Ameen Qudir

Published:
2019-02-13 22:10:49 BdST

সরকারি, বেসরকারি স্কুল শিক্ষকরা কোচিং করাতে পারবেন না : প্রসঙ্গে


 

 

ডা. কামরুল হাসান সোহেল
__________________________

সরকারি, বেসরকারি স্কুলের যারা শিক্ষক তারা স্কুলে ভালোভাবে পড়ানোর পরও অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা ঠিকমতো সেই পড়াটা আত্মস্থ করতে পারেনা,তাদের মেধায় কুলোয় না। কম বেশি প্রত্যেক স্কুলেই ছাত্রের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল। শ্রেণীকক্ষে যতোজন ছাত্রছাত্রী হলে সবার দিকে সমান মনোযোগ দেয়া যেত তার তুলনায় অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী থাকে। ৪৫/৫০ মিনিটের একটি ক্লাশে ৫০ বা তারও অধিক ছাত্রছাত্রীদের সবার প্রতি সমান মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা।অধিকাংশ শিক্ষক ক্লাশে তার সর্বোচ্চটা দেয়ারই চেষ্টা করেন,কিছু ব্যতিক্রম সবখানেই থাকে। আমাদের সময়ে শিক্ষকরা আমাদেরকে তাদের সর্বোচ্চটাই দিয়েছেন। তখনো আমাদের মাঝে যারা পড়াশুনায় পিছিয়ে ছিল তারা স্কুল টাইমের আগে বা পড়ে ব্যাচে স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়তো। বিশেষ করে ইংরেজি,গণিত আর বিজ্ঞান।

যারা প্রফেশনাল শিক্ষক মানে সরকারি, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক তারাই সবচেয়ে ভাল পড়াবেন এইটাই স্বাভাবিক। এখন তাদের যদি স্কুল টাইমের আগে বা পরে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে বেস্ট টিচারের টিচিং পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে ছাত্রছাত্রীরা। সেই সুযোগে ফ্রিল্যান্সার যারা কোচিং এ পড়ায় তারা তাদের টিউশন ফি বাড়িয়ে দিবে, বাসায় এসে প্রাইভেট টিউশন দেয়ার ফি বাড়িয়ে দিবে কয়েকগুণ। বাচ্চাদের পিছনে অভিভাবকদের পড়াশুনা বাবদ খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ, এত টাকা খরচ করেও বেস্ট টিচারের কাছ থেকে টিউশন নিতে পারবেনা ছাত্রছাত্রীরা।

মাথায় ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মাথা ব্যথা কমানোর উদ্যোগ নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সরকারি, বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, ছাত্রঃ শিক্ষক অনুপাত আদর্শ মানের কাছাকাছি করতে হবে, সিলেবাস আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে হবে, প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে হবে, পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, জিপিএ-৫ জেনারেশনের চেয়ে আগের বোর্ড স্ট্যান্ড, সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্তির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতিই ভালো ছিল। মুখস্ত করে পাস বা জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু টপিকস না পড়ে পাঠ্যবইয়ের পুরোটা যেন পড়তে হয় এবং বুঝে পড়তে হয় পাস করার জন্য সেই ধরণের পরীক্ষাপদ্ধতি নির্ধারণ করা হোক।
___________________________

ডা. কামরুল হাসান সোহেল :
আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়