ডেস্ক

Published:
2021-07-26 20:45:28 BdST

ময়নাতদন্তের গুরুত্ব : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ


 

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ
উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
_____________________


পোস্টমর্টেম শব্দের বাংলা অনুবাদ বা পরিভাষা ময়নাতদন্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাধারণত বলা হয় অটোপসি। ময়নাতদন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের দীর্ঘ সাধনা ও গবেষণার ফল। পোস্টমর্টেম কিংবা ময়নাতদন্ত এমন একটি শৈল্য চিকিৎসা পদ্ধতি, যা মৃত্যুর কারণ, ধরন, প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য অথবা গবেষণা অথবা চিকিৎসার শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে, কোন রোগ বা আঘাতের মূল্যায়ন করার জন্য একটি মৃতদেহের বৈজ্ঞানিক এবং নির্ভুল ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মেডিকোলিগ্যাল পোস্টমর্টেম বা আইনী ময়নাতদন্ত বা মেডিকোলিগ্যাল অটোপসির অর্থ হলো মৃতদেহ পরীক্ষা করা। যার মাধ্যমে জানা যায় কোন ব্যক্তির মৃত্যু রহস্য বা জীবিত অবস্থায় তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা অপরাধের ধরন। এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার অটোপসির প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনায়, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫ হাজার বছর থেকে ময়নাতদন্তের অনুশীলনের প্রমাণ পাওয়া যায়। ৩৬৭-২৮২ খ্রিস্টপূর্বে টলেমি প্রথম চিকিৎসকদের, চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার উদ্দেশ্যে মৃতদেহগুলো ব্যবচ্ছেদের এবং পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। প্রথমদিকে বেশিরভাগ মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের মৃতদেহগুলোর ওপর ব্যবচ্ছেদ সম্পাদিত হতো। মাঝে মাঝে সম্রাট অটোপসি চলাকালীন উপস্থিত থাকতেন ।

৪৪ খ্রিস্টপূর্বে, জুলিয়াস সিজারের হত্যার পর তার মৃতদেহ এ্যান্টিস্টিয়াস পরীক্ষা করে দেখেন যে, ২৩টি মারাত্মক আঘাতের ক্ষতগুলোর মধ্যে একটি ক্ষত বেশি মারাত্মক ছিল, যা সিজারের বুকের প্রধান ধমনীকে কেটেছিল এবং যাকে এ্যান্টিস্টিয়াস জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর কারণ হিসেবে নির্ধারণ করেন। এটাই প্রথম লিপিবদ্ধ ময়নাতদন্ত হিসেবে প্রমাণ করে। বিগত ১৩০২ সালে বোলগনায় প্রথম ফরেনসিক বা আইনী ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়, যাতে ‘অপরাধ উপস্থিতি বা অবহেলা নির্ধারণের’ জন্য মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের প্রয়োজনে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল, যেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ময়নাতদন্ত করার অনুরোধ করেছিলেন।



ময়নাতদন্ত করার জন্য আইনী অনুমোদন এবং আইনী কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল নির্দেশনা (Inquest & Challan) প্রয়োজন হয়। মেডিকোলিগ্যাল ছাড়া অন্যান্য ময়নাতদন্তে অফিসিয়াল নির্দেশনা প্রয়োজন পড়ে না। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন এবং নিকটাত্মীয়ের সম্মতি প্রয়োজন হয় । এই আইনী অনুমোদন এবং অফিসিয়াল নির্দেশনা ফরেনসিক অটোপসির ক্ষেত্রে অবশ্যই থাকতে হয়। ফরেনসিক অটোপসির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইনী অনুমোদন দেয়া আছে। কিন্তু অফিসিয়াল নির্দেশনা ছাড়া ময়নাতদন্ত করা যাবে না। অফিসিয়াল নির্দেশনা পাওয়া মাত্র মৃতদেহটি পুলিশ কর্তৃক শনাক্ত করার পর দিনের পর্যাপ্ত আলোতে অকারণ কোন বিলম্ব ছাড়াই ময়নাতদন্ত শুরু এবং শেষ করতে হবে। ময়নাতদন্তে বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ উভয় পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষা শেষে দেহটিকে এক সঙ্গে সেলাই করে পুনর্গঠন করা হয়। প্রয়োজনে শারীরিক টিস্যু, রক্ত এবং তরল পদার্থ পরীক্ষা করা হয়।

ফরেনসিক ময়নাতদন্তের লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক কারণে স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তা নির্ধারণ করা। মেডিকোলিগ্যাল কেসগুলোতে অপরাধ দৃশ্যের তদন্তের (crime scene investigation) অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মৃত্যুর পরিস্থিতিগুলোর মূল্যায়ন মৃত্যুর মোড প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন- আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তটি নিজে থেকে অভিপ্রায় নির্ধারণ করতে সক্ষম হতে পারে না, তবে দৃশ্য (সিএসআই) এবং পরিস্থিতি অনিচ্ছাকৃত প্রমাণ সরবরাহ করতে পারে। মেডিকোলিগ্যাল ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফিক ডকুমেন্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। আইনী ময়নাতদন্তের জন্য সূক্ষ্ম বিশদ বিবরণ, পরিমাপ এবং ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন, যা সম্পূর্ণ ও নির্ভুল হতে হবে।

মৃত্যুর অন্য যে কোন সম্ভাব্য কারণকে অস্বীকার করার জন্য মেডিকোলিগ্যাল পোস্টমর্টেম পরীক্ষা সর্বদা সম্পূর্ণ হতে হবে। তাই কখনও আংশিক ময়নাতদন্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। মৃত ব্যক্তির এবং শরীর থেকে নেয়া সমস্ত নমুনার শনাক্তকরণ গুরুতর। সম্ভব হলে মৃত্যুর সময় এবং মৃত ব্যক্তির শনাক্তকরণ অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সমস্ত ময়নাতদন্তে, তবে বিশেষত ফরেনসিক ক্ষেত্রে, প্রকৃত ময়নাতদন্ত চলাকালীন প্রক্রিয়াটির ঘটনাপ্রবাহ অবশ্যই একজনের রেকর্ডিং করা উচিত। রেকর্ডটি প্রায়ই আইনী প্রমাণ হয়ে যায় এবং তা অবশ্যই সম্পূর্ণ ও নির্ভুল হতে হবে।

অপরাধ তদন্ত প্রক্রিয়ায় মৃত্যু রহস্য সংক্রাত সত্যকে উন্মোচন করাই ময়নাতদন্তের প্রধানতম কাজ, যার মাধ্যমে অপরাধকে প্রমাণ করে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনকে অপরাধীর অপরাধ প্রমাণ করার দলিল হিসেবে আদালতে উপস্থান করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যু সংক্রান্ত অপরাধ প্রমাণ করার আর কোন পদ্ধতি নেই। এটা এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এর কোন বিকল্প নেই। ফরেনসিক পরীক্ষার ফলগুলো বস্তুনিষ্ঠ ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এবং এটি প্রমাণের মধ্যে অন্যতম যে, প্রতিপক্ষের জন্য আদালতেও খন্ডন করা কঠিন বা অসম্ভব। ফৌজদারি তদন্ত প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্ত চালিয়ে দেখা যাবে কে কে মৃত্যুর কারণ, মৃত্যুদন্ড প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে, কিভাবে মৃত্যু হয়েছে, কোন্ সময় মৃত্যু হয়েছে এবং পরীক্ষার ফলগুলোতে দেহ বা ভুক্তভোগীর মৃত্যুর কারণ সংবলিত একটি উপসংহার টানা হবে, যা তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রমাণ হিসেবে, এটি কোন ফৌজদারি অপরাধ বা নিরপরাধ তা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হবে।

ময়নাতদন্ত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে চিকিৎসা পেশায় রোগ নির্ণয়ে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে স্বীকৃত। পরিচিত ময়নাতদন্ত মূলত এন্টিমর্টেম আধুনিক ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। পরবর্তীতে অনেক চিকিৎসক এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের ইউটিলিটিটি স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে ময়নাতদন্তের হার স্বল্পস্তরে নেমেছে। যার জন্য ভুল চিকিৎসা নির্ণয়ে বা নতুন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে পথ অবরুদ্ধ হয়েছে। ময়নাতদন্ত এমন ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হয় যারা মৃত্যুর প্রকৃতি এবং কারণগুলো বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ, দেহের তরল এবং টিস্যু পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কিভাবে কখন কেউ মারা গেছে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম।

ফরেনসিক ময়নাতদন্তের মূল লক্ষ্য হলো প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ, মৃত্যুর ধরন, মৃত্যুকাল, মৃত্যু সংশ্লিষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হলে বিষের ধরন, রোগের ব্যাপ্তি চিহ্নিতকরণ বা বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ অথবা কোন ব্যক্তির মৃত্যুর স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং প্রদত্ত নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা শল্য চিকিৎসা কার্যকর বা উপযুক্ত ছিল কিনা নির্ধারণ করাসহ প্রয়োজনীয় প্যাথোলজিক্যাল, কেমিক্যাল, রেডিওলজিক্যাল, সেরোলজিক্যাল প্রভৃতিসহ সব জৈবাঙ্গ পরীক্ষা করার মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন করা। আকস্মিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে, যেখানে কোন চিকিৎসক মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্র লিখতে সক্ষম হন না বা যখন মনে করা হয় যে, মৃত্যুটি কোন অস্বাভাবিক কারণে সংঘটিত, সেইসব ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত প্রায়ই করা হয়।

