DR. RAZ MAHAJAN

Published:
2024-05-06 11:42:43 BdST

মেডিক্যাল কলেজ, চিকিৎসক নিগ্রহ, গাফিলতি কার - জানা যাক আসল সত্য


 

ডেস্ক
___________________

অবশ্যই সবকিছু ডাক্তারদের দোষ।
ডক্টর অর্জুন দাশগুপ্তর ওয়াল থেকে পাওয়া লেখা।

*তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, চিকিৎসক নিগ্রহ, ?গাফিলতি কার - জানা যাক আসল সত্য!*

আজ ৫ই মে,২০২৪ ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল তমলুক মেডিকেল কলেজের আক্রান্ত সিনিয়র রেসিডেন্টদের সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সঞ্জয় হোম চৌধুরী, পুণ্যব্রত গুণ, মৃন্ময় বেরা, সৌম্য কান্তি পন্ডা এবং রাহুল দেব বর্মন।
আমরা কথা বলে যা জানতে পারি, তা এতদিন যা মনে হয়েছে, তার থেকে আলাদা। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং চিকিৎসক মার খেয়েছেন এমনটা নয়।

২রা মে, ২০২৪, রাত ৯টা নাগাদ একজন রোগী রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্ট-এর পর ভর্তি হন। তার জিসিএস ১৫/১৫ ছিল। মাথার সিটি স্ক্যান স্বাভাবিক ছিল। মদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বুকে ও পেটে ক্লিনিক্যালি কোন অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। তিন মাস ধরে হাসপাতালে এক্স-রে হয় না। তাই বুকের এক্সরে করা যায়নি।

ভর্তি হওয়ার কিছু সময় পরে রোগী বেড থেকে উধাও হয়ে যান। বারোটা নাগাদ রোগী অ্যাবস্কন্ডিং রিপোর্ট করা হয়। কিছু ঘন্টা পর কিছু লোক নিয়ে এসে রোগীকে আবার আগের বেডে শুইয়ে দেওয়া হয়, এবারে রোগী কিন্তু মৃত। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ছিলেন ডা. সুদীপ পাল। তার ওপর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দিতে থাকে মারমুখী ১৫-২০ জন। পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে ডা সুদীপ পাল যখন হোস্টেলে ফিরছেন, তখন তার ওপর ইট এবং বাঁশ দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বাধা দিতে আসেন ডা সায়ন চক্রবর্তী, তিনিও প্রহৃত হন। সায়ন ঠোট ও চোয়ালে ব্যাথার জন্য এখনো তরল পানীয় খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারছেনা না। সুদীপের মোবাইল ফোনও পেশেন্ট পার্টি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মৃত রোগীকে পোস্টমর্টেম এ পাঠানো হয়েছিল, সেখানে তার নিউমোথোরাক্স পাওয়া যায়। রোগীকে নিয়ে তার বাড়ির লোক চলে না গেলে চিকিৎসক চিকিৎসা করার সুযোগ পেতেন।

পুলিশ অভিযোগ জমা নিয়েছে - FIR at Tamluk PS dated 2/5/24 vide FIR No. 0394
Under sections -
143, 186,341,332, 333, 353, 323, 325, 326, 448, 307, 34 and West Bengal Medicare Act of 2009. কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাত্র তিনজন অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। কলেজ কতৃপক্ষও সিসিটিভি ফুটেজ চিকিৎসকদের দেন নি - দিলে শনাক্তকরনে সুবিধা হতো বৈকি!

৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির পর মানুষের চিকিৎসার কথা ভেবে কাজে ফিরে গেছেন সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং অন্যান্যরা। কিন্তু সুরক্ষার জন্য তাঁরা যে যে ব্যবস্থা দাবি করছেন তার কোনোটাই পূরণ হয়নি। কলেজ ও জেলা প্রশাসন এখনো নিরাপত্তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতে পারেনি।

মঙ্গলবার ৭ই মে কলেজ কাউন্সিলের মিটিং এর অপেক্ষা করছেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম সমস্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারন মানুষ ও মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে আহ্বান করছে যে প্রতিটি দোষী যতক্ষন না গ্রেফতার হচ্ছে ও যথাযথ শাস্তি পাচ্ছে, যতক্ষন না হাসপাতাল তথা কাজের জায়গায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে, নামকাওয়াস্তে বাঙের ছাতার মতন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা মেডিক্যল কলেজ না খুলে আগে যে গুলো আছে তাতে পরিষেবা দেওয়ার ন্যুনতম ব্যবস্থা করার দাবীতে আমাদের সাথে থাকুন, পাশে থাকুন।

*ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম*
WBDF

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়