Dr. Aminul Islam

Published:
2020-07-08 19:21:10 BdST

নতুন এক ভয়ানক ভাইরাস


 

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
______________________


এবার শুনুন নতুন এক ভাইরাসের কথা । ভয়ানক ছোঁয়াচে ।এখনও সীমা বদ্ধ খরগোশে ।

আমেরিকায় খরগোশ দের সাবাড় করছে নতুন এক ভয়ানক ভাইরাস এর আবির্ভাব ।দক্ষিণ পূর্ব এমেরিকায় ৭ টি স্টেটে বন্য আর গৃহ পালিত খরগোশ মৃত্যু বরন করছে ।গবেষকরা বলছেন এতে মৃত্যু হার ৯০ শতাংশ । এই বিরল প্রাদুর্ভাবের মুলে আছে এক ভয়ানক ছোঁয়াচে রোগের নাম " ভয়াল এবোলা" । বিজ্ঞানীরা বলেন রেবি ট হেমরেজিক ডি জিজ ভাইরাস "। RHDV2 । এবলার সাথে খরগোশ ভাইরাসের সম্পর্ক নাই । তবে এতে ঘটে রক্ত ক্ষরণ , দেহ যন্ত্র নিষ্ক্রিয়া আর মৃত্যু । খরগোশের টিসু আর দেহ যন্ত্রে থেকে যায় ক্ষত । আর অন্তঃ রক্ত ক্ষরণ ও মৃত্যু । ভাইরাস নির্মূল দুঃসাধ্য আর প্রাণীর সংক্রমণ দৃশ্য মান হয় মৃত্যুর পর ।
মৃত্যুর পর খরগোশের নাসাপথে বেরোয় রক্ত মাখা তরল ।
বিজ্ঞানীরা বলেন এই ভাইরাস সঙ্ক্রমন করতে পারেনা মানুষ বা অন্য প্রাণী ।
পশু বিদ রা বলেন এই প্রাদুর্ভাব হয়েছে এক খুব কার্যকর আর অতি ছোঁয়াচে ভাইরাসের দ্বারা । রক্ত মল মূত্রের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস ।
প্রাণী দেহে উপ্তি কাল ৩ দিন । এরপর কিছু খরগোশের ক্ষুধা আর শক্তি হানি ঘটতে থাকে । মৃত্যুর আগে অনেকের হয়না কোন উপসর্গ ।
যকৃৎ আর প্লীহা বিকল হবার পর রক্ত তঞ্চন বন্ধ হয়ে যায় ।
যারা বেচে যায় এরা ভাইরাস ছড়াতে থাকে ২ মাস । ভাইরাস বধ দুঃসাধ্য । গৃহ তাপে বেচে থাকে ৩ মাস। ১২২ ডিগ্রি ফা তে বাঁচে ১ ঘণ্টা । হিমায়িত করে নিধন সম্ভব না । মেক্সিকো তে ৪ মাসে মরেছে ৫০০ প্রানি । কোথা থেকে এল এই ভাইরাস কেউ জানিনা । একই ভাইরাসের ভেরিএন ট আগে দেখা গেছে । ৩৫ বছর আগে চীনে ।

২.
করোনা রোগী চিকিৎসায় প্রাথমিক শনাক্ত করন আর সারভেলেন্স এর পরও কথা থাকে। চিকিৎসা ।রোগের গুরুতর পর্যায় ,যথাযথ চিকিৎসা বিধান , চিকিৎসায় সাড়া নজরদারি , এসবের জন্য প্রয়োজন বায়ো কেমিক্যাল , হেমাটলজিকেল আর ইম্যুনো লজিকেল টেস্ট ।
সাইটকিন ঝড়ের সাথে সঙ্গতি পূর্ণ প্র -ইনফ্লামে টারি রেসপন্স দেখা । মালটি অর্গান ফেলিওর অগ্রগতি বোঝার জন্য কার্ডিয়াক , হেপাটিক , রেনাল বায়ো কেমিস্ট্রি দেখা গুরুত্ব পূর্ণ । আই এল ৬, টি এন এফ এর মত ইনফ্লামাটারি মার্কার দেখতে হয় , দেখতে হয় সারগেট বাইওকেমিক্যাল মার্কার । এ ক্ষেত্রে কারডিওভাস্কুলার ডিস ফাঙ্কসন দেখাও জরুরি ।
মলিকুলার বায়ওলজিস্ত প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের পর (আর টি পি সি আর ) হাসপাতালে ভর্তি হলে উপরের টেস্ট গুলো করা জরুরী হয় আর তখন ক্লিনিক্যাল বায়কেমিস্ট হেমা ট লজিস ট দের সহায়তা জরুরী ।করোনা রোগী চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল বায়ও কেমিস্ট খুব প্রয়োজন ।
আমরা আই সি ইউ , অক্সিজেন আর ভ্যানটি লেটার নিয়ে হাহাকার করি কিন্তু রোগীর রোগের গুরুতর পর্যায় , মৃত্যু ঝুঁকি সঠিক চিকিৎসা বিকল্প পছন্দ নিয়ে মাথা তত ঘামাই না । ক্লিনিক্যাল বায়ও কেমিস্ট এ কাজে সহায়তা দিতে পারেন । প্রচুর ক্লিনিক্যাল বায়ও কেমিস্ট আছেন এদের এতে সম্পৃক্ত করলে চিকিতসায় পরিণতি আরও ভাল হবে , মৃত্যুও কমবে হাসপাতালে বিশেষ করে গুরুত্বর রোগীর ক্ষেত্রে ।

______________INFORMATION________________

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়