Dr. Aminul Islam

Published:
2020-09-03 01:57:50 BdST

ড্রাগ, ডিপ্রেশন, অর্থলালসা এবং মনোনিরাময়ালয়



 
ডা সুলতানা আলগিন

সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগ বিদ্যা
কনসালটেন্ট ওসিডি ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক
,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
____________________________


ড্রাগ, ডিপ্রেশন, অর্থলালসা - সিবিআইয়ের এই প্রশ্নগুলিতেই মেজাজ হারান রিয়া চক্রবর্ত্তী।
এই জাতীয় শিরোনাম এখন জোর চলছে। উপমহাদেশের হৃদয়প্রতীম অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর পর বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের কোটি কোটি তরুণের হৃদয়ে এখন কান্না ও বিক্ষোভ। রিয়া চক্রবর্ত্তী তার বান্ধবী ও বলিউড নায়িকা।
প্রশ্ন হল , চলচ্চিত্র নায়ক নায়িকাদের জীবনে ড্রাগ, ডিপ্রেশন এত জড়িয়ে কেন! অর্থলালসা কার নেই! বা থাকলেও সেটা কতটা ক্ষতিকর।
এই তিনটি বিষয়ই হল মনোরোগ বিষয়ের অধীনে। তাই এ নিয়ে কিছু বলা দরকার।
ড্রাগ তো কেবল হিরো হিরোইনদের নেশা নয়। কোটি কোটি মানুষকে ড্রাগ বিকল করছে।
ডিপ্রেশনও তাই। মানুষ ভুগছে। এর থেকে পরিত্রাণ দরকার।
অর্থলালসার বাড়াবাড়ি সেও যে রোগ। তার থেকেও ভাল হওয়া চাই।
কিভাবে সেটা সম্ভব।
প্রথমে ড্রাগের কথা বলি।
এর থেকে মুক্তি সম্ভব।
সঞ্জয় দত্ত ড্রাগে মহা আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
তার অতি ভাল মানুষ পিতা সুনীল দত্ত একান্ত মনোযোগ দিয়ে সন্তানকে বের করেছিলেন ড্রাগ থেকে।
মানসিক রোগের ডাক্তাররাই ভাল করেন সঞ্জয়কে।
দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার সঞ্জয়ের। নারগিসের সুযোগ্য সন্তান।
সবাইই জানি , তারপরও বারা বার ফিরে গেছে স্ঞ্জয় ড্রাগে। আবার মনোরোগ বিশেষজ্ঞর সেবায় ফিরেও এসেছে সগৌরবে।
আরও ভাল থাকতে পারতেন তিনি। সেজন্য দরকার ছিল নিরবচ্ছিন্ন মানসিক সেবা। সেটায় ব্যত্যয় ঘটায় ফিরে গেছে ড্রাগে। ফেরত এসেছে চিকিৎসায়।
ডিপ্রেশন আছেই। হাজারও কিসিমের। নিয়মিত চিকিৎসায় ভাল থাকছেন সবাই। ভাল থাকতে হলে চিকিৎসা নিয়মিত নিতে হবেই।
শাহরুখ খান, কঙ্গনা রনৌত, দীপিকা পাড়ুকোন ও ডিপ্রেশন ভোগেন। ভুগতেন।
জানা যায়, শাহরুখ খান নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে একটা সময় কাটান মনোনিরাময়ালয়ে।
বাংলাদেশে অমন মনোনিরাময়ালয় গড়ে ওঠে নি। নিত্য যে সমাজ বাস্তবতা, সেটা দরকারও । দীপিতা, কঙ্গনাও নিয়মিত নিরাময়সেবায় সুস্থ আছেন। তাই তারা উপমহাদেশের শীর্ষ তারকাও।
আর অর্থলালসা অতি বাড়াবাড়ি। এটারও নিরাময় সম্ভব নিয়মিত মনোচিকিৎসা নিলে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়