SAHA ANTOR
Published:2020-09-04 03:36:10 BdST
শিশুশিক্ষা: একটি মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
ডা. আজাদ হাসান
___________________________
আজকাল বাচ্চাদেরকে কেবল পুথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত করা হয় কিন্তু এর পাশাপাশি নীতিনৈতিকতাসহ মানবিক গুণাবলীর চর্চা এবং অনুশীলন এক প্রকার অনুপস্থিত হয়ে পড়েছে।
যে কোনো শিশু মূলতঃ ৩ টা স্থান হতে শিক্ষা অর্জন করেঃ
পরিবারঃ একজন শিশু প্রথম পাঠ অর্জন করে তার পরিবার হতে। যদি তার পিতা মাতার মাঝে সুসম্পর্ক বজায় থাকে, পিতা যদি মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করে, ভালো ভাবে কথা বলে, সেই শিশুটিও সেটাই শিখবে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায়তনঃ একটু বড় হলে শিশু যখন স্কুলে যায় তখন সে স্কুল হতে পুথিগত বিদ্যা অর্জন করে এবং
পারিপার্শ্বিক পরিবেশঃ আর একটু বড় হলে সে পরিবেশ বা সমাজ হতে শিক্ষা লাভ করে।
সুতরাং একজন শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সুস্থ সমাজ এবং সুস্থ সামাজিক পরিমন্ডল।
আর একটা বিষয় শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, আর সেটা হলো বই।। প্রসংগত উল্লেখ করতে চাই কথা সাহিত্যিক শরৎ চন্দ্র যে সব উপন্যাস লিখেছেন যেমন রামের সুমতি, মেজ দিদি এ জাতীয় উপন্যাস পড়লে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে যেমন জানা যায়, তেমনি কঠিন কঠোর বাস্তবতা সম্পর্কে জানা যায়, পাশাপাশি পরিবারের টানাপোড়ন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সব কিছু ছাড়িয়ে মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমতা এবং পারিবারিক বন্ধনের বাস্তব চিত্র সম্বন্ধে জানা যায়।
তা ছাড়া খেলাধুলার গুরুত্বও অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে যে কেবল সুঠাম শারীরের অধিকারী হওয়া যায় তা নয়, বরং পরস্পরের সাথে মিলেমিশে অর্থাৎ টীম ওয়ার্ক গড়ে তুলে কিভাবে কাজ করতে হয়, সে শিক্ষা দেয়। তাছাড়া প্রত্যুত্তপন্নতা, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা জন্মায়। আর খেলাধুলার মধ্য দিয়ে লিডারশীপ কোয়ালিটির উন্মেষ ঘটে।
অথচ বর্তমান বাস্তবতা হলো, আজকালকার ছেলে মেয়েরা বাস্তবতা বিবর্জিত এক ফ্যান্টাসি জগতে বেড়ে উঠছে। তাই নতুন প্রজন্মের যুবকদের মাঝে স্বার্থপরতা এবং আত্মকেন্দ্রিকতা বেশী কিন্তু মানবিকতা প্রায়শঃ অনুপস্থিত।
আপনার মতামত দিন: