ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-05-07 19:02:04 BdST

করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজন পালস অক্সিমিটার



অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

 ____________________


জরুরি বিভাগে অনেক ডাক্তার একটি জিনিষ থেকে কোন সময় অবাক হতে পারেন , অনেক কো ভি ড ১৯ অক্সিজেন মান বেশ কম অথচ তারা বেশ স্বস্তিতে আছেন । অনেকের হয় নীরব অক্সিজেন ঘাটতি silent hypoxia.
এজন্য অনেক চিকিৎসকের অভিমত রোগীরে ঘরে তাদের অক্সিজেন মান মাপতে পারেন । পালস অক্সিমি টার একটি ছোট ডিভাইস যা ক্লিপের মত আঙ্গুলে লাগালে এটি শরীরের অক্সিজেন মেপে ফেলে ।
আঙ্গুলে ক্লিপ লাগালে পাবেন হৃদ হার ফল আর রক্তের অক্সিজেন মান (অক্সিজেন সেচুরেশন)
সবাভাবিক অক্সিজেন মান । পালস অক্সিমি টার দিয়ে পরিমাপ করা স্বাভাবিক অক্সিজেন মাত্রা হল ৯৭ শতাংশ । ৯০ শতাংশের নিচে গেলে ভাল না কারন তখন মগজে আর অন্যান্য প্রথান অঙ্গে অক্সিজেন বহন ব্যহত হয় ,। কম হলে হতবুদ্ধি ভাব অবসাদ হতে পারে । ৮০ শতাংশের কম হলে বিপজ্জনক ।
কো ভি ড ১৯ রোগীদের কেন হয় নীরব হাইপক্সিয়া।
বিজ্ঞানীরা বলেন স্পষ্ট করে বলা যাবেনা
তবে কিছু ব্যখ্যা আছে ।
রক্তে অক্সিজেন মান নির্ভর করে বাতাসে কি পরিমান অক্সিজেন আছে আর অক্সিজেন ফুস্ফুসে ঢুকে কত কার্যকর ভাবে ফুস্ফুসের শেষ প্রান্তে বায়ু কোষে র মধ্য দিয়ে রক্তে প্রবেশ করতে পারে ।
যাদের অক্সিজেন মান কম সবাভাবিক ক্ষেত্রে এদের বেশ অসুবিধা হয় এমনকি শ্বাস ক্রিয়ার জন্য হাস ফাস করতে পারে , । বায়ু নলে অবরোধ হলে বা রক্তে অনেক কার্বন ডাই অক্সাইড জমা হলে একে বের করার জন্য শরীর সাড়া দেয় আর দ্রুত শ্বাস হতে থাকে ।
কিন্তু কো ভি ড ১৯ রোগীদের অক্সিজেন মান কম হলেও কেন এমন অস্বস্তি হয়না ? কেউ কেউ বলেন ফুস্ফুসের রক্ত নালির ক্ষতি হয়ার সাথে আছে কোন সম্পর্ক । ফুস্ফুস একটি অংশের ক্ষতি হলে রক্ত নালীরা সংকুচিত হয়ে সুস্থ অংশে রক্ত পৌঁছেতে চায় ।কো ভি ড ১৯ হলে এই সাড়া ঘটেনা ।
অক্সিজেন মান ঘরে মাপলে কি লাভ ?
অনেক ই আর ডাক্তার বলেন রোগী আগে ভাগে জানলে হাসপাতালে যাবেন কিনা তা বুঝতে সুবিধা হবে ,।
উপসর্গ আর অক্সিজেন মান দুটোই সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে ।
২.
কিছু ভুল হাত ধোয়াকে করে ভণ্ডুল
____________

প্রমানিত চিকিৎসা নাই কো ভি ড ১৯ এর তাই প্রতিরোধ হল একে মোকাবেলার কৌশল । হাত ধোয়া বড় কৌশল , এছাড়া আছে সামাজিক দূরত্ব , মাস্ক পরা আর যেসব স্থান বেশী ছোঁয়া হয় এদের জীবাণু শোধন করে ।
তবে হাত ধোয়া তে হয় ভুল ।
হাত ধোবেন যখন
১। গন স্থানে কাউনটারে হাত রেখেছেন, দরজার হাতলে হাত দিয়েছেন , লিফটের বোতাম দিয়েছেন , শপিং ট্রলিতে ধরেছেন ।
কাসি বা হাচি দেবার পর
চোখ , নাক , মুখে হাত দেবার আগে ।'
খাবার প্রস্তুত করা আর খাওয়ার আগে আর পরে
টয়লেটে যাবার পর
পোষা প্রাণী ধরার পর বা এদের খাবার ধরার পর
কেয়ার টেকার হিসাবে কাজের পর এমন কি বাচ্চার ডায় পার বদলাবার পর
ময়লা ধরার পর
২। অনেক সাবান দিয়ে হাত ধোবেন । উদার হবেন সাবান ব্যবহারে , গরম বা ঠাণ্ডা পানি যাই হোক । লিকুইড সোপ বা হ্যান্ড সেনি টাই জার
৩। পুরো হাত কচলে ঘষে ধবেন । হাতের তেলো শুধু নয় , হাতের পিছ, আঙ্গু;লের ফাঁক , নখের ভেতর । নখ কেটে রাখুন ।
৪। হাত ধুতে হবে অন্তত ২০ সেকেন্ড খুব ভাল করে ।
৫। সাবান লাগানোর পর পানি দিয়ে হাত ধোবেন ভাল করে , ধারা জলে ।
৬। হাত শুকিয়ে নিন কাগজের টাওয়েল দিয়ে ।
এসব বিধি পালন করুন ।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়