Ameen Qudir

Published:
2020-04-14 18:28:42 BdST

সাবধানে থেকে আশান্বিত হই: ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাজারজাতের জন্য তৈরি হবে


ডা. রিয়াজউদ্দিন চৌধুরী
________________
আসুন সাবধানে থেকে আশান্বিত হই।

COVID 19(করোনা ডিজিজ) এর একমাত্র সমাধান একটা vaccine বা প্রতিষেধক টিকা।

ডব্লিউ এইচ ও : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই বলেছে অন্তত তিন টা ভ্যাকসিন clinical testing phase এ আছে এবং আরও 67 টা ভ্যাকসিন preclinical stage এ আছে।
বিজ্ঞানী রা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন একটা effective বা কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করতে।
কারণ ভ্যাকসিন ছাড়া আর কোন কিছুই এর কার্যকরী বা ultimate সমাধান নয়।যেকোনো সময় নতুন সংক্রমণ শুরু হতে পারে যে কোন দেশেই, যে কোনো স্থানে।

কিন্ত এটাও সত্য ভ্যাকসিন/টিকা/প্রতিষেধক তৈরি বা আবিস্কার করা সময় সাপেক্ষ।অনেক দিন লেগে যায়।কখনো কয়েক বছরও লেগে যায়।
ভ্যাকসিন হলেই হবে না তাঁর সাথে তৈরি করা কোম্পানি, বিনিয়োগ কারী ও সরকার একসাথে কাজ করতে হয় সেটা কে বাজারজাত করতে।সেটাও সময় সাপেক্ষ।
বিজ্ঞানী রাও বলেছেন একটা ভালো,মানসম্মত, কার্যকরী বা effective corona vaccine এর জন্য কমপক্ষে এক বছর লেগে যেতে পারে।

কিন্ত আশার কথা এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা oxford university র vaccinology র প্রফেসর শত ভাগ নিশ্চিত ও দৃঢ় ভাবেই বলেছেন যে,তাদের ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বর এর মধ্যেই বাজার জাত করার জন্য তৈরি হবে।অবশ্য যুক্তি ও আছে।কারণ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর human trial বা মানব দেহে এর কার্যকরী/প্রতিকারী পরীক্ষা শুরু হবে এবং পাশাপাশি তারা ইতিমধ্যেই uk govt এর সাথে কাজ শুরু করেছেন কত তাড়াতাড়ি এর production(উৎপাদন) শুরু করা যায় ও কত দ্রুত বাজারজাত করা যায়।
অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্রের NIH(national institute of health) ও biotechnology company Moderna Inc ইতিমধ্যেই তাদের গবেষণা লব্ধ ভ্যাকসিন এর human(মানব দেহে) ট্রায়াল শুরু করেছে।তেতাল্লিশ(43) বছরের এক ভদ্র মহিলার দেহে ইতিমধ্যেই এটা প্রয়োগ করা হয়েছে ও আশানুরূপ রেসপন্স ও দেখতে পাচ্ছেন।
ভ্যাকসিন টির code ও এখন নির্ধারণ হয়ে গেছে।নাম দেওয়া হয়েছে mRNA-1273।যেটি এই বছরের মে বা জুন এর মাঝামাঝি মার্কেট এ নিয়ে আসার ব্যাপারে আশাবাদী কোম্পানি টি।পাশাপাশি
চীন ও ভ্যাকসিন তৈরির শেষ প্রান্তে আছে।

খুব দ্রুত ভ্যাকসিন চলে আসার পিছনে যুক্তি ও আছে।বিজ্ঞানী রা দেখেছেন চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া corona ভাইরাস এর genome sequencing অনেক তা প্রায় আশি(80%) ভাগ SARS এর মতোই এবং প্রায় পঞ্চাশ ভাগ(50%) MERS এর মতো।যেটা নিয়ে বিজ্ঞানী রা ইতোমধ্যে কাজ করেছেন ও ভ্যাকসিন তৈরির কাছাকাছি গিয়েছেন।সেই ফর্মুলা বা গবেষণা কে কাজে লাগিয়ে corona ভ্যাকসিন তৈরী তে দ্রুততা দিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে এটা কিভাবে সারা পৃথিবীতে দ্রুত সময়ে দেওয়া সম্ভব বা দাম ই বা কেমন হবে?

ইতোমধ্যে বিল গেটস এর মিলিন্ডা foundation ঘোষণা দিয়েছে তারা প্রায় 3 বিলিয়ন ভ্যাকসিন কিনবে ও স্বল্পোন্নত দেশ সমূহে বিতরণ করবে।
প্রিওরিটি বেসিস স্বাস্থ্যকর্মী দের ও অতি আক্রান্ত দেশ সমূহে দেওয়া হবে এরপর ধাপে ধাপে সবাই কে দেওয়া হবে।

আসুন আশান্বিত হই।
ভ্যাকসিন তো এসেই গেলো।

সাবধানে থাকুন, সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলুন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব নিয়ম মেনে চলুন।

আর আক্ষেপ হচ্ছে যুগ যুগ ধরে আমরা কি সেই তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবো? নিজেরা কত টুকু অর্জন করলাম?আরও শত বছর পরও কি আমাদের একটি ভ্যাকসিন তৈরি করার সক্ষমতা হবে?

_____________________________

ডা. রিয়াজউদ্দিন চৌধুরী

Consultant(Medicine)-FCPS(Medicine),MCPS(Medicine). Comilla medical college Hospital

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়