SAHA ANTOR

Published:
2020-08-22 18:22:59 BdST

ওষুধ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ডা. সুলতানা আলগিনের ৭ আবশ্যিক পরামর্শ



অনেক রোগী ডাক্তারের কাছে আসেন। প্রেসক্রিপশন নেন। কিন্তু ওষুধ নিয়মিত সেবন করেন না। সময়মত ফলোআপ না করে মাসের পর মাস ওষুধ খেয়ে চলেন নিজ দায়িত্বে বা না বুঝে। নিজেরা কিছু ওষুধ দোকানির পরামর্শ মত কেনেন। এমন রোগীদের জন্য ওষুধ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ডা. সুলতানা আলগিনের ৭ আবশ্যিক পরামর্শ ।

ডা সুলতানা আলগিন

সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগ বিদ্যা
কনসালটেন্ট ওসিডি ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক
,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
___________________________


১. ভাল থাকলে নিজের মত ওষুধ বন্ধ করে পরীক্ষা করার চেষ্টা করবেন না ।

২. ঘুমের ওষুধ বেশিদিন খাওয়া যায় না । এতে আপনি আসক্ত হয়ে পড়বেন ।

৩. মানসিক রোগের ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকলে আপনি অন্যান্য রোগের ওষুধের মতই একে আপন ভাবুন । এই ওষুধগুলোকে আলাদা চোখে দেখার বা লুকানোর দরকার নাই ।

৪. সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে । সুতরাং মানসিক রোগের ওষুধ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না ।
৫.
কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপী একটা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা ব্যবস্থা । চিকিৎসকের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিন আপনার কোনটা প্রয়োজন ।

৬.মানসিক রোগের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বিশেষ চিকিৎসা সতর্কতা অবলম্বন করেন ।
তাই আপনি আপনার ইচ্ছা মত ওষুধ খাবেন না ।
৭. আপনার ডাক্তার আপনাকে একটি ফলোআপ ডেট দেন। কাউকে ২ সপ্তাহ , ৩ সপ্তাহ , কাউকে ১/২/৩/৪/৬ মাস পর ফলোআপ করতে বলেন। কোন ওষুধ ক দিন , ক মাস ধরে খেতে হবে, তা লিখে দেন।
এই পরামর্শ অনুসরণে অবহেলা করবেন না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে আপনার ভালো মন্দ সব চিন্তা করেই কাছাকাছি বা দেরীতে ফলোআপ শিডিউল দেয়া হয়। নানা জিনিস ও ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বুঝতেই রোগীর একান্ত কল্যাণের জন্যই এই ফলোআপ। এটা অনুসরণ খুব জরুরি। ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়া কোনভাবেই ওষুধ খাবেন না।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়