ডাক্তার প্রতিদিন
Published:2020-05-13 15:01:40 BdST
শিশুদের যত্ন : ২০ পরামর্শ
ডা. আমিনুল ইসলাম আমিন
__________________________
শিশুদের যত্ন নিয়ে
আমাদেরকে অনেক অনেক সচেতন হতে হবে।আমাদের সকলের বাসায়ই ছোট বাচ্চা আছে।
কিছু সচেতনতা নিম্নরূপ -
১) বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পর ৫-৭ মিনিট বাচ্চাকে কাধে নিয়ে হাটতে হবে এবং আলতো করে বাচ্চার পিঠে থাবা দিতে হবে, তাহলে দুধটা হজমে সহায়তা করবে, খাওয়ানোর সাথে সাথে শুইয়ে দিলে বাচ্চা বমি করে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে।
২) বাচ্চাকে জোর করে কক্ষনো খাওয়ানো যাবে না।ধস্তাধস্তি করতে গেলে বাচ্চা ঘাড়ে আঘাত পাবে ও শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারণ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস কেন্দ্র ঘাড়ে অবস্থিত।
৩) বাচ্চাকে চামচে অল্প করে খাওয়াতে হবে। একসাথে বেশি দিলে বাচ্চা গিলতে পারবে না।
৪) ৪ বছরের নিচের বাচ্চাকে কক্ষনোই চকলেট খেতে দেওয়া উচিত না।
৫) ৩ বছরের নিচের বাচ্চাকে আটি জাতীয় খাবার যেমন - কুল, লিচু, জাম, ছোট আম ইত্যাদি খেতে দিলে অবশ্যই আটি ফেলে শুধু শাশটুকু খেতে দিতে হবে।
৬) বাচ্চার হাতের নাগালে কোন কারেন্টের সকেট থাকলে অবশ্যই সেগুলাতে টেপ লাগিয়ে রাখতে হবে।
৭) বাচ্চা যে সময় ঘুমাবে সেই সময় গোসল করতে যেতে হবে, কাপড় আয়রন করতে হবে।
৮) যারা হিটার / ইলেকট্রনিক চুলায় রান্না করেন, সেগুলাকে বাচ্চার হাতের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
৯) গরম পানির বালতি থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে।
১০) গরম পানি বালতিতে ঢালার সময় বা অন্য গরম কিছু অন্য কোথাও ঢালার সময় বাচ্চা পিছনে আছে কিনা আগে দেখে নিতে হবে।
১০) ঘরে কোথাও পানি পড়ে থাকলে সাথে সাথেই মুছে ফেলতে হবে।
১১) দরজার কোন ছিটকিনি বাচ্চার হাতের নাগালে থাকলে সেটা বেধে রাখতে হবে।
১২) শীতকালে বাচ্চাকে মাঝখানে রেখে একই কম্বলে বাবা-মা দুইপাশে ঘুমাবেন না। বাচ্চাকে আলাদা কম্বল দিয়ে একপাশে রাখবেন।
১৩) সিড়ির দরজা সবসময় বন্ধ রাখবেন।
১৪) ঘর সব-সময় পরিস্কার রাখতে হবে, যেন কোন পোকামাকড় না থাকে।
১৫) বাচ্চাকে গামলাতে অল্প পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে এবং সাথে থাকতে হবে যেন বাচ্চা ডুবে না যায়।
১৬) বাসার কাছে বড় ড্রেন বা পুকুর, ডোবা থাকলে বাচ্চাকে সবসময় নজরে রাখতে হবে।
১৭) ছুরি, কাচি, বটি, দা, ব্লেড ইত্যাদি ধারালো অস্ত্র নিরাপদে রাখতে হবে।
১৮) যে কোন ঔষধ বাচ্চার নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
১৯) ছোট বাচ্চাকে দড়ি অথবা তার দেওয়া যাবে না খেলার জন্য, সে গলায় পেচিয়ে ফেলতে পারে।
২০) বাচ্চা যেন খাট থেকে পড়ে না যায়, সেইজন্য নীচু খাট অথবা মেঝেতে তোষক বিছিয়ে বাচ্চাকে রাখতে হবে।
আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই আমদেরকে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই অনেক বেশি সচেতন হতে হবে, বাবুগুলাকে নিরাপদে রাখার জন্য।আর কোন বাচ্চাই যেন এভাবে অকালে ঝরে না যায়।
আপনার মতামত দিন: