Ameen Qudir

Published:
2020-04-15 17:30:10 BdST

করোনায় সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যুই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের অব্যবস্থাপনার দলিল


 

ডেস্ক
_____________________

করোনা লড়াইয়ে সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ পরম বীর ডা. মঈনুদ্দিনের মৃত্যুতে ব্যাপক জনপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সবাই বলছেন,করোনায় সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যুই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের অব্যবস্থাপনার দলিল ।
নানা পেশার মানুষের মুখে প্রশ্ন:
একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক যখন উন্নত চিকিৎসা পেলেন না , তখন এই দেশের মানুষের জীবন রক্ষা কে করবে। চিকিৎসকের ভাগ্যে কেন একটি অ্যাম্বুলেন্স জুটল না সেই জবাব আগে চাইতে হবে। পরে অন্যকিছু ।
বাংলাদেশের জ্যেষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেন,

Feeling depressed. My thoughts and prayers are with the members of the bereaved family. May Allah give them enough strength to bear this loss.

Let Dr. Moyeen’s soul rest in heavenly peace.

বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহাম্মদ জামালউদ্দিন বলেন,
একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের ভাগ্যে কেন একটি অ্যাম্বুলেন্স জুটল না সেই জবাব আগে চাইতে হবে। পরে অন্যকিছু ।

লেখক গবেষক ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ডা. সাঈদ এনাম লিখেছেন, সহকারী অধ্যাপক ( মেডিসিন ) ডা. মঈন আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ডা. মঈন ভাইকে ১৯৯৪ সাল থেকে চিনি। আমরা দু'তিনজন সিলেট থেকে ঢাকা যাই মেডিকেল ভর্তি কোচিং।

কোচিং এ মঈন ভাই আমাদের পড়িয়েছেন। মাঝেমধ্যে অবসর সময়েও উনি আমাদের ডেকে নিয়ে মেডিকেল কোচিং এর পড়া ধরতেন।

ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারে কোন আইটেম না বুঝলে, উনার রুমে গিয়ে বুঝে আসতাম। সুন্দর করে, ধৈর্য সহ কারে বুঝিয়ে দিতেন।

এখোনও মনে আছে, ফিজিওলজির ব্লাড এর মেকানিজম অব হিমোস্টেসিস এবং ক্লটিং ফ্যাকটর গুলো কঠিন লাগছিলো। উনার রুমে গিয়েছিলাম। মঈন ভাই সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচিত, অপরিচিত জুনিয়র সবাই'কে তিনি অসম্ভব স্নেহের চোখে দেখতেন। তাঁর সহপাঠী বন্ধু এবং সিনিয়র সবার কাছে তিনি সমান ভাবে কাছের মানুষ হিসেবে ছিলেন।

ওসমানীতে প্রায়ই দেখা হতো আমাদের সবার প্রিয়, সদা হাস্যজ্বল এই বড় ভাইটির সাথে।

কলকাতা থেকে অমিত গোস্বামী বলেন,
এই মাত্র দুটি সংবাদ চোখে পড়ল
১) করোনা যুদ্ধে চিকিৎসক সমাজের প্রথম শহীদ ডা. মঈনউদ্দিন! যে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন। পদমর্যাদার ঘাটতিতে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনা যায় নি। কিন্তু...। আজ তিনি চলে গেলেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।
২) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমেদ শফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হল দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে। কিছু শারীরিক চেকআপ করার প্রয়োজনে।
তিনি সুস্থ থাকুন। ভাল থাকুন।
অলমিতি বিস্তারেন – বিশদ মন্তব্যের কী প্রয়োজন! এখানেই রাখি।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়