ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-04-19 19:04:44 BdST

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সম্বন্ধে কি জানাতে পারে এন্টিবডি টেস্ট


অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

--------------------------------

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সম্বন্ধে কি জানাতে পারে এন্টিবডি টেস্ট ।
টেস্টিং করে যদি বোঝা যায় কার আছে কো ভি ড ১৯ যদিও উপসর্গ নাই তাহলে অনেক স্বস্তি ।
তখন কোম্পানি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে করোনা সেরে উঠা কর্মীদের অনেক স্বাস্থ্য কর্মী ফেলতে পারেন স্বস্তির নিঃশ্বাস । এমন টেস্ট অনেক প্রশ্নের উত্তর জোগাবে আর আরও সঠিক ভেক্সিন তৈরির রসদ জোগাবে । ভাইরাসের প্রতি ইম্মুন প্রতিক্রিয়া কেমন তা নির্দেশের জন্য যে টেস্ট তা দরকার বললেন বিজ্ঞানী আর গবেষকরা এমনকি সি ডি সি ডি রেক টার রবার্ট রেদ ফিল্ড । স্ট্যানফোর্ড ইউনিভারসি টি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ভনে মালদনাদ ব্লেন বলেন এন্টিবডি টেস্টিং শুরু হয়েছে তবে রাতারাতি এর ফল সম্ভব নয় , প্রথম বিজ্ঞানীরা দেখবেন কি টেস্ট করবেন , এন্টিবডি থাকলে কি সত্যি কাউকে এর প্রতি ইম্মুন করছে করলেও কত দিন।
নব করোনা ভাইরাস SARS CoV2 মানব কোষের ভেতর ঢুকে এর মেশানারি হাইজ্যাক করে আর নিজের অসংখ্য প্রতিলিপি তৈরি করে । আটলান্টার সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ আনিশ মেহতা বলেন এরপর তৈরি হয় এন্টিবডি এরা অনুসরন করে এদের আর বিনাশ করে এসব ক্লোন দের ।
ডা য়াগনস্টিক টেস্ট থেকে জানা যায় সম্প্রতি কারো সঙ্ক্রমন হয়েছে কিনা আর এন্টিবডি টেস্ট করে জানা যায় তাদের আদৌ সংক্রমণ হয়েছে কি না এমনকি যদি তাদের উপসর্গ নাও থাকে ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন এন্টিবডি টেস্ট করে কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব " আমার কি সংক্রমণ হয়েছিল" তবে কতদিন এই ইম্মুনি টি থাকবে " " কত বিপজ্জনক এই সঙ্ক্রমন " এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি । কতজন মানুষ সংক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল আর এন্টিবডি অর্জন করল এসব জানলে এর বিপজ্জনক হবার মাত্রা বোঝা যাবে ।
হার্ভার্ডের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্ক লি প সিচ বলেন এন্টিবডি টেস্ট আবশ্যক হবে আমাদের ঘর বন্দি অবস্থা থেকে কাজে ফেরা আর আতঙ্ক থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য ।
নীতি নির্ধারকদের জানতে হবে কতো জন লোক সংক্রমিত কতজনের ইম্মুনি টি অর্জন হল যাতে তারা ঘর বন্দী অবস্থা আর সামাজিক বিচ্ছিন্নতা শিথিল করা আর আবার সংক্রমণ হলে একে শক্ত করা এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য ।
আমরা মনে করতেই পারি এন্টিবডি থাকলে দ্বিতীয় বার সংক্রমণ এটি ঠেকাবে কিন্তু যেহেতু এটি গত বছর ঠেকে আছে তাই কত দিন ইম্মুনি টি সবল থাকবে তা বলা যাচ্ছেনা ।
যেমন নব করোনার সহোদর ঠাণ্ডা সর্দি হলে তেমন ইম্মুনিটি হয়না আবার ঠাণ্ডা সর্দি হবে , আবার সম্পর্কিত আরেক ভাইরাস SARS ২০০২-৩ সালে র প্রাদুর্ভাবের পর এখনও শরীরে আছে সুরক্ষা এন্টিবডি ১৫ বছর পরও ।
যদি ইম্মুনি টি দীর্ঘ কালের হয় তাহলে স্বস্তি আর আনন্দ , ফিরে যাবেন পুরানো জীবনে আলিঙ্গন করতে পারবেন প্রিয় জনদের ।
কিন্তু যদি তা হয় স্বল্প কালের তাহলে যারা একবার সংক্রমিত হলেন এদের সুরক্ষা থাকেনা । আর একটি সুরক্ষা টিকা তৈরি করা হবে দুষ্কর ।
এ হপ্তায় অ্যামেরিকায় ব্যাপক ভাবে শুরু এন্টিবডি টেস্টিং ,। অচিহ্নিত লকদের চিহ্নিত করা । বিশাল হাসপাতাল চেন শুরু করেছেন এই সেরলজি টেস্টিং। প্রথম টেস্ট হবে ডাক্তার আর নার্সদের এরপর অন্য কর্মীদের । সেলেক্স আর এব ট আছেন বাজারে প্রায় ৫০ কোম্পানি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন এফ ডি এ তে । কোন এন্টিবডি দেখা হবে ? কিছু এন্টিবডি থাক্বে অল্পদিন এরপর চলে যায় আর কিছু থাকে দীর্ঘ দিন । হার্ভার্ডের ডা মিনা বলেন এন্টিবডি মানে ইম্মুন গ্লবুলিন এম মানে IgM সাম্প্রতিক সঙ্ক্রমন শনাক্ত করতে পারে । IgG থাকে দীর্ঘ দিন পছন্দের তালিকায় তাই এই এন্টিবডি । কতজনের এন্টিবডি আছে তা বোঝার জন্য , । IgA testing হবে সে সাথে । আরও টেস্ট আছে ফিঙ্গার প্রিক টেস্ট ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ফল সেলেক্স কোম্পানি দিয়েছেন । এফ ডি এ অনুমোদন আছে । এবটের টেস্ট ও আছে বাজারে । বিজ্ঞানীরা বলেন এসব টেস্ট বলতে পারে সে লোকের সঙ্ক্রমণ হয়েছিলো কি না । আর প্রয়োজন গবেষণার জন্য । এন্টিবডির পরিমান জানা দরকার নানা কারনে , সে লোকের রক্ত কি convalescent plasma র জন্য দান করার জন্য উপযুক্ত কি না যা করোনা চিকিৎসায় উপ যোগী আর উপকারী ।
এন্টিবডি টেস্টের বিশ্বাস যোগ্যতা বিভিন্ন রকমের কখন ফলস পজিটিভ অসুখ নাই এমন লোককে অসুস্থ দেখানো আবার ফলস নিগে টি ভ অসুস্থ অথচ সুস্থ দেখানো । যাদের রক্তে এন্টিবডি এদের মিস করা ।
অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি । মালদানদ বলে এন্টিবডি পেলেই আরামে সবস্তিতে সব ছাড়লাম ঠিক না । স্বাস্থ্য কর্মীরা ততদিন যতদিন নয়া আমরা আরও জানতে পারব সুরক্ষা নিতেই হবে অন্তত মাস্ক । একবার পজিটিভ হলে সুরক্ষা ছাড়া যাবেনা ।
এত দ্রুত এসব প্রশ্নের উত্তর নয় হয়ত বেশ জানা যাবে পরবর্তী গ্রীষ্মের আগে আগে । আশায় বুক বাঁধুন ।
২.

কিভাবে মুদির দোকানের বাজার করবেন নিরাপদে কো ভি ড ১৯ এর এই সময়
বাজার করার সময় অন্যদের থেকে অন্তও ১ মিটার দূরত্ব রাখুন আর হাত দিয়ে নাক , চোখ আর মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন । সম্ভব হলে বাজার করার আগে দোকানের ট্রলির বা বাস্হ্যাকেটের হ্যান্ডেল স্যানিটা ইজ করুন । ঘরে ফিরে হাত ধোবেন আর পন্য আর গেরস্থালী দ্রব্য সবজি ডিম মাছ মাংস সব ধুয়ে গুছিয়ে ভাল করে হাত ধোবেন । খাবার বা খাবারের প্যকেজ থেকে সংক্রমণের কোন ও প্রমাণ এখনও নেই ।
সূত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়