Ameen Qudir

Published:
2019-12-03 20:07:34 BdST

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে চারগুণ


 

নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি। নেই স্বাস্থ্যবিধি। উচ্চ জন্মহার, অনিয়ন্ত্রিত যৌনতা সবই আছে। ফাইল ছবি।



ডেস্ক
__________________________

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত দুই বছরে বেড়েছে চারগুণ। ২০১৭ সালের অক্টোবরে পুরো জেলায় আক্রান্ত ছিলেন মাত্র ১৩২ জন, ২০১৯র নভেম্বর শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৮ এ। ৩৯৫ জনই রোহিঙ্গা।নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি। নেই স্বাস্থ্যবিধি। উচ্চ জন্মহার, অনিয়ন্ত্রিত যৌনতা সবই আছে।

কক্সবাজারের এইচআইভি ট্রিটমেন্ট সেন্টারের মুখপাত্র ডা. শাহীন আব্দুর রহমানমিডিয়াকে জানান, এই সময়ে ২৯ রোহিঙ্গাসহ মোট ৭২ জন চিহ্নিত এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেছেন।

কক্সবাজারে ৩৪৫ জন রোহিঙ্গাসহ মোট মধ্যে ৪২৮ জন এইডস রোগী নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন ।
রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়েছে ।

‘প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি’

“রোহিঙ্গাদের এইডস আক্রান্তের হার আমাদের তুলনায় বেশি,” উল্লেখ করে রোববার ঢাকায় বিশ্ব এইডস দিবসের আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

ওদিকে কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল মতিন মিডিয়াকে বলেন, “যেসব রোহিঙ্গা চিকিৎসা নিতে এসেছেন, কেবল তাঁদেরকেই শনাক্ত করা গেছে। শরণার্থী শিবিরগুলোয় বসবাসকারী এইডস রোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি।

মিয়ানমারে এইচআইভি আক্রান্তের হার দশমিক শূন্য আট শতাংশ জানিয়ে ডা. শাহীনও বলেন, “তাদের দেশের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলেও কক্সবাজারে অবস্থানকারী প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আরো অনেক এইডস রোগী থাকার কথা।”

 

শঙ্কায় উন্নয়ন কর্মী-চিকিৎসকরা

কক্সবাজারে এইডস প্রতিরোধে সক্রিয় বেসরকারি সংস্থা এক্সপাউরুলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী কানন পাল মিডিয়াকে জানান, “জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৯৯২-৯৩ সালে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে থাকতেন।”

“এরপর নিয়মিত কিছু এইডস রোগী শনাক্ত করা হলেও রোহিঙ্গারা আসার পর এর হার ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে,” জানিয়ে তিনি বলেন, “কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এই জেলায় এটা মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে।”

তবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরামর্শক ডা. বিধান পাল দাবি করেন, “এইডসকে আগে যেভাবে দেখা হতো, এখন কিন্তু সেভাবে দেখা হচ্ছে না। ”

“কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ এতটাই বেশি যে তাদের ‍যদি একটা নিয়মের মধ্যে না রাখা যায় তাহলে মহাবিপদ ঘটতে পারে ”।

উন্নয়ন কর্মী ও চিকিৎসকদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারির পরও অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে গেছেন।

বর্তমানে অজস্র রোহিঙ্গা কিশোরী-যুবতী স্থানীয়দের বাসা ও প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশি বিয়েও করছেন তাঁদের।

এছাড়া পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত রোহিঙ্গা নারীদের কারণেও এইডস ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়