Dr. Aminul Islam

Published:
2020-10-05 00:49:41 BdST

বাচ্চাদের দূর শিক্ষণ খুব ফলদায়ক হবে না


 


অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
_____________________


বাচ্চাদের দূর শিক্ষণ বা
বা রিমোট লার্নিং খুব ফলপ্রসু না । এটি একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা । আমরা সবাই মাস্ক পরলে স্কুল খুলে দিলে সমস্যা হবেনা বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য ত নাই । এছাড়া শিক্ষার অনেক স্কিল শেখা অসম্ভব , মেডিক্যাল লেখা পড়া তো এভাবে কার্যকর না। আর যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন তাদের জন্য এ এক বাড়তি চাপ ।শিখকদের ও শিক্ষণের নতুন পদ্ধতির সাথে খাপ খাওয়ানো সবার জন্য সম্ভব হয়না ।
সবাই মাস্ক পরলে জনগোষ্ঠী তে সংক্রমণ কমানো যাবে , স্কুল খুলে দেওয়া সম্ভব হবে । আপনাদের ঘরের সন্তানদের স্বার্থে সবাই মাস্ক পরুন।
২.


কাতুকুতু বা সু ড়সুড়ি র শারীরবৃত্ত --
ত্বকে মৃদু উদ্দিপনা ঘটাতে পারে স্মিত হাস্য, হাস্য , সরে যাওয়া , ত্বকের লোম খাড়া হয়। একে কাতুকুতু বা tickling or titilation বলে।
কাতুকুতু দু রকমের ঃ knismesis and gargelesis।
knismesis কে বলা যাবে চলমান সুড়সুড়ি , শরীরে চেলা হাঁটলে যেমন সুড়সুড়ি লাগে like movement off crawling insecta। বিরক্তিকর আবার অনেকের পছন্দ । gargelesis এতে হয় হাসি উদ্রেক করার মত অনুভুতি ত্বকে আরেক টু কর্কশ ছোঁয়া , খোঁচা । এ ধরনের অনুভুতি হয় মানুষ আর বানর , বনমানুষ লেমুর এমন সব শ্রেনির । গবেষকরা বলেন ইদুরদের এমন কাতুকুতু দেওয়া যায় । জার্মান এক গবেষণায় দেখা যায় gargelesis একটি সুরক্ষা বর্ম মানুষের হাইপোথ্যালামাস এর মাধ্যমে মানুষ আত্ম সমর্পণ করে বা পালিয়ে যায় ।
কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি স্নায়ু বাহিত , বেদনা আর স্পর্শ স্নায়ু জড়িত । দেখা যায় বেদনা স্নায়ু যদি কেটে ফেলা হয় সার্জারির সময় তাহলে কাতুকুতু থাকেনা ।
হয়ত ভাববেন ত্বকের যে সব অংশ স্পর্শ কাতর এতে কাতুকুতু বেশি । তা নয় কিন্তু । যদিও হাতের তালু বেশি স্পর্শ সংবেদি কিন্তু আসলে পায়ের তলা বেশি কাতুকুতু কাতর। কাতুকাতু কাতর অন্যান্য স্থান হল কুক্ষি দেশ, হাঁটু , নিচ কোমরের পাশ , তলপেট ।
অনেক গবেষক দেখেছেন কাতুকুতু একটি নারভাস প্রতিক্রিয়া যা উদ্দিপিত করা যায় । কাতুকুতু দেয়ার আগে দেখালেই খুব কাতুকুতু প্রবন ব্যক্তি হাস্য করতে থাকেন । আপনাদের মধ্যে কজন এমন আছেন ?

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়