আমিন কাদির / রাতুল সেন

Published:
2020-06-09 15:55:03 BdST

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম এবং ডা. জাফরুল্লাহর সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি : কেমন আছেন তারা


ডেস্ক
_____________________

সারা বাংলাদেশের সচেতন মানুষ এখন উদ্বেগ নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও বাংলাদেশের বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের পথিকৃৎ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির দিকে। দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। ডাক্তাররা জানান, মো. নাসিমের শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে আছেন। চিকিৎসকেরা পরবর্তী পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এ অবস্থাতেই তাঁর চিকিৎসা চলবে।
মোহাম্মদ নাসিমের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া মিডিয়াকে বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পালস একই রকম আছে। মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য বলেন, ষ্ট্রোক করার পর মোহাম্মদ নাসিমের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকেই তিনি আইসিইউতে আছেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সে অবস্থাতেই আছেন তিনি।

গত শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে বৈঠক করে মোহাম্মদ নাসিমকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত দেয় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।

রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ কেমন আছেন
______________________


গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নজীবের উদ্ধৃতি দিয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার জানান,

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্থিতিশীল অবস্থা আছে। যেহেতু তার দুটি ফুসফুসের অবস্থাই খারাপ, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি সেই ওষুধ গ্রহণ করতে পারছেন।
ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, তার ফুসফুস কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় এখনো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ক্ষেত্রে আরেকটি ইতিবাচক দিক যে প্রতিদিন তার কিডনি ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে এবং তার শরীর সেটা গ্রহণ করতে পারছে। যেসব ওষুধ তিনি খাচ্ছেন, যদি কোনো কারণে তার ডায়ালাইসিস করা না যেত, তাহলে তার পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে আবারও তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার শরীরে খুব অল্প পরিমাণ করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে। আগামী ১০ জুন অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে আবারও তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, সেই দিন হয়তো পুরোপুরি করোনামুক্ত ফল পাওয়া যেতে পারে। ইতোপূর্বে তার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, তার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাটিবডি তৈরি হয়েছে’, যোগ করেন ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।

_______________________________

AD..

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়