Dr. Aminul Islam
Published:2021-05-07 21:54:06 BdST
অধ্যাপক ডা.আজাদ খান,ডা. মাহমুদ হাসান, আলমগীর সিরাজুদ্দীন জাতীয় অধ্যাপক হলেন
ডেস্ক
__________________
অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান, ডা. মাহমুদ হাসান ও আলমগীর মো. সিরাজুদ্দীনকে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা দিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়েছে সরকার।
সমাজসেবায় স্বাধীনতা পদক পাওয়া অধ্যাপক একে আজাদ খান বারডেমের প্রেসিডেন্ট। অক্সফোর্ডে তার গবেষণার পথ ধরেই তৈরি হয়েছিল ডায়রিয়ার সঙ্গে রক্ত পড়া নিরাময়ের ওষুধ। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ও সচেতনতা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক মাহমুদ হাসান বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারোলোজি সোসাইটি ও গ্যাস্ট্রোলিভার ফাউন্ডেশনের সভাপতি। সমাজসেবায় একুশে পদক পাওয়া এই চিকিৎসক পরিপাকতন্ত্র ও লিভারের চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ বিষয়ে দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন।
একুশে পদকজয়ী গবেষক, ইতিহাসের শিক্ষক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক।
তাদের পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
সেখানে বলা হয়েছে, তারা ‘জাতীয় অধ্যাপকগণ সিদ্ধান্তমালা, ১৯৮১’ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন এবং সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্যে দেশের পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ও শিক্ষকদের মধ্যে থেকে জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ দেয় সরকার। ১৯৭৫ সালে এ সম্মাননা প্রবর্তন করা হয়।
তারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো গবেষণা সংস্থা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে নিজের ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কাজ করতে পারেন। তবে কাজের ক্ষেত্রটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জানিয়ে রাখতে হয়।
জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমেই সম্মানী ভাতা পান তারা।
আপনার মতামত দিন: