Ameen Qudir

Published:
2020-02-05 23:18:58 BdST

আজ নিজের লেখক জীবনের ও বইয়ের কথা বলবেন জনপ্রিয় লেখক ডা. মোহিত কামাল


ডেস্ক
____________________

আজ ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ বিকেল ৪.৫০ টায় নিজের লেখক জীবনের কথা ও বইয়ের কথা বলবেন বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় লেখক ডা. মোহিত কামাল। এক লেখায় তিনি জানান, আজ থাকব অমর একুশে গ্রন্থমেলার 'লেখক বলছি' মঞ্চে। কথা বলব আমার সাহিত্যসত্তা ও সাম্প্রতিক লেখালেখির বিষয়আশয় নিয়ে। আমার প্রিয় পাঠক, প্রিয় তরুণ বন্ধুদের কি অনুষ্ঠানে থাকার অনুরোধ জানাতে পারি ?
.................................
হ্যাঁ উপন্যাসের সারকথা :

' হ্যাঁ একটি পারিবারিক উপন্যাস। দাম্পত্য-সংকট আর কাঁটা বিছানো পথে কন্যাসন্তানের বেড়ে ওঠার উপাখ্যান। মোহিত কামালের ‘না’ নামের যে উপন্যাস রয়েছে তার বিপরীত কথা বলবে ‘হ্যাঁ’। জীবনের শুভ ঘটনাকে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। যথার্থ সময়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারলে মনে যুতসই পরিবর্তন ঘটতে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এই উপন্যাসের চরিত্রগুলোর যাপিতজীবনের আন্তঃসম্পর্ক ও কথামালার ভেতর দিয়ে জটিল দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অবিশ্বাস-হানাহানি ‘হ্যাঁ’-এর উজ্জ্বল রোশনিতে আলোকিত হতে থাকে। সমকালীন জীবন-সংকটের জালে জড়াতে থাকে চরিত্রগুলো। ‘জীবন পুষ্পশয্যা নয়’- এ প্রবাদটিও অক্টোপাসের মতো ঘিরে রাখে তাদের জীবন। প্রমিত, মিতু ও তাদের শিশুকন্যা রোদ্দুরের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তৃতীয়জনের উপস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট, মা-বাবা ও শিক্ষকের ভূমিকা, অফিসের চালচিত্র, পারিবারিক এবং সামাজিক বিপর্যয়। জীবন-স্রোতের চরিত্ররা কখনও ডোবে, কখনও ভাসে। ডুবে যাওয়া আর ভেসে ওঠার মূল কারণ ভুল বোঝাবুঝি, পারস্পরিক যোগাযোগের ঘাটতি ও সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়া। যন্ত্রণাময় এ জীবন-সাগরে তারা হাবুডুবু খেতে থাকে। অবশেষে তারা কি কূলে ভিড়তে পারে? সঠিক সময়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারে জীবনকে? জীবনঘনিষ্ঠ এ উপন্যাস পাঠে তারই উত্তর পাবেন পাঠক।'
.......................

ঈর্ষার ঘোরমগ্ন সময় গ্রন্থের সারকথার একাংশ:

' সহজ ভাষায় গল্প-বয়ানের মধ্য দিয়ে মানবমনের গূঢ়তত্ত্ব বের করে সাহিত্যে তুলে ধরতে পারেন মোহিত কামাল। তাঁর লেখনির এ বৈশিষ্ট্য ইতিমধ্যে তাঁকে প্রথাভাঙা কথাকার হিসেবে অনন্য উচ্চতায় তুলে দিয়েছে। ‘মোহিত কামালের বিচরণ বহুমাত্রিক হলেও সমাজমনস্ক শিল্পীসত্তা তাঁর প্রধান বৈশিষ্ট্য...তাঁর চরিত্রদের আমাদের বাস্তব সমাজ-জীবন থেকেই হাজির করেছেন এ কথাসাহিত্যিক। সমাজের অন্তরে যে ক্ষত মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে তিনি তাঁর শানিত কলম হাতে নিরলস যোদ্ধা হিসেবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন’- কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের এ মূল্যায়নও এ গ্রন্থের বিষয়-বস্তু ও এর আঙ্গিক পরিবেশনের মাপকাঠিতে গুরুত্বপূর্ণ। ঈর্ষার ঘোরমগ্ন সময়-১, ২, ৩ আখ্যানে আমরা দেখতে পাব মনস্তত্ত্ব ও সমাজে চলমান ক্ষতচিহ্ন। কোনো কোনো গল্পে দেখা পাব চেতন-অচেতন মনের একক ধারার মিলনস্রোত; বাস্তব ও পরাবাস্তবের মাঝের দেয়াল তুলে নেওয়ায় ভিন্নতর অভিঘাতে সৃষ্ট চরিত্রদের মনোজগৎ যা সাহিত্য-মতবাদ সুররিয়ালিজমের উদহারণ তৈরি করে, গুণগত মানের সাহিত্য-দীপ্তি ছড়ায়।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী আখ্যানও রয়েছে এ গ্রন্থে। ‘সমাধিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে’ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এ গল্পের চরিত্র ময়ূখের কথোপকথন পরাবাস্তবের দেয়াল ভেঙে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমান সময়ের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেবে পাঠককে। পাঠকও তখন গল্পের অংশ হয়ে সংযোগ ঘটাতে পারবেন একাত্তর, পঁচাত্তরের পনের আগস্ট ও সমকালীন ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে। ‘বারোমাসি লেবু ও পেয়ারা গাছের বয়ান’ এবং ‘বারুদপোড়া গন্ধ’ গল্প দুটিও একাত্তরের গণহত্যা, নারী-ধর্ষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মস্তিষ্কে গেড়ে বসে থাকা যাতনাময় ক্ষতচিহ্নের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে দেবে পাঠককে। নিমিষেই আমরা দেখতে পাব ভয়াল একাত্তরের নৃশংসতার চিত্র যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অমোচনীয় এক অধ্যায়।'
....................
দুটো বইয়ের প্রকাশক - বিদ্যা প্রকাশ এবং প্রচ্ছদশিল্পী যথারীতি ধ্রুব এষ । প্রকাশকাল - অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০।
স্টল নং - ২৬৬-২৬৭-২৬৮-২৬৯।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাট্যমঞ্চের উত্তরে, লিটলম্যাগ চত্বরের পূর্বে।
বইমেলায় যেকোনো লেখকের যেকোনো প্রিয় বই খুঁজে পেতে হলে মনে রাখতে হবে কথা ক'টা। অথবা খোঁজ নিতে হবে তথ্যকেন্দ্রে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়