রাতুল সেন
Published:2020-08-19 19:04:27 BdST
আমেরিকান কবি সারা তাসডালের ১৫ কবিতা
ডেস্ক
____________
আমেরিকান কবি সারা তাসডালের গুচ্ছ কবিতা।
আনোয়ার হোসেন বাদল অনূদিত ।
১. বিনিময়
---------------
সমস্ত রাতের ঝর ঝর বৃষ্টির পর
কাকভেজা সুন্দর এই সকাল
নির্মল বায়ু আর জাঁকজমকপূর্ণ জিনিস-পত্র;
এই সবকিছুর বিনিময়ে মানুষ চায় প্রেম
জীবনের মূল্যে চায় সুখ, ভালোবাসা
জলের ছোট্ট এই তরঙ্গগুলি পাহাড়ের পাদদেশে শুভ্র ফেনিল হয়ে মিশে গেছে,
দেহের গভীরে যে আগুন বয়ে যায় এবং বেজে ওঠে সঙ্গীতের মুর্ছনা
এবং বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে যে খাবারের পাত্র, মায়ের স্তন
এ সব কিছু বিনিময় হচ্ছে ভালোবাসা।
মানুষ এক অদ্ভুত প্রাণি যে প্রেমের বিনিময়ে জীবন বিক্রি করতে পারে
নদীর বাঁকের এই সৌন্দর্য
বৃষ্টিস্নাত গাছের ঘ্রাণ,
যে চোখগুলি তাকে ভালবাসে এবং বুকে ধরে রাখে,
তাদের আনন্দের জন্য, সে দিয়ে দিতে পারে সব।
তোমার সমস্ত কিছু ভালবাসার জন্যেই দাও;
কখনও মূল্য গণনা না করেই প্রকৃতির এই রুপ_রস কিনে নাও
প্রেমের একটি মুহুর্তের জন্যে দিয়ে দাও সব
কেননা প্রেম ছাড়া পৃথিবীর কোন সুখ নেই।
০২. আমি গ্রাহ্য করবোনা
---------------------------------------------------
এমনই উজ্জলতর কোন এপ্রিলে যখন আমি মরে যাবো
আমার চুলগুলো বসন্ত-বাতাসে উড়তে থাকবে
তুমি হয়তো ভগ্ন হৃদয়ে আমাকে বুকে চেপে ধরবে
আমি তোমাকে গ্রাহ্য করবোনা
আমি তখন বৃক্ষ হতে খসে পড়া একটি পাতার মতোই শান্ত
যখন বৃষ্টির ফোটাগুলো ধীরে ধীরে নীচে নেমে আসবে
আজ তুমি যেমন নীরব হয়ে আছো
তেমনই আমি তোমাকে গ্রাহ্য করবোনা
বরং আরও নিশ্চুপ, আরও নিস্তব্ধ হয়ে যাবো।
০৩. দুই বীরের স্বপ্ন বিভ্রাট
-----------------------------------------
যৌবনের স্নিগ্ধ প্রভাতে দু'জন বীর তাদের প্রত্যাশিত নারীর কথা বলাবলি করছিলেন।
তাদের একজন বলেছিলেন,
"আমি এমন একজনকে চাই যিনি হবেন স্বর্ণকেশী এবং অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ কোন আদর্শ নারী।"
তারপরে অন্য বীর বললেন-
"আমি তার কোন যত্নই নিতে পারবোনা
তবে আমাকে তার অবশ্যই ভালবাসতে হবে
এবং তাকে হতে হবে শান্ত, পবিত্র এক পাখির মত।"
একথা বলে বীরেরা চলে গিয়েছিলেন তাদের কর্মক্ষেত্রে
আমিও আমার কাজে মনোনিবেশ করে ভুলে গিয়েছিলাম তাদের কথোপকথন
অতঃপর যৌবন শেষ হবার আগে
তারা দু'জনেই খুঁজে পান তাদের ভালোবাসা
যিনি স্বর্ণকেশী অস্পরীর স্বপ্ন দেখতেন
তিনি নিয়ে এসেছেন এক বাদামী চুলওয়ালীকে
বীরের সস্ত্রীক আগমনে আমি বেশ পুলকিত হলাম
আর তিনি হয়তো ভুলেছিলেন পূর্বের কথা।
অন্যজন যিনি পবিত্রতা খুঁজতেন
তিনি বাড়িতে এনেছেন এক নির্ভেজাল বুনো নারীকে
এবং যখন তারা একে অপরকে দেখলেন
তখন দু'জনেই স্মিত হেসে বললেন 'এমনটাই হয়।'
০৫. একটি কান্না
--------------------
হায়, তার চোখে চোখ রাখার মত কেউ হয়তো আছে
এবং এমন হাতও আছে যে হাতের স্পর্শে সে আনন্দিত হবে,
অথচ আমার প্রেমিকের কাছে
আমার মুখের একটি সম্মোধনই যথেষ্ট ছিলো।
কারও বুকে নিশ্চয়ই তার স্থান রয়েছে
কারো ঠোঁট পাতা আছে
যেখানে তার ঠোঁট মেলাতে পারবে
অথচ আমি একাকী একটি পাখির মত
শুধুই হাহাকার করে মরছি।।
০৬.শুধু ঘুমের মধ্যে
----------------------
শুধু ঘুমের মাঝেই আমি তাদের সাথে মিলিত হই
শৈশবে যাদের খেলার সাথী ছিলাম
ঘুমোঘোরে চলে আসে সেসব শিশুরা
আসে লুই, যার ছিলো ফিতে বাঁধা বাদামী রঙের চুল
আর বুনো রিংলেট সহ আসে অ্যানি।
ঘুমের মধ্যে থমকে যায় সময় —
তারাও কী এসব দেখতে পায়?
আহা, বহুবছর আগের কোন এক সন্ধ্যায়!
আমরা অনেক খেলেছি
আমাদের পুতুল দাঁড়িয়েছিল সিঁড়ির মোড়ে।
বছরগুলি তরতর করে চলে যায়
যদিও মুখে তার দাগ সামান্যই পড়ে
তাদের চোখে চোখ রেখে সেসব স্মৃতি অল্পই আঁচ করতে পারি
আহা তারাও কি আমার মত স্বপ্ন দেখে?
আমিও কী তাদের কাছে একটি শিশু নই?
০৭. আমি যা গ্রাহ্য করি
-----------------------------
তাকে আমি কেন গ্রাহ্য করবো?
আমার অলস বসন্ত দিনের স্বপ্ন
আর গানগুলোর কোন মূল্য যার কাছে নেই?
তার কাছে আছে প্রশ্ন
অথচ আমার ভেতরে চকমকি পাথর,
ঘর্ষণেই দপ করে জ্বলে ওঠে এবং তার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়।
তবু ভালোবাসার জন্যে আমি তাকে সহ্য করি,
তার প্রতি বিরুপ হতে চাইনা আর
আমি দৃঢ়তার সাথে বলি-
গানের কথার সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলোনা।
০৮. প্রেমের পরে (বিচ্ছেদ)
----------------------------------
পরিচয়টা পথেই হয়েছিলো,
আর দশজন সাধারণের মতোই অনারম্ভ এবং অারতিহীন
না, এটাতে কোন মিরাকেল বা জাদু ছিলোনা
আর আমিও তোমার জন্যে আহা মরি কেউ ছিলাম না।
সমুদ্রের মতোই আমি বুক পেতে ছিলাম
তুমি মৌসুমী বায়ু হয়ে এলে
সময় আমাদের উচ্ছলতা কেড়ে নিলে আজ আমি মজা এক জলাশয়
আর তুমি অবজ্ঞার দৃষ্টিতে কিনারে দাঁড়িয়ে
তবুও স্রোতের টানাপোড়েন, সমুদ্রের তিক্ততা
আর ধংসাত্মক ঝড়ো হাওয়া থেকে আজ আমি নিরাপদ
আজ আমি শান্ত, স্থির।
০৯. আলোকিত জানালা
---------------------------------
হতাশা, ক্লান্তি আর সমস্যার স্তুপ মাথায় নিয়ে লোকটি হাঁটছিলো
শীতের সান্ধ্য-অন্ধকারে অতিক্রম করছিলো এক পুরনো বিদঘুটে সড়ক।
দুঃশ্চিন্তা নিয়ে সে খুব ধ্রুত পা ফেলছিলো
সহসা পাশের জানালা গলে এক ঝলক আলো তার চোখে পড়তেই
সে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে যায়
এবং দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দোকানটির দিকে
সেখানে বাচ্চাদের জন্যে নানান রঙের খেলনা সাজানো
নানান রঙের মুখোশ
দেয়ালে ঝুলানো করমারি পুতুল,
ভ্যালেন্টাইন কাগজ, লাল-সবুজ ক্যান্ডি
ঘুড়ি, নাটাই আর রঙ-বেরঙের মার্বেল
নিমিষেই লোকটি তার বর্তমান ভুলে যায়
কতগুলো মার্বেল আর মুখোশ
তাকে শিশু সুলভ লোভী করে তোলে
লোকটি পা বাড়িয়ে চলে আসে বাড়ি
এবং শীতের এ সন্ধ্যেবেলা
আলোকিত দোকানটির কথা ভাবতে ভাবতে নিজমনে হাসেন
আহা দুরন্ত শৈশব!
১০. আই এ্যাম নট ইওর
-------------------------------------
আমি তোমার ব্যক্তিগত সম্পদ হতে আসিনি
আমি শুধু একটি প্রজ্জলিত মোমবাতির হতে এসেছি
যেমন তুষার মিলিয়ে যায় সমূদ্রজলে
তুমি আমাকে পেতে চাইলে
সেই আলোর মধ্যে মিশে যাও, জ্বলতে থাকো
তবেই আমি তোমাকে খুঁজে নেব
তখন প্রেমের গভীরে ডুবে যাবো আমরা
তোমার অর্থহীন ভালোবাসার ঝড়ে আমি হারিয়ে ফেলেছি আমার জ্ঞান,
আমি এখন বধির এবং অন্ধ হয়ে গেছি
তোমার ভালবাসার ঝড়ে
নিভে যাচ্ছে প্রজ্জলিত একটি মোমবাতি t
১১. এসো ভুলে যাই
----------------------------
এসো ভুলে যাই পৃথিবীর সব দুঃখ আর বেদনার কথা
ফুলকে যেমন ভুলে যায় বৃক্ষ,
শ্রোতা যেমন ভুলে যায় গানের সন্ধ্যা
সময় এক দয়াশীল বন্ধু
আমাদের মুখের বলিরেখাগুলো জাগিয়ে দেয় অদ্ভুতশৈল্পিকতায়
আর আমরাও বিস্মৃত হই
জীবনের সকল দুঃখ বেদনার কথা
কেউ প্রশ্ন করলে তুমিও ইতিবাচক হয়ে তাকে বলে দাও
আমরা সেসব কথা ভুলে গিয়েছি বহুকাল আগে
দীর্ঘ পথে হাঁটার ক্লান্তি কেউ কি মনে রাখে?
সুতরাং চলো ভুলে যাই বেদনার কথা
তুষার পাতে সৃষ্ট অচল সময়ের কথা যেভাবে ভুলেছি।
১২. একটি মেয়ের জন্যে পরামর্শ
-----------------------------------------------
ওহে বালিকা তোমাকেই বলছি
সত্যকে ধারণ করে কঠিন হতে পারলে তুমি হবে অমূল্য পাথর
মনে রেখে পৃথিবী এবং তুমি একমাত্র তোমারই
কেউ একজন তোমার মালিক হতে পারেনা
সে তোমাকে ক্ষণিকের জন্যে মোহাবিষ্ট করতে পারে।
এইসব কথা শান্তভাবে মুখের উপর স্থির রাখো
মুছে ফেলো চোখের জল
কঠিন বরফের পাথরটির দিকে তাকাও
মনে রেখো তুমি কখনও একা নও
তোমার ভেতরে আছে ঐ পাথরটির মতোই অদ্ভুত শক্তি
আর কেউ একজন তোমাকে সাময়িক মোহাবিষ্ট করলেও
সে তোমার মালিকানা পায়না।
১৩.জোকার
------------------
ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের আলোয় দাঁড়িয়ে আছেন একজন কৌতুকাভিনেতা, সবাই বলেন জোকার
তার ভাঙা বাঁশির সুর
বারবার অনুরণিত হয় আমার হৃদয়ে।
আমি চেরি গাছটির নীচে দাঁড়িয়ে থাকি
আমাকে লক্ষ্য করে সে বাজায় সপ্তসুরের জাদুময় অর্কেস্ট্রা
আমি ভুলে যাই সময় এবং সময়ের ক্ষত।
পৃথিবীর পথে পথে জোকারের অভিনয় আর বাউলের সুর
মানুষেরা তাদের অবজ্ঞা করলেও
নিজের আনন্দে বিভোর থাকেন তারা
আর আমি ভালোবাসি তাদের কৌতুক আর সুমধুর সুর।
১৪. জলজ কণ্ঠ
----------------------
জলজ কন্যার কণ্ঠে মোহনীয় গান
অরণ্য ঘেষা পথর খণ্ডের উপর আছড়ে পড়েছে তার সুরের ঝর্না ধারা
আহা প্রকৃতির মতোই শান্ত, স্নিগ্ধ এক নারী
পদ্ম ফুল হয়ে ফুটে থাকে সে
তার বানী পবিত্র স্রোতের সাথে মিশে যায়
মন্দিরের খিলানগুলির নীচে
একাকী বসে সুখ স্বপ্নে বিভোর হয়ে নারী।
তার সুরের মুর্ছনায় সন্ধ্যা নামে,
মিলিয়ে যায় আকাশের রক্তিম আবির
পার্সিয়ান বাগানের কলিগুলো সহাস্যে ফুটে ওঠে
আর তার চুমুতে ফুটন্ত গোলাপেরা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।।
১৫. মে
-----------
বাতাসে ইলিকাস ফুলগুলো উর্ধ্বমুখে দুলছে
বার্তা এসেছে পুরাতন যাবে ঝরে
শীতের শুস্কতায় ঝরে যাবে পত্র-পল্লব
আমিও বিদায় নিয়ে চলে যাবো
আপেল ফুলের নীচে এখন আমার আনন্দহীন কাটবে সময়
হে ছন্দময় যৌবন, তোমাকে বিদায়
এপ্রিলে ভেসেছি যে প্রেমের স্রোতে
মে মাসে সব আমার মিথ্যে হয়ে যায়।
------------------
কবি সারা তাসডালের সংক্ষিপ্ত জীবনী
------------------------------------------------------
সারা তাসডালে বা সারা টিসডাল যিনি ১৮৮৪ সালে আমেরিকার সেন্ট লুই, মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে তিনি প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন ফলে তাঁর নয় বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারেননি। তিনি একটি রক্ষণশীল ধর্মীয় পরিবারে বেড়ে ওঠেন এবং মেরি ইনস্টিটিউটে থেকে বেসরকারীভাবে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে তাসডালে হোসমার হল কলেজ থেকে ১৯০৩ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আমেরিকার বিখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন দ্য পটারসের সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনে একদল মহিলা শিল্পীদের নিয়ে তিনি সঙ্গীতের কাজ করেন।
তাসডালের প্রথম কবিতা ১৯০৭ সালে রিডির মিরর নামক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এবং একই বছর তিনি তার প্রথম বই, সনেটস টু ডুস এবং অন্যান্য কবিতা প্রকাশ করেছিলেন। তার দ্বিতীয় গ্রন্থ হেলেন অফ ট্রয় এবং অন্যান্য কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯১১ সালে। এই বইটি আমেরিকা এবং ইউরোপে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। একই সঙ্গে সমালোচকদের দ্বারা খুব ভালভাবে গৃহীত হয়।
তাসডাল ১৯১৪ সালে বিবাহ করেন এবং স্বামীর সাথে মিসৌরি থেকে নিউ ইয়র্কে চলে যান।
তিনি দুটি কল্পকাহিনী, দ্য আনসারিং ভয়েস এবং উইমেন ওয়ান হান্ড্রেড লাভ লিরিক্স ও শিশুতোষ গ্রন্থ রেইনবো গোল্ড সম্পাদনা করেন।
তাঁর বিখ্যাত আরেকটি বই- রিভার্স টু দ্য সি ১৯১৫ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর কবিতাগুলি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে এবং গানের লিরিক্স হয়ে যায় ফলে তিনি তাঁর জীবদ্দশায়ই ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তাসডালে ১৯১৮ সালে কবিতার জন্য প্রথম পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেন। তার প্রেমের গানের জন্য কবিতা সোসাইটি অফ আমেরিকা পুরষ্কারসহ অনেক পুরুস্কারে ভূষিত হন।
দাম্পত্য জীবনে তাসডালে খুবই হতাশ ছিলেন। বিয়ের পরের প্রায় এক দশক তার স্বামী ব্যবসায়ের জন্য ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ করতেন। তাসডালের এই বিচ্ছেদটি খুব পীড়া দিয়েছিলো। ফলে ১৯২৯ সালে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তাসডালে মূলত লক্ষ্যহীন এক মানুষ ছিলেন এবং যখন তিনি বিষয়টি উপলব্ধি করেন তিনি তখন খুব অবাক হন।
পরের বছরগুলি তাসডালে শারিরীক ও মানসিকভাবে ভেঙে পরেন এবং ১৯৩০ এর দশকের গোড়ার দিকে অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খাওয়ার মাধ্যমে আত্মহত্যা করেন। তাকে তার জন্মস্থান সেন্ট লুইসের বেলফন্টেইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আজ সমগ্র বিশ্বে সারা তাসডেলা একজন কবি ও গীতিকার হিসাবে পরিচিত। সৌন্দর্য, প্রেম এবং মৃত্যু ভাবনার সাথে সম্পর্কিত তার প্রতিটি গান ও কবিতা। তার গদ্য সাহিত্যেও তার ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বঞ্চিত যৌবনের তিক্ততা প্রস্ফুটিত।
অনুবাদকের পরিচিতিঃ
--------------------------------
আনোয়ার হোসেন বাদল একজন বহুমাত্রিক লেখক। ১৯৬৫ সালের ০১ মে তারিখে বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত পায়রা নদীর তীরবর্তী রাজগঞ্জ গ্রামে তার জন্ম। কর্মজীবনে সামরিক-বেসামরিক নানান পেশায় কাজ করেছেন, ঘুরে বেড়িয়েছেন স্বদেশের জনপদ থেকে জনপদে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতবর্ষে গিয়েছেন বহুবার। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় রয়েছে স্বভাবসুলভ বিচরণ। এক জীবনের লেখালেখিতে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ভ্রমণ আখ্যান ও বায়োগ্রাফিসহ এ যাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা চৌদ্দ। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে কমপক্ষে ২০টি পাণ্ডুলিপি।
আপনার মতামত দিন: