ডা সানজিদা শারমিন

Published:
2022-04-24 19:28:53 BdST

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম:এই অসুখটি নারীজীবনে ভয়াবহ আকার লাভ করেছে


 


ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
______________________


পি সি ও এস / পি সি ও ডি
( P C O S / P C O D)
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম।
আজকের দিনে এই অসুখটির নাম আদৌ অশ্রুতপূর্ব নয়। কারণ, এর ব্যপ্তি। ধনী নির্ধন, জাতি / ধর্ম না মানা এই অসুখ টি নারীজীবনে ভয়াবহ আকার লাভ করেছে ইতোমধ্যে।
এর বিস্তার বা Spectrum বেশ বড়। অন্ততঃ তিনটি ফেনোটাইপের সন্ধান মিলেছে ইতোমধ্যেই।
কি কি তারা?
অন্ততপক্ষে
১/ Hyperandrogenism বা বেশী বেশী করে পুরুষ Sex হরমোনের উপস্থিতি বা প্রকাশ অথবা উভয়েই।
২/ Oligo - anovulation বা আদৌ বা অতি কম ডিম্বানুর পরিপূর্ণ তা বা পরিপক্কতা লাভ, বেশিরভাগ মাসিক ঋতুচক্রে।
৩/ Polycystic ovaries - বা প্রতিটি ডিম্বাশয়ের ওপরে অনেকগুলি গোলাকার বা বর্তুলাকার বৃদ্ধি। এটি স্বাভাবিক ভাবেই দেখা যাওয়ার বা বোঝা যাওয়ার কথা নয়, প্রথমতঃ বোঝা বা দেখা যায় ও না।
(উলত্রাসনোগ্রাফি তেই প্রথমে বোঝা যায় সচরাচর) ।
এর তিনটি ফেনোটাইপ পাওয়া যায়, কিন্তু এই তিনটির দুটি যদি কোন মহিলার পাওয়া যায়, ধরে নিতে হবে তিনি / সে এই অসুখে ভুগছে / ভুগছেন।
তা এতো হৈ চৈ এর কি আছে?
আছে আজ্ঞে। সেই জন্যেই তো জানানো।
এর স্নেহছায়ায় যারা বাঁধা পড়লেন, তাদের অনেক জ্বালা।
১/ তাদের ওজন খুব বেড়ে যায়, হটাৎ করেই। প্রথমটা স্বাস্থ্য ভালো বলে চালানো গেলেও অচিরেই লোকজন মোটা বলবেন। একে ইংরেজিতে সেন্ট্রাল ওবেসিটি বলছে।
২/ এদের শরীরে, বিশেষত মুখমণ্ডলে প্রচুর কেশাগম, একেবারে কিশোরদের ধরণে। নাকের নীচে, এবং ঠোঁটের ওপরে কেশের হালকা ছোঁয়া, জুলফির কাছেও তাই, আবার থুতনির নীচে ও পরিষ্কার দাড়ির আভাস।
একেবারে শেষ পর্যায়ে স্বর অবধি পুরুষালী পরিবর্তনের পথে যেতে পারে।
৩/ ঋতুচক্রের ভীষণ ভয়ানক গোলমাল।
৪/ প্রচুরতর ব্রণ, মুখ থেকে শুরু করে গলায়, ইত্যাদি।
এর ফলে এই চক্রের ছায়ায় আসা বালিকা / কিশোরী দের যৌবনে মাতৃত্ব আসা ভারি শক্ত।
যাকে ইদানীং ইনফার্টিলিটি বলছেন অনেকে।
বিয়ের বেশ কয়েক বছর পরে মেয়েটি যখন মা হতে পারছে না, ফার্টিলিটি সেন্টারে, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞা র শরণাপন্ন হচ্ছেন দম্পতি, এবং অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটির পিতামাতা ও।
আরো অদ্ভুত যে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ / বিশেষজ্ঞা দের অনেকেই খুব দ্রুত ফার্টিলিটি কনসালটেন্ট বা প্রজনন বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন।
তিষ্ঠ পথিকবর, জন্ম যদি বঙ্গে,......
এটি কিন্তু কোন অর্থেই স্ত্রী রোগ নয়, বরং হরমোন জনিত অসুখ বা Endocrinal dysfunction।
তা, সোজাসুজি এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এর কাছে তো যায় ডায়বেটিস আর থাইরয়েড এর অসুখে, এখানেও যাবে নাকি?
হ্যাঁ, কারণ তাঁদের এই এন্ডোক্রিন বা অন্ত্যক্ষরী গ্রন্থি এবং তাদের অসুখ বিসুখ নিয়েই যে কাজ কারবার।
এন্ডোক্রিন ফাংশান বা হরমোন এবং উৎসেচক বা এনজাইমের তফাত কি?
ভারি সঙ্গত প্রশ্ন।
যে গ্রন্থি বা Gland থেকে মূলতঃ কোলেস্টেরল নির্মিত এই প্রোটিন গুলি যদি রক্তে মিশে শরীরের অন্য কোন অঙ্গে বা অঙ্গ সমূহে কাজ করে, তাহলে তাদের হরমোন বলা হয়।
আর যদি যেখানে জন্ম সেখানেই কাজ করে, রক্তে মেশে না, তাহলে তাদের নাম এনজাইম।
প্যাংক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের দুটি ভাগ আছে, প্রথম ভাগ থেকে ইনসুলিন, গ্লুকাগন ক্ষরিত হয়ে রক্তে মিশে অন্যত্র, যেমন লিভার ও ফ্যাট সেলের ওপরে কাজ করে, তাহলে তারা হরমোন।
দ্বিতীয় ভাগ থেকে ক্ষরিত হয় লাইপেজ, অ্যামাইলেজ ইত্যাদি যা রক্তে না মিশে পিত্ত থলী বা Bile duct দিয়ে একেবারে ক্ষুদ্রান্ত্রে বা বাংলায় Small intestine এ কাজ করে হজমের বা Digestionএর প্রক্রিয়া টি সম্পন্ন করে, তাদের নাম হলো এনজাইম বা উৎসেচক।
আবার দেখা গেছে এই PCOS এ যারা ভুগেছেন, পরবর্তী জীবনে তাঁদের ১/ উচ্চ রক্তচাপ বা Hypertension, ২/ নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ৩/ ঘুমের মধ্যে হটাৎ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা Sleep apnoea, ৪/উদ্বেগ ও বিষাদ বা Anxiety and Depression, ৫/ ক্যানসার এর সম্ভাবনা, ৬/ ডায়বেটিস T2 এর সম্ভাবনা বেড়ে চলে লাফিয়ে লাফিয়ে, ৭/ আলঝাইমার্স ডিমেনশিয়া বা মস্তিষ্কের কাজকর্ম খুব ধীর লয়ে কিন্তু অভ্রান্ত ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া।
এছাড়াও গর্ভাবস্থা তেও এদের, মিসক্যারেজ বা বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া, প্রি একলাম্পসিয়া ( Pre eclampsia) এমনকি গর্ভাবস্থায় শিশু মৃত্যুর হার ও বেশি।
এবারে আসা যাক কার্য কারণ সমণ্বয়ে যার ইংরেজি Pathophysiology বললে অত্যুক্তি হবে না বেশি।
দুজায়গা থেকে সেক্স হরমোন গুলি ক্ষরিত হয়, ১/ আমাদের শরীরের দুই কিডনি বা বৃক্কের ওপরে পোপের সাদা টুপির মতো ছোট যে দুটি টুপির মতো অন্তক্ষরা গ্রন্থি বা Adrenal বা আদ্রেনাল গ্ল্যান্ড নামে যে দুটি র উপস্থিতি আছে, আর ২/ ওভারি বা ডিম্বাশয়। এক্ষেত্রে আদ্রেনাল গ্ল্যান্ড গুলি ঠিক ঠাক ই কাজ করে, কিন্তু যত গন্ডগোল ওভারি দ্বয়েই।
ডিম্বাশয় থেকে প্রোজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন যেমন বের হয়, তেমনি বের হয় টেস্টোস্টেরন ও। এই টেস্টোস্টেরন ই আদি ও অনাদি পুরুষ সেক্স হরমোন। সাধারণত এই Testosterone রক্তে র Globulin এর সঙ্গে যুগ্ম ভাবে থাকে।
পাঠক পাঠিকা গণ স্মরণে রাখবেন, সবসময়ই রক্তে কোলেস্টেরল বা ফ্যাট, প্রোটিন বা গ্লবিউলিন এর সঙ্গেই যুক্ত থাকে, LDL বা লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের ( যেটির হার্টের অসুখে বড় অবদান আছে বলে মান্যতা লাভ হয়েছে) এর বেলাতেও ঠিক তাই। স্বামী স্ত্রী র মতো কে কাকে বহন করে বলা মুশকিল তবে এরা সচরাচর একত্রেই থাকে।
কিন্তু অনেক টেস্টোস্টেরন রক্তে একলপ্তে ক্ষরিত হলে, অনেক ক্ষেত্রেই বাহনের অভাব হয়। ( সুধীরা স্মরণ করবেন বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ভাগ্যিস সকল যাত্রী ই ট্যাক্সির প্রতীক্ষা করেন না, অনেকের ই নিজস্ব গাড়ি আসে, নিয়ে যাবার জন্যে ; কিন্তু সবাই ট্যাক্সি চাইলে কি যে হতো, তদোপরি যদি ব্যস্ত বিমানবন্দর হয়!!!)
সেক্ষেত্রে অনেককেই বিশ্বের নানা শহর অনুযায়ী মেত্রো রেল বা বাসের খোঁজ করতে হতো গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য।
এখানেও তাই ই। যে টেস্টোস্টেরন গ্লোবুলিন পেল না তারা মুক্ত ( মুক্তকচ্ছ??) অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন দিকে ঘুরে বেড়ায়, তাদের মুখের ত্বকের ওপর কার্যকারণের ফলেই কিশোর কিশোরী দের ব্রণ হওয়া। একটু বয়েস বাড়লে শরীর টেস্টোস্টেরন এর অভিঘাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পর্যাপ্ত গ্লোবিউলিন তৈরী করে এবং ২৫ বছরের পরে ব্রণ কিন্তু খুব কম দেখা যায়।
দাঁড়ান। একটু অপেক্ষা করুন!
এই যে এতো টেস্টোস্টেরন আধিক্য, এর পশ্চাতেও রক্তে ইনসুলিনের আধিক্য ই দায়ী । শুধু তাই নয় এই অধিক ইনসুলিন ই লিভারকে চাপ দিয়ে বাইন্ডিং গ্লবিউলিন এর মাত্রা কম করিয়ে রাখে। যার কারণেই এতো ফ্রি টেস্টোস্টেরন শরীরের অন্য জায়গায় পুরুষালি ছাপ আনতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়।
কি ঘটে ওভারিতে --
অধিক ইনসুলিন শরীরে এল এইচ বা Leutinizing hormone এর ক্ষরণ কে বাধা দেয়।
সাধারণ ভাবে একটি চক্রে একটি করে ওভুম ( আশ্চর্য হবেন হয়তো যে ডিমের লাতিন নাম ও Ovum বা ওভুম) এর পরিপূর্ণ তা প্রাপ্তি হয় এবং তা ডিম্বাশয় থেকে ছাড়া পেয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউব বাহিত হয়ে ইউটেরাস বা জরায়ু তে আসে।
কিন্তু এইজন্যে ফলিকুল গুলি অন্ততঃ ১০ মিলিমিত্র বা তদোর্ধ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অধিক ইনসুলিন এই ফলিকুল কে বড় হতে বাধা দেয় এবং খুব বেশি হলে ৮ মিলিমিত্র র বেশি হতে দেয় না।
এর আরেক নাম ফলিকুলার অ্যারেস্ট।
ফলে এই পূর্ণতা না পাওয়া ফলিকুল গুলিই ওভারি বা ডিম্বাশয়ের গাত্রে জমা হয়ে সিস্ট বা বর্তুলাকার করে তোলে ওভারি কে, যা উলত্রাসনোগ্রাফি তে বোঝা যায় এবং এরি নাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ।
এই কারণেই Ovum বা ওভুম পরিপূর্ণ না হওয়ার কারণে মুক্তি পায় না, এবং অনেক মাসিক চক্রে আদৌ কোন ডিম্বাণু আসেই না ডিম্বাশয় ছেড়ে এবং তাইই গর্ভাধান ও ঘটে না। কারণ এই চক্র টিই অ্যানিউভোল্যুটরি।
চিকিৎসা ➤
এতকাল অবধি ৪ রকম চিকিৎসা করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে বৈকি।
✪১/ মেটফর্মিন নামে একটি ওষুধ দেওয়া হয় যার কাজ, ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়ানো, যা ডায়বেটিস এর চিকিৎসায় কাজে লাগে, কিন্তু সহজবোধ্য কারণেই এই পরিপ্রেক্ষিতে এটি নেহাত ই অপ্রয়োজনীয়। ইনসুলিন যে এমনিতেই প্রবল কিনা।
✪২/ ক্লোমিফিন সাইট্রেট নামক উর্বরতা বৃদ্ধিকারক একটি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, যেটিও সাধারণ বুদ্ধির বাহিরে। কারণ ফলিকুল গুলি পূর্ণতা পেতে পারছেনা অধিক ইনসুলিনের কারণে, যেখানে এই ধরণের ওষুধ শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, অর্থের হিসেবে ধরলে ক্ষতিকর ও বৈকি।
✪৩/ ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল দেওয়া হয়, চক্র নিয়মিত করতে। কারণ চক্র নিয়মিত হলেই বুঝি সব সমস্যার সমাধান হবে। অনেক ওষুধ কোম্পানি আবার আরো এক ধাপ আগিয়ে এর সঙ্গে অ্যান্টি টেস্টোস্টেরন যৌগ, Ceproterone acetate যোগ করে দিচ্ছে, আর স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ দের বোঝাচ্ছে যে এই যৌগ টি টেস্টোস্টেরন এর কাজে বাধা দিয়ে পুরুষালী মুখের ত্বকের কেশ সমস্যার সমাধান করে দেবে।
এবং উইদড্রয়াল ব্লিডিং ও হবে। চিকিৎসক, রোগিণী এবং অন্য আত্মীয়েরা সকলেই খুব খুশী, কারণ অবান্ছিত মুখের কেশ ইত্যাদি ও কমছে, তদোপরি চক্র ও নিয়মিত হচ্ছে।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
কাজের কাজ যে কিছুই হলো না। নিউমোনিয়া হওয়ার কারণে জ্বর হয়েছিল। জ্বর সারানো / কমানো হলো। এতে কি নিউমোনিয়া সারবে?
সারে কখনো??
✪৪/ ওভারিয়ান ওয়েজ রিসেকশন --
সাধারণতঃ স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ রা সার্জেন ও বটেন।
তাঁরা আগ্রহী হয়ে কি করলেন?
তাঁরা তরমুজ থেকে একফালি টুকরো কেটে আনার মতো একটুকরো ওভারি কেটে বাদ দিলেন।
কি হলো তাতে?
আপাতত লাভ হলো বৈকি!
রক্তের টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা কমলো যে
তাতে ব্রণ, অবান্ছিত কেশরাশি র উৎপাত কমলো।
কিন্তু মূল জায়গার কিছুটি হলোনা।
কারণ ফলিকুল ম্যাচিওর না হতে পারায় ওভুম পরিপূর্ণতা পাবে না, তাই ওভারি থেকে বেরুবেও না।
ইদানীং এই একই অস্ত্রোপচার lap ovarian drilling নামে করছেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ রা। এতে একই দিনে রোগিণী বাড়ি ফিরছেন কিন্তু মূল অসুখের কিছুই হলোনা, প্রবল টেস্টোস্টেরন কমে উপসর্গ কমে সাময়িক ( আজ্ঞে হ্যাঁ, Temporary) আরাম হতে পারে, এটুকুই মাত্র।
এর পরই আসবে IVF, Surrogacy, অর্থের অনর্গল অনর্থ হবে, হতেই থাকবে।
উপসংহার -- কারণ যেহেতু অধিক ইনসুলিন, ইনসুলিনের মাত্রা রক্তে কমাতে পারলেই, সবকিছুই ছন্দে ফিরবে।
দূর্ভাগ্যক্রমে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কম করার কার্যকর ওষুধ খুব কম। এই ওষুধ গুলি দামী, এবং খুব সাবধানে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করা উচিত। হয়তো আশ্চর্য হবেন জেনে যে এইগুলি T2 ডায়বেটিস এর চিকিৎসা তেও ইদানীং কালে অনেকে ব্যবহার করছেন বৈকি।
তদোপরি উপযুক্ত ডায়েটের সঙ্গে তার ব্যবহারেই সুফল অথবা কাঙ্খিত ফল মিলবে। এটিও যথাযথ ভাবে আপডেট করা এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এর ই কাজ, গায়নিকোলজিস্ট দের নয়।
সুখের কথা, বিদেশে তো বটেই, এদেশেও এই চিকিৎসায় সুফল পাওয়া গেছে এবং অনেক মহিলার ই স্বাভাবিকভাবে সন্তানের মা হয়েছেন।
তবে কিনা এই IVF, Surrogacy চক্র এতো শক্তিশালী এবং এত বহুল বিজ্ঞাপিত যে, তাদের প্রচার ও আকর্ষণ কাটিয়ে ওঠা খুব শক্ত।
লক্ষ্য করবেন ৮০ র দশকের আগে এই রোগ প্রায় অজানা ছিল এবং আজকের জেট যুগে এ ডায়বেটিসের মতোই ঘরে ঘরে প্রায়।।
______________________

ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ভারতবর্ষের একজন শীর্ষ
ডায়াবেটিস এনডোক্রাইনোলজি কনসালটেন্ট ;তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। এমডি করেছেন। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
তিনি বাংলা, ফরাসী , ইংরাজী সহ বহুভাষায় পারদর্শী।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়