Ameen Qudir
Published:2019-08-25 20:31:22 BdST
নবজাতক ও প্রসূতি মৃত্যু ঠেকাতেই বাধ্য হয়ে সিজার করতে হয় চিকিৎসকদের
অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক
স্কিন অ্যান্ড সেক্সুয়াল মেডিসিন স্পেশালিস্ট
এফসিপিএস, এফআরসিপি (যুক্তরাজ্য), ডিডিভি (অস্ট্রিয়া)
____________________________
আমি ২৫ বছর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষক। আমি জানি সিজার নিয়ে কথাগুলো একেবারেই মিথ। হয়তো ডেলিভারিতেও। এমন হয় না কখনো।
ডেলিভারির এই মারাত্মক সময় ডাক্তার যুদ্ধ ক্ষেত্রের কমান্ডারের মতো। একটুও অসাবধানি ভুলে মৃত্যু। হঠাৎ ভুল হওয়ার চেয়ে সামান্য বাধ্যবাধকতায়ও সিজার করা অনেক সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে রোগী পক্ষকে সমস্যার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যুক্ত রাখা প্রয়োজন, যা করা হয় না।তাহলে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাক তো না।
সারা পৃথিবী জুড়ে সিজারের হার বেড়েছে অনেক। আগের চেয়ে প্রায় ২০ ভাগ বেশি।
বেশি বয়সে সন্তান নেয়া, তীব্র ব্যথার চাপ নিতে অনীহা, আর নানা যথাযথ মেডিকেলের কারণে পশ্চিমা ধনী দেশের ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ। এদেশে উচ্চবিত্তের ক্ষেত্রে একই কারণ।
আমাদের দরিদ্র্যের, যথাযোগ্য ডায়েটের অভাবে বাচ্চার কম ওজন, ১০/১২ ঘন্টা মায়েদের প্রেগনেন্সির প্রয়োজনীয় চাপ বজায় না রাখতে পারার কারণে গর্ভস্থ বাচ্চার শ্বাসকষ্ট, ইত্যাদি বাচ্চাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বাধ্য হয়ে সিজার অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।সিজার বাড়ে।
১৯৯০ সালের এর দিকে জন্মের সময় শিশু মৃত্যু ছিল হাজারে ১৫০ এর মতো। বর্তমানে জন্মের সময় নবজাতক শিশু মৃত্যুর হার নেমে এসেছে হাজারে ৩৪ জনে।অন্য নানা কিছুর সঙ্গে এতে সিজারেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।
আপনার মতামত দিন: