Ameen Qudir
Published:2020-02-20 04:26:46 BdST
কচুরিপানায় প্রচুর সেলুলোজ:গবাদিপশুর পরিপাকতন্ত্রে হজমের এনজাইম আছে,মানুষের নেই
সরদার ফারুক----
ডেস্ক
_______________
সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক মন্ত্রী মানবখাদ্য হিসেবে কচুরিপানার শাক নিয়ে গবেষণা ও মানবখাদ্য হিসেবে এটির উপকারিতার পক্ষে সওয়াল করায় বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেছে। নানামুখী ট্রলিং হচ্ছে।মন্ত্রীরা নানা ব্যখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু হাস্যরস, ট্রলিং ও বিতর্ক থামছে না। এক মন্ত্রী ছেলেবেলায় কচুরি পানার ফুলের ভাজা খেতেন , জানালেন। সবমিলিয়ে বিষম পরিস্থিতি।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের সময়ের শীর্ষ কবি , যিনি পেশায় চিকিৎসক সরদার ফারুক ট্রলিং বা হাস্য বিতর্কের মধ্যে নাক না গলিয়ে বিষয়টির একটি বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিলেন। বললেন , কচুরিপানার শাকের মানবখাদ্য হতে অসুবিধা কোথায়। সহজ ব্যখ্যা।
তার লেখা প্রকাশ হল।
সরদার ফারুক
________
কচুরিপানা ফেলনা কিছু নয়। কচুরিপানা দিয়ে সার হয়, এখন সেটা দিয়ে ঝুড়ি, খেলনা, মাদুর, কাগজ, হার্ডবোর্ড ইত্যাদিও তৈরি হয়। কথা হচ্ছে সবকিছু খাওয়ার কথা ভাবতে হবে কেন? খেতে না পারলেই তো আর কোনোকিছু মূল্যহীন হয়ে যায় না।
অনেকে তর্ক করছেন খাদ্য হিসাবে কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করলে দোষ কী? না, কোনো দোষ নেই, তবে এজন্য কিছু প্রাথমিক ধারণা সবারই থাকা দরকার। অধিকাংশ বৃক্ষের পাতা, ঘাস এবং কচুরিপানায় প্রচুর সেলুলোজ আছে। এই সেলুলোজ হজম করার জন্য প্রয়োজন সেলুলেজ নামে একধরনের এনজাইম। গবাদিপশুর পরিপাকতন্ত্রে এই এনজাইম আছে, মানুষের নেই।
আমরা অনেককিছুই পারি যেসব কাজ গরু পারে না, আবার গরু এমনকিছু কাজ পারে যা আমরা পারি না। গরু আর মানুষ একগোত্রের প্রাণি নয়।
---
আমরা না জেনে অনেক কিছুই ভাবতে পারি, কিন্তু সেসব জনসমক্ষে বলার আগে কাণ্ডজ্ঞান থাকা জরুরি, তা না হলে লোকজন হাসাহাসি করতেই পারে। সবসময় কি হাসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
আপনার মতামত দিন: