Dr.Liakat Ali

Published:
2022-02-25 00:53:31 BdST

বই পড়লে পরমায়ু


লেখক

 

 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যাচার্য
________________
ফাগুন যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। এসেছে তেমন বইমেলা। ফাগুন মানেই কৃষ্ণচূড়া আর পলাশ। আর ফেব্রুয়ারি মানেই বইমেলা। মেলায় বইয়ের দোকানে থরে থরে সাজানো বই। কত নতুন বই বেরোবে, কত বেরিয়েছে এবারের মেলায়। বই কিনবে, পড়বে অনেকে। বই বিশ্বস্ত বন্ধু। বই কিনুন। বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না— পুরোনো কথা, তবে সত্যি। বই অনন্ত যৌবনা, লিখেছেন ওমর খৈয়াম।


কিন্তু বই পড়লে আয়ু বাড়ে, এ হাল আমলের কথা। আজকালকের জীবনের শুধু দুশ্চিন্তা আর দুশ্চিন্তা। তাই একটু হালকা হতে বইয়ের সঙ্গে মিতালি, বইয়ের সঙ্গে সখ্য পাতান। আছে স্মার্টফোন। তাতে পড়া যায় ই-বুক আর পিডিএফসহ বিভিন্ন ফরম্যাটের বই। তাই রাতে শোয়ার সময় বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে
পড়াই যায়।

বই পড়ে জ্ঞানবুদ্ধি বাড়ে– এমন কথা বিশ্বাস করে কয় জনা?

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতিদিন এক ঘণ্টা বই পড়ার অভ্যাস করুন। আমরা বই পড়ি খুব কম। অথচ দেখুন, উন্নত অনেক দেশে বই পড়ছে সবাই। এমনকি পার্কে, গাড়িতে, ট্রেনে, আন্ডার গ্রাউন্ডে—কোথায় নয়।

কেন বই পড়ার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা?

বই পড়লে বাড়ে স্মরণশক্তি। মগজের যে অংশ স্মৃতি ধারণের কাজে ব্যবহৃত হয়, বই পড়ায় তা সক্রিয় হয়, হয় উজ্জীবিত।
অনেকের জাগরণে যায় বিভাবরী। আঁখি হতে ঘুম কেড়ে নিল কে? বই পড়ুন রাতে ঘুমোবার আগে আগে। দেখবেন এমন রাসায়নিক রস ক্ষরণ হবে, তাতে ঘুম আসবে চোখ ছাপিয়ে।
মনের উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা দূর করতে বই ভালো দাওয়াই হিসেবে কাজ করে।
কোথাও কাজ করছেন বা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাই গভীর মনঃসংযোগ। বই পড়ার অভ্যাস থাকলে মনঃসংযোগ বাড়ে।
নানান গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত বই পড়েন তাদের আয়ু অন্যদের চেয়ে বেশি।
ছাপা বই পড়লে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ডিভাইস থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়। তাতে কিছুটা ক্ষতিও হয় শরীরের। তবে ই বুক পড়া যায়।
বই কিনুন। যাচ্ছেন মেলায় যেকোনো একখানা বই কিনতে?

#

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়