Dr. Aminul Islam

Published:
2020-06-30 17:54:21 BdST

শারীরিক বিচ্ছিন্নতা,প্লাজমা দান , করোনা প্রতিরোধ প্রসঙ্গে নানা তথ্য


 

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

_______________________

পরস্পর অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বিধান যাতে কেউ হাচি কাশি দিলে এর সাথে নিঃসৃত ড্রপ লেট অন্যের শ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ না করতে পারে ।
কিন্তু দূরত্ব এক মাত্র ফ্যাকটার ?
ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাউন ফিটগেরালড বলেন , দূরত্বটাই একমাত্র বিষয় নয় । আছে অন্যান্য উপশমক উপায়
যেমন দুইজন কাছাকাছি কত সময় ছিলেন এর স্থায়িত্ব কাল । সে পরিসরে কতজন লোক ছিলেন । ফেস মাস্ক পরিহিত ছিলেন কি না ।
বায়ু চলাচল উত্তম ছিলও কিনা ।
এরা কি নিম্ন স্বরে কথে বলছিলেন না উচ্চ স্বরে ।
কথাবার্তা বললে বেরোয় ১০০০ ড্রপ লে ট
কাশি দিলে ৩০০০ ড্রপ লে ট
হাচি দিলে ৪০০০০ দ্রপ লে ট
শারীরিক দূরত্ব সম্বন্ধে নানা দেশে নানা নিয়ম
১ মিটার দূরত্ব চীন , ডে ন মার্ক , ফ্রান্স ,হং কং , সিঙ্গাপুর
১.৪ মিটার দূরত্ব দক্ষিণ কোরিয়া
১.৮ মিটার আমেরিকা , ভারত
২ মিটার ক্যানাডা

দুই .
____

প্লাজমা দান প্রসঙ্গ
১৮-৬৫ বছরের যে কোন পুরুষ বা মহিলা যার অন্য কোনও ক্রনিক রোগ নাই , দেহের ওজন ৫০ কিলোর বেশি এরা দান করতে পাড়েন
গর্ভবতী নারি বা সদ্য প্রসব হয়েছে এমন নারি দিবেন না
দাতা রোগ থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবেন আর প্লাজমা দানের অন্তত ২৮ দিন আগ পর্যন্ত উপসর্গ হীন থাকবেন ।
প্লাজমা দানের ১৪ দিন আগে দুবার আর টি পি সি আর টেস্ট করে নিগে টি ভ হবেন ।
প্লাজমা দানে কোনও ভয় নাই
অনেকের ধারনা প্লাজমা দিনে বল শক্তি কমে ।
অহেতুক ভয় কারন রক্তের তরল অংশ দান করা হয় আর বাকি রক্তের অন্যান্য মুল্যবান উপকরন প্লাজমা ফেরেসিস এর মাধ্যমে দাতার শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ।
দান করতে আবার হাসপাতালে গেলে আবার সঙ্ক্রমন হবে ?
না কারন ডাক্তার রা এ ক্ষেত্রে কড়া স্বাস্থ্য বিধি মান্য করেন
দান করলে কি দ্বিতীয় সংক্রমণ ঠেকাতে সফল হবনা ?
না । একবার শরীরে প্রতিরোধী শক্তি থাকলে তা থেকে যায় তবে কত দিন থাকবে কো ভি ড এর ব্যাপারে তা পরিষ্কার জানা যায় নি
আমার পরিবারের স্বজন তাদের সমস্যা হলে এর পর প্লাজমা দান করতে পারব । হা কারন শরীরে প্লাজমা পুরন হয় দ্রুত ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ।
কনভালিসেন ট প্লাজমা কি ।
এর মানে কো ভি ড ১৯ সংক্রমিত রোগীর পূর্ণ আরোগ্য লাভের পর তার রক্তের তরল অংশ গ্রহন করা হলে একে বলে কনভালিসেনট প্লাজমা ।
তিন.
__
আমরা করোনা প্রতিরোধ বা নিরাময়ের কতটুকু কাছাকাছি ?

হাইড্রক্সিক্লরকুইনকে শেষ বিদায় জানিয়েছি ? টিকা আবিষ্কারের কত কাছকাছি আমরা ? কো ভি ড ১৯ গবেষণা র ক্ষেত্রে প্রচুর বিতর্ক তবু আমরা সতর্ক আশাবাদের আলো দেখতে পাই । বিজ্ঞানীরা একে বলেন cautious optimism .। সঙ্ক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা আশা করেন সামনের বছরের প্রথম দিকে আমরা পেয়ে যাব এর টিকা । যারা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে আছেন তাদের আশা অক্টোবরের মধ্যে তারা কেউ না কেউ টিকা আনবেন বাজারে ।অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকা অনেক দূর এগিয়েছে বলছেন বিজ্ঞানীরা । ক্লিনিকেল ট্রায়েলে আছেন দশ টি গ্রুপ ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনা কর্তৃপক্ষ যখন চিনের উহানে অস্বাভাবিক নিউমোনিয়া রিপোর্ট করলেন এর পর থেকে কো ভি ড ১৯ নিয়ে চলছে ব্যাপক গবেষণা । এখন ও অবশ্য অনুমোদিত চিকিৎসা নেই , টিকাও এখনও ট্রায়েলের পর্যায়ে । পজিটিভ স্টাডি ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এফ ডি এ ইমারজেন্সি অনুমোদন দিয়েছেন রেমডিসেভির ড্রাগ হাসপাতালে রোগীদের জন্য । আবার জুন ১৫ তারিখে এফ ডি এ বাতিল করেছেন তাদের হাইড্রক্সিক্লরকুইন জরুরী অনুমোদন কারন এর প্রয়োগে হৃদ ছন্দে ভয়ঙ্কর ছন্দ পতন বিবেচনা করে ।সম্ভাবনা ময় আরও ওষুধ আছে দৌড়ে । ১৬ জুন অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষক রা বললেন কম দামি অথচ কার্যকর অসুধ ডেক্সামিথাসন দিলে অনেক গুরুতর অসুস্থ রোগী র ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যাবে ।
কার্যকর টিকা সম্বন্ধে বলেন ন্যাশনাল ইন্স টি টুট অব এলারজিক এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস এর প্রধান এন্থনি ফাউচি অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন , cautious optimism" আর বলেন ব্যাপক লোক সমাজে এর মাত্রা প্রয়োগ তৈরি হবে সামনের বছরের প্রথম দিকে।
গিলেয়াড সায়েন্সের তৈরি এনটিভাইরেল ওষুধ রেমডেসিভির বেশ সম্ভাবনাময় । এন এ জি এম এ প্রকাশিত প্রাথমিক গবেষণা ফল এর কার্যকরীতা দেখা গেছে ।
অবশ্য টিকা আবিষ্কারের পর এর বাজার জাত করন , বিতরন আর ধনি দরিদ্র নির্বিশেষে সম বণ্টন আর এর পর রাজনৈতিক কুট চাল হবে আরেক চ্যালেঞ্জ।

____________________INFORMATION_____________

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়