SAHA ANTAR

Published:
2020-10-14 19:34:12 BdST

  সৌমিত্রের জীবন মরণ লড়াই


এক অনুষ্ঠানে লেখকের সঙ্গে মহান বাঙালি অভিনেতা সৌমিত্র । ফাইল ছবি

 


মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
__________________

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে করোনার সাথে জীবন মৃত্যুর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কালজয়ী অভিনেতা সৌমিত্র। সুচিত্রা সেনের বিপরীতে ' সাত পাকে বাঁধা ' চলচ্চিত্রে আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকায় অজেয় অভিনয় করেন।হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় শৈলী গগন-চুম্বী। বাচিক শিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি বংগজোড়া।
২।সর্বনাশা করোনা আমাদের মেধা শূন্য করে দিচ্ছে। এই নীরব ঘাতক থেকে মুক্তি পেতে প্রতিষেধক আবিস্কারের পূর্ব পর্যন্ত মাস্ক পরাই মোক্ষম অস্ত্র।

______________________________

১৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় জি ২৪ ঘন্টার খবর হল,

 

চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কালই খুলে নেওয়া হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট। সামান্য হলেও আগের থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়েছে বেলভিউ কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ভর্তি রয়েছেন সৌমিত্র। গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’বার প্লাজমা থেরাপি হয়েছে তাঁর।


হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, গত রাতে খুব ভাল ঘুম হয়েছে সৌমিত্রর। তবে সোডিয়াম একটু বেশি থাকায় চিন্তায় চিকিৎসকরা। এও জানানো হয়েছে যে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালভাবেই কাজ করছে। আজ ১৪ দিনের মাথায় ফের করোনা টেস্ট হবে প্রবীন অভিনেতার। বুধবার সকাল ১০ টায় শেষ মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী সৌমিত্রর পালস রেট- ১৩৩ প্রতি সেকেন্ড, অক্সিজেন স্যাচুরেশন- ৯৩ শতাংশ। ব্লাড প্রেসার- ১৮১/৯৭, রেসপিরেটরি রেট- ৩৪। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দ্রুত সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই।

____________
১৩ অক্টোবর আনন্দবাজার পত্রিকা জানায় ,

চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র, খুলে নেওয়া হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাইপ্যাপ সাপোর্ট অর্থাৎ নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। কিছুটা হলেও আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুলেটিন প্রকাশ করে জানালেন বেলভিউ কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ভর্তি অশীতিপর এই অভিনেতা। এ দিনই সেখানে তাঁকে দেখতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দিন জানান, আগের মতোই কোভিড চিকিৎসা চলছে সৌমিত্রের। গত কয়েক দিন ধরে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’বার প্লাজমা থেরাপি হয়েছে তাঁর। সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক রয়েছে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের তারতম্য রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

এ দিন ফের এক বার ইকো, ইসিজি এবং রক্তপরীক্ষা হয় প্রবীণ অভিনেতার। নতুন করে এমআরআইও করা হয়। বুধবার নতুন করে করোনা পরীক্ষাও করা হবে। সঙ্কট যদিও কাটেনি, তবে সৌমিত্রের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। আগের চেয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সৌমিত্র তনয়া পৌলমী বসু বলেন, ‘আগের চেয়ে ভাল আছেন বাবা। খানিকটা স্থিতিশীলও। ১ শতাংশ হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ সকালে বাই-প্যাপ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাবাকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার কথা ভাবছেন না চিকিৎসকরা’।

নোভেল করোনায় সংক্রমিত সৌমিত্রকে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, সৌমিত্রের প্রস্টেটের পুরনো কর্কটরোগ ফিরে এসেছে। ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ঘটেছে মূত্রথলিতে। তার পরেই সৌমিত্রকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।

শ্বাসকষ্ট প্রবল না হলে রোগীকে সাধারণত বাইপ্যাপ বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে নাকে-মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাড়তি চাপে অক্সিজেন-যুক্ত বাতাস পাঠানো হয় রোগীর ফুসফুসে। করোনা রোগীদের অনেকের ক্ষেত্রেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন পদ্ধতি কাজ করেছে। সোমবার রাত থেকে সৌমিত্রকে সে ভাবেই রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে সরাসরি তাঁকে ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর’-এ রাখার কথা হচ্ছিল। যেখানে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস পুরোপুরিই যন্ত্রনির্ভর। সকাল থেকে তার প্রয়োজন না পড়লেও দুপুরে সৌমিত্রকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়।

__________________________

৩।করোনা হলে বা সন্দেহ হলে বা অন্য কোন অসুস্থতায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা পেতে Whatsapp - 01707549359 নম্বরে আপনার লক্ষণ যেমন জ্বর ২ দিন,কাশি ৩ দিন, পাতলা পায়খানা ২ দিন ইত্যাদি লিখে এস এম এস করুন। আমি দ্রুত রিং ব্যাক করবো। বিশেষ প্রয়োজনে রিং করতে পারেন।
৪।মানুষ তার 'জীবন ' পায় মাত্র একবারই। তাই, অসময়ে অকাল মৃত্যু প্রতিরোধের চেষ্টা থাকুক অবিরল।সঠিক সময়ে করোনা নির্ণয় হলে রোগী নিজ বাসায় চিকিৎসা গ্রহণ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুস্থ হয়ে যায়। তাই যে কোন অসুস্থতায় সম্পূর্ণ সংকোচমুক্ত হয়ে এস এম এস পাঠান।এই সেবা সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘন্টা খোলা আছে।
পৃথিবী করোনামুক্ত হোক। সৌমিত্র আবার আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। ভেসে আসুক বকুলের সুরভী, শোনা যাক পাখির কাকলি, বন্দী যেন হই বন্ধুর উষ্ণ আলিংগনে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়