ডা শাহাদাত হোসেন

Published:
2022-06-02 05:54:44 BdST

এক চিকিৎসকের বিশ্লেষণশ্রী লঙ্কার পথে পাকিস্তান: ১ লিটার ভোজ্যতেল ৬০৫ রুপি: বৈদেশিক ঋণের লাল ঘোড়া ছুটছে


 

 

ডা. শহীদুল ইসলাম
________________________

পাকিস্তানের অর্থনীতি, রাজনীতির অবস্থা হযবরল। লেজে গোবরে হয়ে পড়েছে গোটা একটা রাষ্ট্র। শ্রী লঙ্কার মত  মহাবিপর্যয় এখন যেন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
একদিকে নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কথার ফাঁকাওয়াজ করে চলেছেন: নিজের জামা বিক্রি করে হলেও জনগণকে কম দামে আটা দেব; অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি এক লাফে ২১৩ রুপি বাড়িয়ে দিয়েছে। লম্ফঝম্প যতই চলুক, ১ লিটার
ভোজ্যতেলের দাম ৬০৫ রুপিতে গিয়ে ঠেকেছে, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। তবে তেল না খেয়ে ঘি খাওয়ার শাহি ফরমান দিতে পারেন শাহবাজ। প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম ৫৫৫ রুপি মাত্র। তথ্যগুলো দৈনিক ডন পত্রিকা থেকে পাওয়া।

 


করাচির ইউটিলিটি স্টোরস (ইউএসসি) করপোরেশন জানিয়েছে, ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার এই উল্লম্ফনের নোটিশ ১ জুন থেকে কার্যকরের নির্দেশনা দিয়ে ইউএসসি নোটিশ জারি করেছে। তবে নির্দয়ভাবে এভাবে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কর্মকর্তারা কিছু বলছেন না। ভোজ্যতেলের এভাবে মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের বিপদে ফেলবে।

শ্রী লঙ্কার মত
বৈদেশিক ঋণে জর্জর পাকিস্তানের অর্থনীতিতে লাল ঘোড়া দাবড়াচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় দেশটি। আইএমএফ ঋণ পেতে জ্বালানির ওপর ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে। এতে এক ধাক্কায় পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৩০ রুপি বেড়ে যায়।

রুপির অবমূল্যায়নের পাশাপাশি লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছিল। তার ওপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ছিল মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ভোজ্যতেলের রেকর্ড মূল্যের কারণে নিত্যপণ্যের ব্যয় মেটানো এখন সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মহা কেয়ামত থেকে বেরিয়ে আসা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হবে। ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে ভুল রাষ্ট্রনীতি, দূর্নীতি প্রশাসন, পশ্চাদপদ সমাজ, বৈদেশিক ঋণে খাঁড়ার নিচে তারা আত্মহত্যা করেছে অনেক আগেই।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়