ডেস্ক

Published:
2021-07-12 04:27:15 BdST

ক্রাইম পেট্রল বাংলাদেশসুনসান সবুজ মাঠের পাশে মনোরম বাড়িতে জঙ্গিদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস কারখানা


 

ডেস্ক
_____________
সুনসান সবুজ মাঠের পাশে মনোরম বাড়ি। ছবির মত দেখতে।
সেখানেই জঙ্গী অাস্তানা বাংলা দেশি ভয়ংকর অাইএস চক্রের।
সেখানে বানানো চলছে ভয়ংকর সব প্রলয়ঙ্কর ডিভাইস। সেখানে তারা আইএস অনুপ্রাণিত আইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরি করতেন।
ধুরন্ধর পুলিশ ঠিকই শনাক্ত করতে পেরেছে জঙ্গিদের। মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনএর ছদ্মবেশে তারা জঙ্গি জেহাদি কাজ করে চলছিল।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার এলাকার মিরাবাড়ি। বাইরে থেকে মনোরম বাড়ি। এখানেই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আস্তানা। সর্বশেষ হল,জঙ্গিদের আস্তানা
ঘিরে রেখেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সিটিটিসি ইউনিটের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রহমতুল্লাহ চৌধুরী মিডিয়াকে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিটিটিসির একটি দল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়।

তিনি আরও জানান, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিটিটিসি আজ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন নামের এক সন্দেহভাজন নব্য জেএমবি কর্মীকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে।

রহমতুল্লাহ চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার মামুন সাংগঠনিকভাবে ডেবিট কিনারা ওরফে আকিন আল বাঙালি নামে পরিচিত। তিনি ওই এলাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতেন এবং একটি এতিমখানাতেও কাজ করতেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মামুন আড়াইহাজারের একটি বাড়িতে থাকতেন এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, সেখানে তিনি আইএস অনুপ্রাণিত আইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরি করতেন।

‘মামুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িটি এখন ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সিটিটিসি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এবং সোয়াট (বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল) দল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়,’ বলেন তিনি।

চলতি বছরের মে’তে নব্য জেএমবি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের একটি বাক্সের সামনে একটি রিমোট-নিয়ন্ত্রিত আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) রেখে দেয়। পরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট গিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

সিটিটিসি কর্মকর্তা বলেছেন, তারা জানতে পেরেছিলেন মামুনের বাড়িতে আইডি তৈরি করা হয়েছিল।

‘আমরা সংবাদ পেয়েছি এই বাড়িতে আরও কিছু আইডি এবং বোমা তৈরির উপাদান আছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর এবং পরিদর্শন করার পরে বিশদ বলতে পারব,’ যোগ করেন রহমতুল্লাহ।

 

কলকাতায় জেএমবি 

    

 
sangbadpratidin
  •  

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নতুন মডিউল তৈরিই লক্ষ্য? ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে ISIS যোগের সম্ভাবনা, দাবি গোয়েন্দাদের

 

ISIS link is suspected with the arrested JMB members from Kolkata, according to STF source | Sangbad Pratidin

অর্ণব আইচ: ফের নতুন করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ছক। নতুন মডিউল তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ফের কলকাতার বুকে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন (JMB)। আর তাদের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রয়েছে বিশ্বত্রাস আইসিসের (ISIS)। বেহালা থেকে ৩ জেএমবি জঙ্গিকে জালে আনার পর এমনই ইঙ্গিত মিলছে বলে মত এসটিএফের আধিকারিকদের। তিনজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা। ধৃত নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফই মূল পাণ্ডা। তার সহযোগীর রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবির ওরফে মিকাইল খান। এরা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এসটিএফ।

এসটিএফ (STF) সূত্রে খবর, এদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ডায়েরি, জেহাদি বইপত্র, মোবাইল। সমস্ত খতিয়ে দেখে জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাজিউর ওরফে জোসেফই মূল সংযোগকারী। আল আমিনের সঙ্গে সে-ই যোগাযোগ রাখত, তার নির্দেশমতো কাজ করত। বাংলাদেশ গার্ডসের হয়েও কাজ করত সে। শেখ সাবিরের কাজ ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় জেহাদি প্রচার। সম্ভবত কোনও ষড়যন্ত্রের ছক কষেই তাদের কলকাতায় আগমন। এছাড়া তিনজনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী দেখে এসটিএফের আন্দাজ, আইসিসের সঙ্গেও যোগ রয়েছে এই নব্য জেএমবি সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, এই তিনজন হরিদেবপুর (Haridevpur PS) থানা এলাকার অন্তর্গত বেহালায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মাস দুয়ের আগে। উপার্জনের জন্য ফল বিক্রি করত। কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। নিজেদের ভুয়ো নাম, পরিচয়ও দিয়েছিল এলাকায়।এসটিএফের তদন্তে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্যই উঠে এসেছে। সম্প্রতি এসটিএফের কাছে খবর আসে, কলকাতায় ফের জেএমবি-র স্লিপার সেলের আনাগোনা বাড়ছে। তাতেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নজরদারি বাড়ে। শেষমেশ জালে আসে ২২-২৩ বছরের তিন বাংলাদেশি। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কলকাতাকে কেন্দ্র করে নতুন কোনও মডিউল তৈরির চেষ্টা করছিল এরা। সোমবার আদালতে পেশ করা হবে নাজিউর, রবিউল, সাবিরকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে মরিয়া এসটিএফ।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়