Ameen Qudir

Published:
2019-08-02 22:55:04 BdST

স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চিকিৎসক করার প্লান থেকে সরতে বাধ্য হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন



ডেস্ক
_________________________

চিকিৎসকদের প্রবল বিরোধিতা ও প্রতিবাদের মুখে জাতীয় মেডিকেল কমিশন বিলে সংশোধনী আনল নরেন্দ্র মোদী সরকার। জনস্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হাতুড়ে চিকিৎসক তৈরি করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হচ্ছে সরকারকে। এছাড়াও আগামী দিনে মেডিকেল কমিশনের পাশাপাশি মেডিক্যাল বোর্ডগুলোতেও রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়তে চলেছে।

১ আগষ্ট ২০১৯ রাজ্যসভায় মেডিকেল বিল নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার জবাবে এই সংশোধনী আনার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মেডিকেল কমিশনে ২৫ জন সদস্যের মধ্যে ২১ জন চিকিৎসক। তারাই ঠিক করবেন কী ধরনের পাঠ্যক্রম, কত বছর পড়ার পরে ওই কর্মীরা ওষুধ দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করবেন। ভারতের মতো দেশগুলিতে যেখানে জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসকদের সংখ্যা কম, সেখানে এই ধাঁচের জনস্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর সুপারিশ রয়েছে বলে জানান হর্ষ।

এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, যেখানে সংখ্যার জোরে বিরোধীদের কথা না শুনে বিল পাশ হচ্ছে, সেখানে ওই পরিবর্তন আমাদের বড় জয়। এর ফলে হাতুড়েদের রমরমা বাড়বে। জনস্বাস্থ্য কর্মীরা কোথা থেকে, কী ভাবে, কী ধরনের শংসাপত্র পাবেন, তার ব্যাখ্যা বিলে ছিল না।

শান্তনু সেন বলেন, ওই নিয়মের ফলে কমিশনে একটি রাজ্য ১২-১৫ বছর পর পর প্রতিনিধি পাঠাতে পারত। তাই আপত্তি ছিল রাজ্যগুলোর। বিলে যে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছিল, তাতে রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব কমে যেত।

সরকারের দাবি, দেশের মেডিকেল শিক্ষায় সময়োপযোগী পাঠ্যসূচি চালু করতে এই বিলটি আনা হয়েছে। তবে এ দাবিকে অস্বীকার করে চিকিৎসকরা বলছেন, জনস্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হাতুড়ে চিকিৎসক তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিলে বলা হয়েছিল, ওই কর্মীরা নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম পাশ করতে পারলেই তাদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। তারপরে ‘মর্ডান মেডিসিন’ দিতে পারবেন তারা।

 

নতুন বিলে বেসরকারি কলেজগুলোর অর্ধেক আসন গরিব ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত থাকলেও, বাকি আসনে ফি ঠিক করার ক্ষমতা কলেজগুলোকে দিয়েছিল সরকার। এর ফলে কলেজগুলোতে বড় অঙ্কের অনুদান দিয়ে শুধুমাত্র ধনী পরিবারের সন্তানেরাই সুযোগ পাবেন বলে সরব হন বিরোধীরা। আজ তাতেও কিছুটা পরিবর্তন এনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কলেজগুলির পরিচালন ব্যবস্থায় রাজ্যের ভূমিকা থাকবে।

এদিকে, এ বিলের প্রতিবাদে দিল্লিতে চিকিৎসকদের একাংশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। একাধিক হাসপাতালের বর্হিবিভাগ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান চিকিৎসকেরা। বিলের প্রতিবাদে দেশে ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছে ডিএসও।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়