ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-05-27 15:33:44 BdST

ইদী সবিশেষ ছোট গল্পঘুণপোকা


ডা. নাহিদ ফারজানা

_________________________

অামার সাত বছর বয়সে মা অার এগারো বছর বয়সে অাব্বা মারা যান। অামি ভাইএর বাসায় মানুষ হতে থাকি। বড় ভাই তখন বিবাহিত, অামি সবার ছোট।মাঝখানে অারও দুই বোন,এক ভাই। অাব্বা-মা'র জন্য শূন্যতাবোধ ছাড়া অন্য কোন কষ্ট অামার ছিলোনা। বড় ভাইয়া রাশভারী কিন্তু খুবই স্নেহশীল। ভাবীও গল্পের বই এর ভাবীদের মতো না। খুব অাদর করতো। অাপা,ছোট অাপা, ছোট ভাইয়া, অামি, অামরা সবাই সুখে ছিলাম বড় ভাইএর সংসারে।

পুরোপুরি এতিম হওয়ার সময় অামি সিক্সে, ছোট ভাইয়া নাইনে, ছোট অাপা ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারে অার অাপা বিএসসি পড়তো। বড় ভাইয়া ভালো একটা চাকরি করতো। ভাবীও স্কুল টিচার। ওদের বড় মেয়ে টুনটুনি অামাদের বড় অাদরের ধন। তখনও ছোটটা হয়নি। টুনটুনির বোনের নাম রাখা হলো মুনিয়া।

সেই এগারো বছর বয়স থেকে অামি টুনটুনিকে কোলে করে রাখতাম, মজার মজার ছড়া শোনাতাম, ফিডার মুখে ধরে থাকতাম,ন্যাপি পাল্টে দিতাম। ওর ময়লা কাঁথা -ন্যাপি একটা গামলায় রাখা হতো, জামাগুলো অারেকটা গামলায়। অাপা-ছোট অাপা দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার কাঁথা -কাপড় কাচতো, শুকাতে দিত, পড়ালেখার পাশাপাশি টুনটুনির দুধ বানাতো,সব্জি খিচুড়ি রাঁধতো, সেরেলাক তৈরি করতো, ঘন ঘন ফ্লাস্ক মেজে পরিস্কার করতো, ফিডার ফুটাতো, বলতে গেলে টুনটুনির সব কাজই করতো। বাবু রাতে কাঁদতে থাকলে অামরা সব ভাই-বোন ভাবীর ঘরের সামনে জড়ো হতাম, তারপরে
টুনিকে নিয়ে অাসতাম। অাপা দুধ বানিয়ে খাওয়াতো, ছোট ভাইয়া কোলে নিয়ে বারান্দায়
হেঁটে হেঁটে টুনিকে ঘুম পাড়াতো। ঘুমিয়ে গেলে প্রায়ই টুনিকে অামরা তিন বোন অামাদের কাছে রেখে দিতাম।

ভাবীর স্কুল সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। বাসায় ফিরতে প্রায় পাঁচটা।
ভাবী বাসায় ফিরলে অাপারা কেউ চা বানিয়ে দিতো। চা খেয়ে ভাবী বিশ্রাম নিতো ঘন্টা খানিক। তারপরে নামাজ-কালাম, বাবুকে অাদর করা,অামাদের সাথে অাড্ডা মারা, টিভি দেখা, ঘুমাতে ঘুমাতে রাত বারোটা।

অাপা সকালে নাস্তা বানিয়ে দুপুরের রাঁধাটা সেরে ফেলতো। বিকেলের চা -নাস্তাটা ছোট অাপা। রাতের রান্নাটা দুই অাপা মিলে। তখন রান্নাঘরে অামি অার ভাবীও প্রায় বসে থাকতাম, ভাবী মজার মজার গল্প করতো, হাসি অার হৈ হল্লার মধ্যে সময়টা কাটতো বেশ। ওই সময় টুনি বাপ বা চাচা কারো কাছে থাকতো। বাথরুম করে ফেললে অামি অাসর ছেড়ে উঠে যেয়ে ওকে ঠিকঠাক করে অাসতাম।

ভাবী অাবার গর্ভবতী হলো। কিছু খেতে পারেনা,বমি হয়। অার কয়েক মাস পরে অাপার বিএসসি পরীক্ষা। এরই মধ্যে অাপা ভাবীর সাধ্যমতো যত্ন-অাত্তি করতো। ভাবীর একেক সময় একেক জিনিস খেতে মন চাইতো। অাপা সাথে সাথে সেগুলো কিভাবে যেন তৈরি করে ফেলতো। ছোট ভাইয়া গাঁইগুঁই করতো গৃহকর্মীর ব্যবস্থা করার জন্য। অামাদের গ্রামের বাড়ি থেকে অানাও যেত,কিন্তু বড় ভাই -ভাবী ব্যাপারটা পছন্দ করতো না।
কবে কোন্ বাড়িতে কোন্ গৃহকর্মী কর্তা-কর্ত্রীকে খুন করেছে, কে নাকি বাড়িতে ডাকাতির ব্যবস্থা করেছিল,কে নাকি নিজেই হিজড়াদের বাড়িতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেছিল, ভাইয়া-ভাবী তাই অনেক ভয় পেত।

অাপার পরীক্ষা যেদিন শেষ, তারপর দিন মুনিয়ার জন্ম। বাসা ভরা লোকজন,ভাবীর যত্ন,টুনটুনি -মুনিয়ার যত্ন,মেহমানদারি, রান্নাবান্না,বাজার সওদা, অামাদের চার ভাইবোনের নিঃশ্বাস ফেলার উপায় ছিলোনা। ভাবী বেশ কয়েক মাস দুর্বল ছিল, বড় ভাইয়াও সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতো।

সময় যেতে থাকলো।ছোট অাপা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে,ছোট ভাইয়া এসএসসি। ছোট অাপা ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল, খুব সম্ভব ভালো সাবজেক্টে চান্সও পেতো, বড় ভাইয়া রাজি হলোনা। ছোট অাপার কান্নাকাটি, বড় অাপার সুপারিশ সত্ত্বেও না। ভার্সিটিতে প্রায় গোলাগুলি হয়, সেদিনও বুয়েটের সনি গোলাগুলির মাঝে পড়ে মরেই গেল, এখান থেকে অাসা-যাওয়া খুব রিস্কি, অ্যাকসিডেন্টের ভয়,অার ছোট অাপা যেই সুন্দর,বখাটেদের ভয়ও কম না। অবশেষে ছোট অাপা ভর্তি হলো স্হানীয়
ডিগ্রি কলেজে।

ছোট ভাইয়া এসএসসিতে খুব ভালো করলো। নটরডেমে পড়তে চাইলে অাবার বড় ভাইয়া অাপত্তি করল। অাপত্তি করে অাচমকা ছোট ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করলো। অামরা অবাক। জানলাম, ইচ্ছা থাকলেও বড় ভাই এর
সঙ্গতি নেই ছোট ভাইকে নটরডেমে পড়ানোর। অাব্বার চিকিৎসার জন্য বড় ভাই খুব মোটা অংকের টাকা খরচ করেছিল। অাব্বা কয়েক জায়গায় বিপুল পরিমাণ ধার করে গিয়েছিলেন, তাও চড়া সুদে,বড় ভাইয়া সেগুলো এখনো শোধ করতে পারেনি।

অামরা সব ভাই -বোন সেদিন খুব কাঁদলাম। বড় ভাই কাউকে কিচ্ছু বুঝতে না দিয়ে নীরবে কেমন জোয়াল টেনে চলেছে।

ভাবী সব বিষয়ই গোড়া থেকে জানতো। সে বড় ভাইকে কড়া ধমক দিল অামাদের মতো বাচ্চাদের এসব কথা বলার জন্য। একজোড়া চূড়ি
ছোট ভাইয়ার হাতে দিয়ে ভাবী বললো,"এটা বিক্রি করে নটরডেমে ভর্তি হও ভাই, অার বাকী টাকা দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে নিও।"

অামরা সবাই অারেক দফা কাঁদলাম। চূড়ি নেয়ার প্রশ্নই অাসেনা। বড় অাপা ভাবীকে জড়িয়ে ধরে বললো,"কেন এসব কথা অাগে বলো নি? কত বাড়তি খরচ করেছি অামরা,সেসব করতাম না।"

অামার চট করে একবার মনে হলো,অামরা কেউ কি কোন বাড়তি খরচ করি?একদমই না। অামাদের খাওয়া-দাওয়া,পোশাক-আশাক সবই খুব সাধারণ।
ভাবী অালমারীর ডুপ্লিকেট চাবি অাপার হাতে দিয়ে রেখেছে,বাইরে তেমন কোথাও যেতে হলে অাপারা ভাবীর শাড়ি পরে। ভাবী অাবার স্কুলের বেতন বাঁচিয়ে
শাড়ি কেনে প্রায়,বেচারীর শখ। টুকটাক গয়নাও বানায়।ওর অাব্বা-অাম্মা প্রায়ই ভাবীকে টাকা দেন,একমাত্র মেয়েতো।

এই একতলা বাড়িটা অাব্বার
করে যাওয়া। সুন্দর, ছিমছাম। তিনতলা ফাউন্ডেশন। অাম্মার অনেক গয়না ছিল। বড় ভাবীকে তার প্রাপ্য মা বেঁচে থাকতে দিয়ে গিয়েছিলেন। অামাদেরটা নিশ্চয় বড় ভাইয়াদের কাছেই জমা অাছে।

ছোট ভাইয়ার নটরডেমে পড়া হলোনা। তাছাড়া যাতায়াত সত্যি একটা বড় সমস্যা। অাব্বার কীর্তির কথা শুনে অামরা ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম। অাপা প্রায়ই অানমনে স্বগোতক্তি করতো,"অাব্বা এমন কাজ করতে পারলেন?কিভাবে?অামিতো হিসাব মেলাতে পারিনা।"

এখনতো অামি অারও বড় হয়ে গেছি। তরকারি কেটে দিই,চা বানাই, রুটি বানাই, সন্ধ্যায় নুডুলস, পাউরুটির টোস্ট, নিমকি এসব টুকটাক জিনিস বানাই। অাপারা দিতে চায়না, অামি করি,করতে ভালোই লাগে।

টুনির পঞ্চম জন্মদিনে এলাহি আয়োজন হলো। ভাবী বললো,"মুনিয়া হওয়ার পর থেকে মেয়েটা সিবলিং জেলাসিতে ভুগছে। জন্মদিনটা একটু বড় করে করি,কি বলো? "

জন্মদিনে বড় ভাইয়া-ভাবী দুই মেয়ের গলায় একই রকম দুইটা চেইন পরিয়ে দিলেন। ভারি চেইন,ভারি লকেট। ভাবী বললেন,"দুই দুইটা মেয়ে। এখন থেকে একটু একটু করে গয়না বানিয়ে রাখতে হবে।"

অামি অামার ও অাপাদের নিরাভরণ গায়ের দিকে তাকালাম। এক চিলতে সোনা নেই কোথাও।

ওইদিন গভীর রাতে ছোট ভাইয়া অামাদের ঘরে এলো।টুনি অাপার সাথে পাশের ঘরে ঘুমাতো। অাপাকেও ডেকে অানা হলো।
বেশ খানিকক্ষণ সবাই চুপচাপ। তারপরে ছোট ভাইয়া বললো,"তোদের মনে হয় না,কোথাও একটা কিন্তু অাছে?"

অামাদের সবারই মনে হচ্ছে অনেক,অনেক দিন ধরে। কোথায় যেন তাল কেটে গেছে। ভাইয়া-ভাবীর ভালো ভালো কথা অার ভালো বলে মনে হয়না,অাস্থা অাসেনা,ভরসা হয়না।কিন্তু অামরা কেউ কারো সাথে এসব নিয়ে কথা বলিনা।

ছোট ভাইয়া অাবার বললো,"কোথাও বড় একটা কিন্তু অাছে। ভাইয়া-ভাবী বিনা পয়সার তিন তিনটা বুয়া
অার এক বাজার সরকার পেয়েছে। "

অামরা তাও চুপ। কি বলবো?এগুলোতো অামাদেরও মনের কথা। অাবার বড় ভয় হয়,যা ভাবছি তা যদি ভুল হয় তাহলে কখনো ক্ষমা করতে পারবোনা নিজেদের।

"ভাইয়া -ভাবী অামাদের চারজনের ঘাড়ের উপর দিয়ে জীবনটা অারামেই কাটিয়ে দিচ্ছে, এদিকে লোকে জানছে এমন ভাই -ভাবী কোটিতে মেলে না,চার চারজন ননদ -দেবরকে মাথায় তুলে রেখেছে। "

অামার হাবিজাবি নানা চিন্তা মাথায় অাসতে লাগলো। এই যে টুনি-মুনিয়ার জন্য দুইবেলা হরলিক্স, দুধ, প্রতিদিন মুরগির কোরমা,ডালিম-অাংগুর,কখোনো অামরা কেউ দাঁতে কাটিনা। কখনো ভাই -ভাবী বলে না,"তোরা খাচ্ছিস না কেন?" দাঁতে কাটবো কেমন করে?ভাবী অাদর করে বলবে,"তোমাদের ভালো-মন্দ কিছুই খাওয়াতে পারিনা। বাজার না,যেন অাগুন।" অনেক সময় ভাবীর চোখ সজলও হয়। বহু বছর ধরেই দেখছি। অাগে অাবেগে
উদ্বেলিত হতাম,এখন অার কথাগুলো ঠিক স্পর্শ করেনা।
অামাদের খাবার বরাবরই সাধারণ। এতোগুলো মানুষ!
একপদের সব্জি,একপদের মাছ -এই যেমন কাচকি,ট্যাংরা,তেলাপিয়া, পাঙাস অার ডাল। সপ্তাহে একদিন গরুর মাংস। মাংসটা বড় ভাইয়াকে পরের দুদিনও দেয়া হয়। বড় ভাইয়াকে সকালে একটা ডিমপোচ করে দেয়া হয়, ভাবী তার টিফিনে যাই নিক না কেন,একটা ডিম ভাজি নিবেই। প্রথম দিকে খুব লজ্জিত মুখে বলতো,"তোমাদের ফেলে স্বার্থপরের মতো ডিম খাই,কি যে লজ্জা লাগে!একটানা ক্লাস নিতে নিতে খুব টায়ার্ড লাগে।" অামরা হৈ হৈ করে উঠতাম। ভাবীর খাওয়া মানেই যেন অামাদের খাওয়া। এখন অামাদের সেই সরল মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। মন শুধু কু গায়,"তোমাদের ঠকানো হচ্ছে, তোমাদের ঠকানো হচ্ছে। "

ছোট ভাইয়া বললো," মেয়েদের অার ভাইবোনদের মধ্যে কি বিরাট ব্যবধান করেছে অামাদের ভাইজান।তার বৌএর কথা নাই বা বলি।"

ছোট অাপা মৃদু গলায় বললো,"এটাই স্বাভাবিক। "

"কোন ভাবেই এটা স্বাভাবিক না। "
"অামাদের খাওয়াচ্ছে, পরাচ্ছে,অাশ্রয় দিয়েছে, লেখাপড়া করাচ্ছে, অার কি অাশা করিস?"

"শোন ছোট অাপা, অামরা অামাদের বাপ-মায়ের বাড়িতে থাকি, বাপ-মা'র টাকায় খাই। অার তোরা বিনা পয়সায় বুয়াগিরি করিস।"

অাপা হঠাৎ ছোট ভাইয়ার হাত চেপে ধরে কাতর গলায় বললো,"অাব্বার ব্যাপারটা ঠিক কিনা, ভালো মতো খোঁজ খবর নিতে পারবি রঞ্জু?"

অাপাটা বড্ড শুকিয়ে গেছে। ভীষণ জ্বরে প্রায় একমাস ভুগেছে। বিছানাতেই বমি-টমি করে বিকট অবস্থা। কিচ্ছু খেতে পারতোনা। কিন্তু বাড়তি কোন ব্যবস্থা তার জন্য নেওয়া হয়নি। অামরা দু'বোনও বেশি সেবা-যত্ন দিনের বেলায় করতে পারিনি। রান্না -ঘর ঝাড়ামোছা - টুনি অার মুনিয়াকে দফায় দফায় মুখে তুলে খাওয়ানো, টয়লেট করানো,গোসল করানো সবইতো অামাদের করতে হতো। ভাবীর স্কুলে ঐ সময়ই
ভয়ংকর চাপ পড়লো অার তাই সে একটা দিনের জন্যও ছুটি নিতে পারলো না। বাসায় এসে শুধু বলতো,"নাজিয়া ভালো হয়ে গেলে অামি কোরান খতম দিব, এতিম খাওয়াবো, খাসী সদকা দিব,
একশো রাকাত নফল নামাজ
পড়বো।" এইসব অার কি।
ছোট ভাইয়া একদিন বলে বসলো,"এর চেয়ে হজ মানত করে ফেলেন ভাবী।"

পরিশিষ্ট ঃ ঢাকা ভার্সিটিতে ফার্মেসির লেকচারার হিসাবে
জয়েন করলাম। সকালে এই ঘটনা।সন্ধ্যায় অাকদ হলো
তমাল ভাইয়ের সাথে। ছোট ভাইয়ার বন্ধু। দুইজনেই বুয়েট থেকে পাশ করে ইন্জিনিয়ারিং ফার্ম দিয়েছে।এই প্রতিষ্ঠানে তাদের ফার্স্ট গার্ল মিলা অাপাও অাছে যে সামনের মাসে অামার ছোট ভাবী হতে যাচ্ছে। বড় অাপা কলেজ টিচার,দুলাভাই পৃথিবীর সেরা মানুষদের একজন,তিনি এখন ডেপুটি সেক্রেটারি। অামার মামা এই সম্বন্ধ এনেছিলেন। ছোট অাপা অার দুলাভাই দুজনেই ব্যাংকার।

ছোট ভাইয়া অার অামার মামা মিলে বহু খোঁজ খবর করে অাবিস্কার করে,অাব্বা সম্পর্কে বড় ভাইয়ার সব কথা মিথ্যে। মামারা-চাচারা জানতো,অামরা খুবই ভালো অাছি। অাসলে বড় ভাইয়া অার ভাবী সম্পর্কে তাদের অতি উচ্চ ধারণা ছিল। যাহোক,বড় ভাইএর সাথে মামা-চাচাদের অনেক বচসা হয়। মায়ের গয়না অামরা ফেরত পাইনি,এসব নিয়ে বেশি বাক্যব্যয়ও করার অভিরুচি হয়নি। ছোট চাচা বাড়িটা কিনে নিয়েছেন অার সবার মধ্যে টাকা সমান ভাগ করে দিয়েছেন, অবশ্যই বড় ভাইয়ার ভাগ থেকে অামাদের গয়নার টাকা কেটে রাখা হয়েছে। বড় ভাই -ভাবী অামাদের সাথে সম্পর্ক বহুকাল রাখেনি, ইদানিং অাবার যোগাযোগের চেষ্টা করছে। অামাদের কোন সমস্যা নেই, তাদের সুস্বাগতম, শুধু একটু সাবধানে থাকবো অার কি।

_________________________________

AD...

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়