SAHA ANTAR

Published:
2021-05-13 01:05:22 BdST

ইদি জলসা রবীন্দ্রনাথের আজব ভোজন


ডেস্ক 

_______________

রবীন্দ্র রসিকতা
আজব ভোজন:

একবার ক্ষিতিমোহন সেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজনে বসেছেন – দু’জনকেই একই খাদ্যবস্তু পরিবেশন করা হয়েছে। বরং ক্ষিতি মোহন বাবুকে একটু বেশি বেশি করেই দেওয়া হয়েছে কোনও কোনও জিনিস। শুধু কবিকে একটা তরকারি মতো জিনিস আলাদা করে দেওয়া হল যা থেকে অতিথি ক্ষিতি মোহন বাবু বাদ পড়লেন।

ক্ষিতি মোহন বাবু কৌতূহল বশে বার বার চোখ ঘুরিয়ে দেখছেন ওটা এমন কি জিনিস যা কবি পেতে পারেন তিনি নন।

কবি বুঝতে পেরেই মজা করে বলে উঠলেন, - “এই ত; এসব পক্ষপাতিত্ব আমি মোটেও পছন্দ করি না। আমি রবীন্দ্রনাথ বলে টপ করে কিনা এক প্রস্থ আমায় বেশি দিয়ে দিলে”? ওরে দে দে ক্ষিতি বাবুকে এটা একটু দে।

কবির আদেশ বলে কথা সাথে সাথেই সেই পদ দেওয়া হল ক্ষিতি মোহন বাবুকে। ক্ষিতি মোহন বাবুর মুখ দেখে বোঝা গেল তিনি ভাবছেন নিশ্চয় কোনও ভালো পদ হবে। তিনি সাততাড়াতাড়ি অনেকটা ভাতে সেই পদ মেখে ভরলেন মুখে। মুখ আর ক্ষিতি মোহন বাবুর বন্ধ হয়না। তারপর শোনা গেল শুধু ওয়াক ওয়াক শব্দ।

পদটি ছিল নিমপাতা বাটা। কোনও কবিরাজের পরামর্শে কবি প্রতিদিন সকালে নিমপাতার জুস, দুপুরে অনেকটা করে নিমপাতা বাটা খেতেন।

রবীন্দ্রনাথ খাওয়া শেষে তখন পরিতৃপ্তির আঙুল চাটছেন।

 

তথ্যসূত্র:

১) কাছের মানুষ রবীন্দ্রনাথ – নন্দ গোপাল সেনগুপ্ত। (পাতা – ৪০)
২) রবীন্দ্রনাথের হাস্য পরিহাস - গোপাল চন্দ্র রায় (পাতা – ১১)

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়