ময়না তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ হয় আইনী উদ্দেশ্যে এবং শিক্ষা বা গবেষণার জন্য। একটি সন্দেহপ্রবণ বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত আইনী কর্তৃপক্ষের অধীনে করা হয় এবং সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সম্মতির প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে স্বজনদের অনুমতিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে গবেষণার উদ্দেশ্যে মৃত্যুর মেডিক্যাল কারণ অনুসন্ধানের জন্য ক্লিনিক্যাল বা একাডেমিক ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

আমাদের দেশে ময়নাতদন্ত বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অধীনে এবং জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্ত অবশ্যই নির্দিষ্ট মর্গে সম্পন্ন করা হয়। অন্য কোন জায়গায় নয়। তবে মৃতদেহ খুব বেশি গলিত হলে এবং মৃতদেহ সরানোর কারণে আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেক্ষেত্রে নিয়ম শিথিলযোগ্য।

পোস্টমর্টেমের প্রকারভেদ-

১. মেডিকোলিগ্যাল বা ফরেনসিক- সেখানে মৃত্যু সন্দেহজনক, মৃত্যুর কারণটি ফৌজদারি বিষয় এবং মৃত ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ এর প্রয়োজন হয়।

২. ক্লিনিক্যাল বা প্যাথোলজিক্যাল- যদি কোন ব্যক্তি অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে এবং রোগের কারণ ও ব্যাপ্তি নির্ণয় এবং গবেষণার জন্য।

৩. এনাটমিক্যাল বা একাডেমিক- চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য।

৪. ভার্চুয়াল বা মেডিক্যাল ইমের্জিং- এমআরআই-কম্পিউটার টোমোগ্রাফি যন্ত্র ব্যবহার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

সময়ের পরিক্রমায় বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্রমাগত সমৃদ্ধ হচ্ছে। কোন এক সময় আজকের মতো পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত করার নিয়ম ছিল না। যার ফলে কোন অস্বাভাবিক রহস্যজনক প্রশ্নবোধক মৃত্যুর কারণ অজানা থেকে যেত। আজকের দিনে বিজ্ঞানের প্রসারে বিষয়গুলো আর অজানা থাকছে না। অস্বাভাবিক মৃত্যু, হোক সেটা হত্যা, আত্মহত্যা কিংবা বিষ প্রয়োগে মৃত্যু, আমরা কারণটা খুব সহজেই জানতে পারি পোস্টমর্টেম বা অটোপসি বা ময়নাতদন্তের মাধ্যমে।

তবে তখনকার তুলনায় এখন অনেক আধুনিকভাবে ময়নাতদন্ত করা হয়ে থাকে। আধুনিক ময়নাতদন্তকে সমস্ত জ্ঞানের প্রয়োগ এবং বিশেষায়িত আধুনিক বেসিক বিজ্ঞানের সমস্ত সরঞ্জামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত পরীক্ষায় যা এখনও দেখা যায় না, তাকে দেখার জন্য ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করা থেকে মলিকুলার টেকনোলজির ব্যবহার প্রসারিত করা হয়েছে। সারা বিশ্বে আধুনিক বিজ্ঞানের সকল টেকনোলজি এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি ময়নাতদন্তে ব্যবহার করে বিচার এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার উন্নতি করে সুবিচার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই আধুনিক প্রযুক্তির ছায়া ময়নাতদন্তে এখনও পড়েনি। আমাদের ময়নাতদন্ত সেকেলে রয়ে গেছে, যা সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠার প্রধানতম অন্তরায়। তাই অতিসত্বর আমাদের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় আধুনিক বিশ্বের মতো এ্যাডভান্স টেকনোলজি অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরী।

বাংলাদেশের সকল মরচুয়ারি ব্রিটিশ শাসন আমলের এবং পাকিস্তান শাসন আমলের শেষে তৈরি নোংরা পরিবেশ ও খুবই ছোট ঘর, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ, যন্ত্রপাতি এবং আধুনিক পরীক্ষার অপ্রতুলতা ময়নাতদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এমনকি মেডিক্যাল কলেজগুলোর নতুন মরচুয়ারি আধুনিক মরচুয়ারির পরিচয় বহন করে না। সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের দেশে ফরেনসিক মেডিসিনের উচ্চশিক্ষা, অটোপসি পরীক্ষায় ফরেনসিক প্রযুক্তির ব্যবহার, লোকবল, এমনকি আধুনিক মরচুয়ারি সবকিছুই পিছিয়ে আছে, যা সুষ্ঠু ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে প্রধানতম অন্তরায়। অতিশীঘ্রই নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়ে জরুরী নজর দেয়া আবশ্যক।

লেখক : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়