ডেস্ক
Published:2021-04-24 15:04:59 BdST
প্রাগৈতিহাসিক: হিব্রু ক্যালেন্ডার
ডাঃ সুকুমার সুর রায়
____________________________
হিব্রু ক্যালেন্ডার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে গিয়ে যে চমকপ্রদ জিনিষটি নজরে এসেছে সেই জিনিসটিই আগে বলে নেই। আমরা সবাই জানি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে আজকের তারিখ হলো ২২ এপ্রিল, ২০২১ খ্রীস্টাব্দ । কিন্তু হিব্রু ক্যালেন্ডার অনুসারে আজকের তারিখ হলো- ১০ই ইয়ার, ৫৭৮১ (এ,এম)। এ,এম,- অর্থ -''এন্নো মান্ডি।''
' এন্নো মান্ডি' এর বাংলা অর্থ হলো - " দুনিয়া সৃষ্টির সময় "! খ্রীষ্টীয় ক্যালেন্ডারে খ্রীষ্টের আগের সময় বুঝাতে ব্যবহার করা হয় BCE (Before Christian era অথবা Before common era ) বাংলায় খ্রীস্টপূর্ব । খ্রীষ্টের পরের সময় বুঝাতে ব্যবহার করা হয় AD ( Anno Domini)/ CE ( christian era অথবা common era) বাংলায় খ্রীস্টাব্দ।
কিন্তু যেহেতু ইহুদিরা যিশু খ্রীস্ট কে স্বীকার করেন না তাই তাদের হিসাব ভিন্ন।
আশ্চর্যজনক মনে হলেও হিব্রু বাইবেলের ' জেনেসিসে' বর্নিত ঈশ্বর কর্তৃক জগৎ সৃষ্টির ক্ষন থেকে তাদের ক্যালেন্ডারের ক্ষন গননা শুরু হয়েছে!
ইহুদি দার্শনিক ও ধর্মগুরু ময়মনিড' এর গননা অনুযায়ী জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে শুরু হয়ে এখন পাঁচ হাজার সাত শত একাশি বছর চলছে।
এই হিসাবে হিব্রু ক্যালেন্ডার বিশ্বের প্রাচীনতম ক্যালেন্ডার।
প্রাচীন ব্যবিলনীয় ক্যালেন্ডার এবং প্রাচীন মিশরীয় ক্যালেন্ডার যদিও হিব্রু ক্যালেন্ডার হতে কিঞ্চিৎ প্রাচীন তবুও হিব্রু ক্যালেন্ডারের অন্যতম বৈশিষ্ট এই যে, এই ক্যালেন্ডার প্রাচীন কাল হতে শুরু করে এই আধুনিক কাল পর্যন্ত এটি জলজ্যান্ত ও সমানতালে ব্যবহৃত হয়ে চলছে । এই দিক দিয়ে হিব্রু ক্যালেন্ডার বিশ্বের এক অনন্য ক্যালেন্ডার।
হিব্রু ক্যালেন্ডার ইজরাইল রাস্ট্রের নাগরিকেরা এবং সমগ্র দুনিয়ার প্রবাসী ইহুদিরা ব্যবহার করে থাকে।
আমরা বাংলাদেশীরা যেমন অফিসিয়ালি ইংরেজি এবং বাংলা দুই ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করে থাকি, ইহুদিরা তেমনি অফিসিয়ালি হিব্রু ও ইংরেজি এই দুই ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করে থাকে। তবে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের তারিখ ও সময় শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু জাতীয় ও রাস্ট্রীয় ছুটির দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের দিন ক্ষন হিব্র ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী পালন করে থাকে। এমনকি একজন ইহুদির হাতের ঘড়িতে কিংবা মোবাইল সেটে ইংরেজি ও হিব্রু ক্যালেন্ডারের দিন, তারিখ, ও সময় যুগপৎভাবে ডিসপ্লে হতে থাকে।
এবারে আমরা হিব্রু ক্যালেন্ডারের অন্যান্য কম্পোনেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
প্রথমেই বলে রাখা ভালো এই ক্যালেন্ডারটি ( Luni solar calendar) চান্দ্র- সৌর ক্যালেন্ডার।
প্রাথমিকভাবে চন্দ্রকলার হ্রাস বৃদ্ধির হিসাবেই মাসের হিসাব শুরু করা হয়েছিলো।
পশ্চিমাকাশের দিগন্তে কৃশকায় নতুন চাঁদের উদয় হওয়ার মধ্যে দিয়েই নতুন মাস গননা শুরু হয়।
নতুন চাঁদের উদয় হওয়ার সময়কাল থেকে পরবর্তী চাঁদের উদয় হওয়া পর্যন্ত সময়কাল হলো 'এক মাস' যা হিব্রু ভাষায় 'মোলাদ' নামেও পরিচিত। অন্য কথায় ' মোলাদ' হলো পৃথিবীর চারিদিকে চাঁদের একবার প্রদক্ষিণ করতে যে সময় লাগে সেই সময়।
এই নতুন চাঁদ উদয় থেকে পরবর্তী চাঁদ উদয় হওয়ার সময় সাধারণত ' ২৯ দিন ১২ ঘন্টা, ৪৪ মিনিট, ৩ সেকেন্ড।
যেহেতু একটি মাসের দিনের সংখ্যা ভগ্নাংশ হতে পারে না সেহেতু মাস হবে ২৯ অথবা ৩০ দিনের। সেই হিসাবে বৎসর হবে ৩৫৪ অথবা ৩৫৫ দিনের।
কিন্তু আমরা জানি যে, সৌর বৎসর ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা।
সৌর বৎসর হলো সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর একবার পরিক্রমা করতে যে সময় লাগে সেই সময়।
সৌর বৎসরের হিসাবে বাৎসরিক ঋতুচক্র ঠিক থাকে। অর্থাৎ এবছর যেদিন বসন্তকাল শুরু হলো এর এক সৌর বৎসর পরে ঠিক একই দিনে পরের বছরের বসন্তকাল শুরু হবে।
এই জন্য কৃষিকাজ ও অন্যান্য বাৎসরিক অনুষ্ঠানাদি সৌর বৎসরের সাথে সম্পর্কিত।
অথচ চান্দ্র বছর সৌর বছরের চাইতে ১১ দিন ছোট। এইভাবে প্রতি ৩ বছরে ১ মাস ছোট এবং প্রতি ৩৫ বছরে ১ বছর ছোট হয়ে যায়।
ফলে চান্দ্র বছরের হিসাবে চাষবাস করা, খাজনা দেওয়া, বাৎসরিক উৎসব পালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক।
এই সমস্যার সমাধানের নিমিত্তে পন্ডিতেরা চান্দ্র মাস ঠিক রেখে কীভাবে সৌর বৎসরের সাথে সামঞ্জস্য তৈরি করা যায় তার একটি পন্থা আবিষ্কার করে ফেলেন।
প্রতি ২/৩ বছর পর পর একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করে দিলে এই সমস্যার সমাধান হয়।
পরবর্তীতে গ্রীক পন্ডিত ' মেটন' হিসাব করে দেখেন যে প্রতি ১৯ বছরে ৭ টি অতিরিক্ত মাস যোগ করলে সৌর বৎসরের সাথে হুবহু মিলে যায়।
১৯ বছরের ৩, ৬, ৮, ১১ ,১৪ , ১৭ ও ১৯তম বছরে ৩০ দিনের একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করে দিলে কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
এই অতিরিক্ত মাসটি বছরের শেষ মাসের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। শেষ মাসের হিব্রু নাম ' আদার '। যে বছর অতিরিক্ত মাস যোগ হয় সে বছর ' আদার ' মাস হয় দুইটি যেমন ' আদার ১' ও ' আদার ২'।
এভাবে ১৯ বছরের যে চক্র হিসাব করে ক্যালেন্ডার প্রনয়ণ করা হয় সেই চক্রের নাম দেওয়া হয় - " মেটোনিক চক্র "।
এই ভাবে হিব্রু বছর সাধারণত হয় ৩৫৪ দিনের অথবা ৩৫৫ দিনের।
কিন্তু যেই বছরে একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় সে বছর হয় ৩৮৪ দিন অথবা ৩৮৫ দিনের।
আরো একটি হিসাব আছে।
সেটি হলো কোন বছরের উৎসবের দিন তারিখ ঠিক রাখার জন্য গানিতিক হিসাব নিকাশ করে বছর নির্ধারণ হয় ৩৫৩ দিনের অথবা অতিরিক্ত মাস যোগ হলে সে বছর হয় ৩৮৩ দিনের।
এতো হিসাব নিকাশ সত্বেও প্রতি ২১৬ বছরে ১ দিন হেরফের হয়। সেটিও সমন্বয় করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এবার হিব্রু বছরের মাসের নাম গুলি জেনে নেওয়া যাক ঃ প্রথম দিকে মাসের কোন নাম ছিলো না। শুধুমাত্র সংখ্যা দিয়ে কোন্ মাস তা প্রকাশ করা হতো। পরবর্তীতে ব্যবিলনীয় ও আক্কাদীয় ভাষার মাসের নাম কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে হিব্রু ক্যালেন্ডারে সংযোজিত হয়েছিলো।
হিব্রু ১২ মাসের নাম নিম্নরুপ।
১। নিশান -- ৩০ দিনের মাস। বছরের প্রথম মাস। এটি বসন্ত কালে শুরু হয়। মার্চ- এপ্রিল বা আমাদের ফাল্গুন - চৈত্র মাসের সাথে সম্পর্কিত।
২। ইয়ার - ২৯ দিন।
৩। শিভান ।
৪। তামুজ।
৫। আভিল বা আভ।
৬। ইলুল।
৭। তিশরি।
৮। খেশবান।
৯। কিসলেভ।
১০। তেভেত।
১১। শেভাত।
১২। আদার মাস। যে বছরে একটি অতিরিক্ত মাস যোগ হবে সেই বছরে ২টি আদার মাস হবে - যেমন ১২। আদার -১ ও
১৩। আদার -২ ।
হিব্রু ক্যালেন্ডারে সাপ্তাহিক দিন গুলির নাম জানা যাক।
হিব্রুতে সাপ্তাহিক দিনের নাম ছিলো না।
ঈশ্বর যেদিন জগৎ সৃষ্টি শুরু করলেন সেদিন হলো প্রথম দিন বা দিন -১।
এইভাবে ৬ দিনে সৃষ্টি কর্ম শেষে ৭ম দিনের দিন
বিশ্রামের দিন হলো শাবাথ।
১। ইয়ম রিশান - ১ম দিন (রবিবার) ।
২। ইয়ম সেনি - ২য় দিন ( সোমবার) ।
৩। ইয়ম শ্লিশি - ৩য় দিন ( মঙ্গলবার) ।
৪। ইয়ম রেভি - ৪র্থ দিন ( বুধবার) ।
৫। ইয়ম চামিশি- ৫ম দিন ( বৃহস্পতিবার) ।
৬। ইয়ম শিশি -- ৬ঠ দিন ( শুক্রবার) ।
৭। ইয়ম শাবাথ - ৭ম দিন শনিবার ( সাপ্তাহিক ছুটির দিন।।
এখানে একটি জিনিস জানার আছে সেটা হলো দিনের শুরু কখন এবং শেষ কখন?
সূর্যাস্তের পর থেকে পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে একটি দিন হিসেবে গন্য করা হয়। এর অর্থ হলো সূর্যাস্তের পরেই দিবসের সূচনা হয়। তবে একটুখানি ঝামেলা আছে। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই পরের দিনের শুরু একথা বলা যাবে না। সূর্যাস্তের পর থেকে আকাশে ৩ টি স্পষ্ট তারা দেখা যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সূর্যাস্ত ও আকাশে ৩ টি তারা দেখতে পাওয়ার মাঝের এই সময়টুকুর নাম ' বেইন হাসমাশত '।
বেইন হাসমাশত ' সময় টুকুর পরিমান আধা ঘন্টা। এই সময়ে সূর্য দিগন্ত রেখার ৫.৯ ডিগ্রি নীচে চলে যায় এবং গোধূলি লগ্ন শেষ হয়ে রাত্রি নেমে আসে। এই সময় থেকে পরদিন একই সময় পর্যন্ত এক দিন।
আরো একটি অদ্ভুত বিষয় হিব্রু ক্যালেন্ডারে পরিলক্ষিত হয়। সেটা হলো একই বৎসরে ৪ বার ভিন্ন ভাবে নববর্ষ উদযাপন করা হয়।
১।প্রথম নব বর্ষ উদযাপিত হয় বছরের প্রথম মাস নিশান মাসের এক তারিখে।
এটি আসলে শস্য মাড়াইয়ের সময় । এই সময় শস্য ঘরে ওঠে, বিশেষ করে বার্লি বা যব জাতীয় শস্য । মানুষের ঘরে ঘরে উৎসবের আয়োজন চলতে থাকে।
২। দ্বিতীয় নববর্ষ উদযাপন করা হয় ষষ্ঠ মাস ইলুল' মাসের ১ তারিখে। এই তারিখে আসলে নতুন অর্থ বছর শুরু হয়। খাজনা দেওয়ার নিমিত্তে। ( Fiscal year)
৩। তৃতীয় নববর্ষের উৎসব পালন করা হয় সপ্তম মাস 'তিশরি' মাসের এক তারিখে। এইটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি সম্পর্কে পরে বলছি।
৪। চতুর্থ নববর্ষ উদযাপন হয় ১১তম মাস শেভাত মাসের ১৫ তারিখে। এই তারিখে শীতের শেষে গাছে গাছে ফুল ও ফল দেখা যায় তাই এটাকে গাছপালার নববর্ষ হিসাবে দেখা হয়।
হিব্রু ক্যালেন্ডারে ঘন্টার হিসাবেও কিছু বৈচিত্র আছে।
সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে সমান ১২ ভাগে ভাগ করে একেকটি ভাগকে ১ ঘন্টা ধরা হয়, যদিও শীতকাল ও গ্রীস্মকালের ঘন্টা অনেক ছোট বড় হয়ে থাকে।
১ ঘন্টা ১০৮০ হালাকিমে বা অংশে বিভক্ত।
১ হালাকিম ১ মিনিটের ১৮ ভাগের ১ ভাগ । আবার ১ হালাকিম ৩. ৩৩ সেকেন্ডের সমান।
এই হালাকিম বা হেলেক শব্দটি ব্যবিলনীয় শব্দ ' বার্লিকর্ন ' থেকে নেওয়া হয়েছে।
হিব্রু ক্যালেন্ডার প্রনয়নের ক্ষেত্রে চন্দ্র, সূর্য এবং পৃথিবীর পরস্পরের সাপেক্ষে গতি ও পারস্পরিক কৌনিক অবস্থান এবং নিখুঁত গানিতিক হিসাব প্রয়োগ করা হয়েছে।
হিব্রু ক্যালেন্ডার সভ্যতার সূতিকাগার ব্যবিলনীয় সভ্যতার কাছে ভীষণ ভাবে ঋনী।
কারন তারাই প্রথম খ্রীস্টপূর্ব ৩৩০০ অব্দে লিপির আবিষ্কার করেছিলো ( ক্যুনিফর্ম লিপি)।
সুমেরীয় রেনেসাঁ যুগে খ্রীস্টপূর্ব ২১০০ অব্দে রাজা শুলগী ' রাস্ট্রীয় ভাবে ক্যালেন্ডারের প্রচলন করেছিলেন।
হিব্রু ক্যালেন্ডারে উল্লিখিত ইহুদিদের দুই এক টি ধর্মীয় উৎসবের কথা বলেই এই নাতিদীর্ঘ আলোচনা শেষ করতে চাই।
ইহুদিদের বাৎসরিক প্রধান উৎসব হলো ---
" রশ হাশানাহ "।
এটি হলো ইহুদিদের ৪টি নববর্ষ উৎসবের প্রধান নববর্ষ উৎসব।
হিব্রু ৭ম মাস ' তিশরী ' মাসের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করা হয়।
এই দিনটির তাৎপর্য হলো প্রাচীন বাইবেলের আদি পুস্তক ' জেনেসিস ' এর বর্ননা অনুযায়ী এই দিনে ঈশ্বর জগতের সৃষ্টি কার্য শুরু করেছিলেন। সৃষ্টির ষষ্ঠ দিনে ঈশ্বর নিজের আদলে আদি মানব মানবী আদম' ও ইভ' কে সৃষ্টি করেছিলেন।
এবছর ২০২১ খ্রীস্টাব্দ, হিব্রু ৫৭৮২ সালের পহেলা তিশরী দুইদিন ব্যাপী মহা ধুমধামে " রশ হাশানাহ " উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১।
এরই ধারাবাহিকতায় দশম দিনের দিন অনুষ্ঠিত হবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান যার নাম - " ইয়ম কিপ্পুর "।
' ইয়ম কিপ্পুর' দিবসের তাৎপর্য হলো এই দিনে ঈশ্বর বিগত বছরের কর্মফল অনুযায়ী ইহুদিদের ভাগ্যলিপি নির্ধারণ করে থাকেন বলে অর্থডক্স
ইহুদিরা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন । তাই তারা এই দিনের আগে থেকেই ঈশ্বরের কাছে অনুতপ্ত হন, ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং এই বিশেষ দিনে উপবাস পালনসহ সিনাগগে' গিয়ে দলবদ্ধ ভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় মিলিত হন।।
[ তথ্যসূত্র _ https://www.jewishvirtuallibrary.org
https://www.science.co.il
https://www.calendar.com ]
ডাঃ সুকুমার সুর রায়।।
আপনার মতামত দিন: