Dr. Aminul Islam
Published:2020-09-29 16:26:02 BdST
অবসরভোগীদের পেনশন : প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
____________________
অবসর জীবনে কে কেমন আছেন অনেকে জিজ্ঞেস করেন না বিশেষ করে ১০-১৫ বছর আগে যারা অবসরে গেছেন তাদের কথা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছর আগে যারা পেনশনে গেছেন তাদের কিছুটা আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধির জন্য যা করেছেন তা পূর্বের কোন সরকার করেন নি । কিন্তু সৎ সরকারি পেনশন জীবীদের নানা মৌলিক ব্যয় মিটাতে এতেও কুলায়না কারন বাজার তাদের জন্য থমকে যায়না চিকিৎসার জন্য আর বার্ধক্যের নানা দুরারোগ্য আর ক্রনিক রোগের ব্যয় কমেনা । চিকিৎসা নেয়া না হয় পরিনতির কাছে আত্ম সমর্পণ ।
এমন দোলাচলে পড়ে অনেকে নীরব থাকেন নয় পরিনতি যাই হোক মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। তাই বৃদ্ধ প্রবীণ যারা এমন পেনশন ভোগী জীবনে সৎ থেকে কাটালেন তাদের জমানো ভাণ্ডার শুন্য থাকে , আর ভরেনা । অসহায় নিয়তি সম্বল হয় । আশা জাগে যদি মাননীয় প্রধান মন্ত্রি তাদের আর্থিক সঙ্গতি আরও সবল করার পদক্ষেপ নিতেন । আজ প্রথম আলোতে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলি ইমাম মজুমদারের লেখা পড়ে বেশ উৎসাহিত হলাম তার যথাযথ বক্তব্য নিশ্চয় পৌঁছাবে নীতি প্রণয়ন যারা করেন তাদের কাছে । আর এতে সুফল ফল্ বে ।
বৃদ্ধ বৃদ্ধা যারা তারা যদি দেখেন অবসর জীবনে তারা থাকবেন সরকারের সুরক্ষা বলয়ে , কারো মুখাপেক্ষী হয়ে মর্যাদা হারাবেন না , তখন তাদের সরকারি চাকুরি জীবনে সততা বাড়বে ।
বেতন বাড়িয়ে কর্মচারী কর্মকর্তাদের সততা আশা করা যায়না বরং বার্ধক্যে সুরক্ষা নিশ্চিত হলে অনেকে নানা ধান্ধার পথ মাড়াবেন না । তবে যাদের অস্থি রক্ত মজ্জায় দুর্নীতি , লোভ যাদের সর্বগ্রাসী , তাদের কথা আলাদা, এদের দিয়ে সমাজ বিচার চলেনা । এদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির অধিন করলে দুর্বৃত্ত পনা প্রশমন কিছুটা সম্ভব । কারন কোন কোন সময় কঠোর শাস্তি হল সমাধান ।
আপনার মতামত দিন: