Dr. Aminul Islam

Published:
2021-04-18 18:48:09 BdST

বালিয়াকান্দিতে ১৬ মাসে ৫৩ আত্মহত্যা : প্রতিরোধের জন্য ৩ পরামর্শ


 

প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট ওসিডি ক্লিনিক ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
-----------------------------------
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে
১৬ মাসে ৫৩ জন আত্মহত্যা করেছে ।
সাধারণ ভাবে মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে,
আত্মহত্যার কারণ মানসিক সমস্যা, পারিবারিক কলহ, শারীরিক সমস্যা প্রভৃতি।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, নানাবিধ কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মূলত বিষণ্নতা, মানসিক সমস্যা, কর্মহীনতা, সুস্থ বিনোদনের অভাবে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। বিষণ্নতাসহ নানাবিধ মানসিক সমস্যার কারণে তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁরা বেঁচে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আবার কর্মহীন মানুষও নিজেকে অযোগ্য মনে করেন। নিজের প্রতি অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আর শিশুদের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হলে তারা আত্মহত্যা করে। শিশুদের জন্য খেলাধুলা, বড়দের স্নেহ–ভালোবাসা আত্মহত্যা থেকে দূরে রাখতে পারে। আর সবার জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্যা সবার সঙ্গে শেয়ার করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন শেখাতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, শুধু বালিয়াকান্দি নয়, আশপাশের উপজেলার কিছু গ্রামেও আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। পাশের ঝিনাইদহ জেলাও খুব আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা। আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও আত্মহত্যাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন সভা ও সেমিনারে আত্মহত্যার কুফল তুলে ধরা হয়। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ।

দুজনেই সুন্দর বলেছেন।
কিন্তু এই সব সুইসাইড প্রবণ এলাকা কার্য কর কর্মসূচি কি চলছে, সেটা মৌলিক প্রশ্ন।

১.

রাজবাড়ী বা ঝিনাইদহ জেলায় অাত্মহত্যা প্রবণ এলাকা গুলোর জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কোন বিশেষজ্ঞ মনোরোগ চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপিস্ট/ সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিনা।
উত্তর হ্যা হলে ভালো।
যদি না হয়,তবে
সরকারের নজরে বিষয়টি আনা দরকার।
বর্তমানে বাংলা দেশের স্বাস্থ্য সেবা য় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু কমও নয়।

এই জেলাগুলো কে জরুরি মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অধীনে আনা দরকার।
সরকার এখন হাতের কাছেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আনুন। সুফল পাওয়া যাবে।

২.
বলা হয়েছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে সভা সেমিনার নিয়মিত করা হচ্ছে। ওসি বলেছেন।
সিভিল সার্জন তেমন কিছু বলেন নি।

মাইকিং করে, কিংবা ওঝা,কবিরাজ,পানি পড়া হুজুর দের দিয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্মত প্রতিরোধ ব্যাবস্থা নিতে হবে।
মনোরোগ চিকিৎসক এর পাশাপাশি কাউন্সেলিং কর্মীদের কাজে লাগাতে হবে।

৩.

প্রতিরোধ মূলক কাজ পরিচালনা করতে হবে স্থানীয় স্কুল কলেজ ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে। স্কুল কলেজের নবীন শিক্ষার্থীদের কাজে লাগিয়ে প্রতিরোধ মূলক প্রচার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। স্থানীয় মসজিদ, মন্দির, গির্জা থেকেও প্রচার চালিয়ে যেতে হবে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়