ছিল।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের হিসাবে সরকারি পরিবহন পুলে প্রায় দুই হাজার গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ২০০টি গাড়ি। বাকি গাড়িগুলো স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যবহার করে থাকেন। এসব গাড়ির তেল ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং প্রকল্পের গাড়ির হিসাব থাকার কথা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ—আইএমইডির দপ্তরে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর এবং শেষ হওয়ার পর গাড়ির হিসাব ওই সংস্থার কাছে দিতে হবে। কিন্তু তাদের কাছে গাড়ির কোনো হিসাব নেই। প্রকল্পগুলোয় তিন থেকে চার হাজার গাড়ি থাকার কথা।
আপনার মতামত দিন: