Razik hasan

Published:
2022-02-24 09:45:10 BdST

দিল্লির খাড়ি বোলি ভাষা, তুর্কি "ওর্দু", সেনাশিবির, উর্দু


লেখক

 

রাজিক হাসান
______________
মাত্র কয়েকশত বছর আগে দিল্লির খাড়ি বোলি ভাষার একটি রূপ ধীরে ধীরে ফার্সি ও আরবি ভাষা থেকে প্রচুর শব্দ ধার করলে উর্দু নামের এক সাহিত্যিক ভাষার উদ্ভব ঘটে। উর্দু শব্দটি এসেছে তুর্কি "ওর্দু" শব্দ থেকে। ওর্দু অর্থ "সেনা শিবির"। মূলত মুঘল আমলে, অর্থাৎ ষোড়শ থেকে উনিশ শতক পর্যায়ে উর্দু ভাষার বিকাশ ঘটে। এ সময়ে বহু সভাকবিরা তাঁদের কবিতা এবং লেখা লিখতেন উর্দূ ভাষাতে।

উর্দু ভাষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষে মুসলমানদের ভিতরে দুই চিন্তাজগতের সৃষ্টি হয়। উর্দু ফার্সির ন্যায় আরবী শব্দভান্ডার গ্রহণ করায় শাস্ত্রালোচনায় তার কোনও বিঘ্ন হয় না। ফলে ইসলামী চিন্তাধারা উর্দুতে অক্ষুণ্ন থাকে। বাংলাদেশেও এই দুই চিন্তাধারার সৃষ্টি হয়। প্রথমতঃ উর্দু দ্বারা কুরান, হাদীস, ফিকা ধর্ম্মশাস্ত্রের আলোচনা এবং দ্বিতীয়তঃ সুফিমতের প্রসার।

সুফিমত তার নানা শাখাপ্রশাখায় কাদেরিয়া, কদমিয়া, নকশাবন্দী নানা সম্প্রদায় এদেশে প্রসার লাভ করে। বাঙালী সুফিরা জিকর বা ভজন করেন, বারম্বার নাম উচ্চারণ; 'হাল' বা দশা প্রাপ্ত হন, সেতার বা একতারা যোগে মধুর গান করেন, পঞ্চেন্দ্রিয়ের দ্বার রুদ্ধ করে সমাধিস্থ হন। এক কথায় বাঙালী সুফি ইরান ও উত্তর ভারতবর্ষের সুফি ঐতিহ্য সঞ্জীবিত রাখেন।

এদের প্রভাবে অত্যন্ত নিন্ম শ্রেনীর হিন্দু-মুসলমানের ভিতর যে রসধারার সৃষ্টি হয় তা অপূর্ব। আধ্যাত্মিক জগতে তাদের যে মিলন হয় পৃথিবীর ইতিহাসে তার স্থান পাওয়া উচিত। আউল, বাউল, মুর্শিদিয়া, দরবেশী, সাঁই, মরমিয়া, জারীগান, গাজীর গীত সমাজের নিন্মতর স্তর হতে উঠে আসে, তারপর সে গীতে বাঙালী ভক্তের আধ্যাত্মিক অনুভূতির যে পরিচয় পাওয়া যায় তার সাথে ইউরোপ বা এশিয়ার কোন দেশেরই লোক - সাহিত্যের তুলনা হয় না।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে শিক্ষিত মুসলমান বলতে আরবি ফারসী উর্দু শিক্ষিত মুসলমানকে বোঝানো হতো। তাঁর শিক্ষা দীক্ষায় কোনও দ্বন্দ্ব ছিল না। তিনি বাংলা জানতেন না। বাংলা জানলেও এতো অল্প জানতেন যে বাঙালি সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা তাঁর ইসলামী জগতে প্রবেশ করতো না। আরব, পারস্য, উত্তর ভারতবর্ষের ইসলামী চিন্তা ও ভাব জগতের সাথে তার যোগসূত্র ছিল।

বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম সমাজে ইংরেজি শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হল। হিন্দু সমাজেও এই দ্বন্দ্ব অল্পসময়ের জন্য দেখা দিয়েছিল। সে যুগে পিতা ইংরেজি অনভিজ্ঞ খাঁটি হিন্দু, পুত্র ইংরেজি শিক্ষিত নাস্তিক। পিতার আছে হিন্দু সংস্কৃতির ঐতিহ্য, পুত্রের মননে মিল, কৎ আর ফরাসী বিপ্লবের ইতিহাস। মুসলমান সমাজে এই ইংরেজি শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার দ্বন্দ্ব উগ্র মূর্তিতে প্রকাশ পায়। এর কারণ হতে পারে বিদ্যাসাগর, মধুসূধন, লালবিহারী, কৃষ্ণমোহনের দৃষ্টান্ত মুসলমান সমাজে নেই। তাই পিতার তিরস্কারে পুত্র লজ্জিত হয়। বিদ্রোহের ঘোষণা করে না। পিতা বলে আরবী, ফারসী জানো না ধর্মকর্ম ভুলে গেছো। পুত্র ভেবে দেখে সত্যি কথা। দোষ দেয় শিক্ষাকে, ইসলামি কায়দায় কেন সে শিক্ষিত হল না। এরপর দ্বন্দ্ব আরও কঠোর হল। কঠোর হল ভারতবর্ষে মুসলমানদের পৃথক রাজনৈতিক আন্দোলনের ফলে।

অবাঙালি নেতা বাঙলা দেশে এসে উর্দুতে বক্তৃতা দিলেন, দাওয়াতে-খানা-পিনাতে উর্দু বললেন, ফারসী বয়েত ঝাড়েন, আরবী কোটেশন ঠুকলেন, তাঁদের সঙ্গে শিক্ষিত মৌলানা অক্লেশে কথা বললেন, কিন্তু কলেজে শিক্ষিত বাঙালী মুসলমান নেতা তখন ভাষণ দিতে লজ্জা পান।

সংস্কৃতির এই দ্বন্দ্বে যে শুধু বাঙালী মুসলমানই দিশাহারা হয়েছে তা নয় - উত্তর ভারতবর্ষের উর্দু ভাষাভাষী হিন্দুরাও এই বিপদে পড়ে।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।

প্রশ্ন হল, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর এই দ্বন্দ্ব নিরসনে বাঙালি মুসলমান কোন পন্থা অবলম্বন করতে পারে?

ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের ১০৫ দিন পরে "পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা" প্রবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী একজন সত্যদ্রষ্টা ঋষির মতো এই ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন; ‘যদি উর্দুকে আমাদের রাষ্ট্রভাষা করা হয় তবে এর ভবিষ্যৎ কখনই ভালো হবে না। বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হলে একদিন আমাদের জনগণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। একদিন বিদ্রোহ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।'

১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করাচির মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষে দ্বিতীয় সচিব ‘চার্লস ডি উইদার্স পাকিস্তানের প্রাদেশিকতাবাদ’ শীর্ষক এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছিলেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রীদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে গৃহীত একটি প্রস্তাব পূর্ব বাংলায় ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হিসেবে পর্যায়ক্রমে উর্দু প্রচলন করা হবে। এটা পাকিস্তানের বাংলাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য একটি অভিশপ্ত বিষয়। আবার ছাত্রদের সামনে রেখে প্রাদেশিকতা-বাদীদের জন্য এটা একটা বিরাট মওকা।

১৯৪৮ সালের গোড়ায় জিন্নাহ তখন একটি ব্যক্তিগত আবেদন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত উর্দুই হবে রাষ্ট্রভাষা।

১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ পাকিস্তানের মার্কিন কনস্যুলেটের অ্যাটাশে টমাস ডব্লিউ সাইমন শীর্ষক একটি এয়ার মেইল পাঠিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে।
এতে তিনি লিখেছিলেন ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নাজিমউদ্দিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুর সপক্ষে করাচিতে পাকিস্তানের গণপরিষদে বক্তব্য দেন।

ওই মার্কিন অ্যাটাশে লিখেছিলেন, বাঙালি মুসলমানরা বাংলায় কথা বলেন। এই ভাষার একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাদেশিক মূল্য রয়েছে। কী মুসলিম, কী হিন্দু, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তাঁরা গর্ববোধ করে।

১৯৪৭ সালের শেষ মাসগুলোতে সমগ্র পাকিস্তানের জন্য উর্দু ভাষার প্রচলন প্রশ্নে আলোচনা চলে। এ সময়ে স্কুলগুলোতে বাংলার পরিবর্তে উর্দু ভাষা প্রচলনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট (ভিসি) একজন বিশিষ্ট মুসলমান। তিনি প্রকাশ্যে উল্লেখ করেন যে বাংলার পরিবর্তে উর্দুু চালু অসম্ভব।

কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা যখন বাঙালিদের সামনে কথা বলেন, তখন তাঁরা বাংলা বা ইংরেজিতে কথা বলতে বাধ্য হন। ছাত্ররা উর্দু প্রচলনের বিরুদ্ধে পৌনঃপুনিকভাবে প্রতিবাদ করে চলেছে।

পূর্ব বাংলার মানুষ প্রায় ধরেই নিয়েছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে। কিন্তু তারা বিস্মিত হয় যে তাদেরই প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি করাচিতে ঘোষণা করেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি হচ্ছে, উর্দুই হবে একমাত্র ভাষা। উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা (বহু ভাষাভাষী রাষ্ট্রে যে ভাষা যোগাযোগের মাধ্যম বলে স্বীকৃত) হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

মার্কিন অ্যাটাশে এরপর লিখেছেন, বাঙালিদের তরফে এর প্রতিক্রিয়া ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। ছাত্ররা পরদিনই মিছিল বের করে।

সরকার যে পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল, তারও প্রমাণ মেলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার প্রদেশের জনগণকে সতর্ক করে দিচ্ছে যে পাকিস্তানের শত্রুরা এই সিদ্ধান্ত থেকে ফায়দা নিতে ইতিমধ্যেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা এই প্রদেশের মুসলমানদের বিভক্ত করতে চাইছে।’

১৮ দিন পরে জিন্নাহ ঢাকায় ‘উর্দু কেবল উর্দু’ মর্মে বিতর্কিত বক্তৃতা করেন।

তারপরের ইতিহাস বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সেদিন বাঙালিরা তাদের ভাষার মর্যাদা করক্ষা করে। ভাষা আন্দোলন শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় স্বাধিকার আন্দোলনে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যদি একটি দালানের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে এটি তৈরি করতে অনেকগুলো ইটের দরকার হয়েছিল। এর প্রতিটি ইটের পেছনে লুকিয়ে আছে ইতিহাস। অশ্রু, ঘাম, মেধা ও রক্ত; অনেক অনেক মানুষের। রাষ্ট্রভাষার দাবি যদি এর প্রাথমিক ভিত্তি হয়ে থাকে, তাহলে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি ছিল এর দেয়াল।

ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন ২৩ বছর আগে শুরু হয়েছিল, তা স্বাধীনতার দাবিতে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে। তখন সব ছাপিয়ে একটি স্লোগানই সবার মুখে মুখে—বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। এই পর্বে ছিল অনেক রহস্য, নাটকীয়তা, ষড়যন্ত্র আর কূটনীতি—যার জট এখনো পুরোটা খোলেনি। এটি ছিল এই জনপদের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাঁকবদলের ক্ষণ। ২৫ দিনের অসহযোগ আন্দোলন, ২৬০ দিনের মুক্তিযুদ্ধ, লাখ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ—এসবের বিনিময়ে স্বাধীন হলো বাংলাদেশ।

বায়ান্নতে চেয়েছিলাম ভাষার স্বীকৃতি, একাত্তরে পেয়েছিলাম ভাষার রাষ্ট্র। বাংলা এখন শুধু যে রাষ্ট্রভাষা তাই নয়, এর শাসকরাও বাঙালী।
তবুও আজ ভেবে দেখার সময় এসেছে,

উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে একুশে পালন নিশ্চয় তার শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠান, প্রথায় রূপান্তরিত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এর বেশি কিছু নয়।
উত্তর যদি না হয়,তাহলে এ কথাও মেনে নিতে হবে যে একুশের বহু কাজ এখনও বাকি।

একুশ আমাদের ' বাঙালি ' পরিচয়টা নিশ্চিত করেছিল। এই বাঙালি পরিচয়কে যারা আজ প্রশ্নবিদ্ধ করছে তারাই একুশের মূল শত্রু। এছাড়া ভাষার শত্রু ' হিসেবে আজ আমরা দেশে দেখতে পাই তিনটি মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষদের।

প্রথমত ধর্মান্ধতা থেকে উদ্ভুত একটি রোগ আমাদের অসুস্থ করে রেখেছে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত লোকেরা মাতৃভাষা পরিবর্তে উর্দূ ভাষাকে বেশি ভালোবাসে।

দ্বিতীয় রোগটি হল জাতীয়তাবাদ উদ্ভুত রোগ। এ রোগে আক্রান্তরা নিজ মাতৃভাষার বাইরে অন্য ভাষার প্রতি অকারণ বিদ্বেষ পোষণ করে।
যেমন বাংলা ভাষার বাইরে হিন্দি, উর্দু ,ইংরেজি, সাঁওতালী বা অন্য যে কোন ভাষার প্রতি অকারণ বিদ্বেষ পোষণ করা। পরিকল্পিত অবজ্ঞা দেখানো।

তৃতীয়টি হল হীনমন্যতা উদ্ভুত রোগ। এরা জাতে উঠতে চেয়ে মাতৃভাষাকে পরিতাজ্য মনে করে। জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলে ভাষা ব্যবহারে। অবলীলায় বিকৃতি ঘটায় মাতৃভাষার। ভাষার গৌরব মাটিতে লুটোয়।

ভাষার বিষয়ে এই তিনটি রোগ থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করতে জাতিসংঘ আমাদের গৌরবদীপ্ত ' ২১ ফেব্রুয়ারি ' দিনটাকে বেছে নিয়েছে ' আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ' হিসেবে ঘোষণা করতে।

মানবজাতির জন্য এ এক দুস্তর লজ্জা যে বহু ভাষা ইতিমধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সেই সাথে বিলুপ্তির হুমকির মধ্যে আছে আরো অনেক ভাষা। বিশেষতঃ নৃগোষ্ঠীসমুহের উপর অব্যাহত শোষণ ও নিপীড়ন যেমন তাদের শারীরিকভাবে নিশ্চিহ্ন করছে তেমন তাদের মৌলিক ভাষাগুলোকেও ক্রমাগতঃ বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে । দুনিয়া জুড়ে চলমান এটা এক ধরণের নীরব গণহত্যা।

আমাদের এই পৃথিবীতে কোন ভাষাই পরিত্যাজ্য নয়। সকল ভাষার সমান অধিকার। পৃথিবীর প্রত্যেকটি ভাষার মানুষের অলংঘনীয় অধিকার রয়েছে তাদের স্ব স্ব মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবি তোলার। আমার ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষা করার দায়িত্ব আমার।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়